নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে নাকাল ঢাকাবাসী, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বৃদ্ধি
পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বাজারে মূল্য বেড়েছে বিভিন্ন সবজি, মুরগি, চিনি ও পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
আজ (শুক্রবার) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা।
বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা লিটার। দুই কেজির তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। বেড়েছে চিনির দাম, প্রতি কেজি চিনি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
বাজারে চায়না রসুনের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারো বেড়েছে। । দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। আর আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
দাম কমেছে হিলিতে
তবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় রমজানের আগেই মোকামে কমেছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হিলি বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে আমদানির ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। তাই রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। দু’দিন আগে যে পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, আমদানি বাড়ায় তা কমে ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমেছে। বর্তমানে ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান বলেন, পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ ছিল। মেয়াদ শেষ হলে এরপরে আর কোনও পেঁয়াজ আমদানি হবে না। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসির সব পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরে বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বৃদ্ধি
ঢাকার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। অধিকাংশ খাবারেরই দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। এতে বিপাকে পড়েছেন হোটেলে খাওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের কর্মজীবী মানুষ। তারা বলছে, এখন শুধুমাত্র সবজি দিয়ে ভাত খেলেও জনপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ হচ্ছে।
অন্যদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা বলছেন, মাছ-মাংস, সবজি ও মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম। ফলে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, দাম না বাড়ালে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১