ঘুর্ণিঝড় ‘আসানি’র অশনি সঙ্কেত
ঈদকে ঘিরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস
ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মধ্য এবারে ঈদের উৎসব আনন্দ কিছুটা ম্লান হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঈদের আগে পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত দুই থেকে তিন দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় এবং অন্য স্থানে তিন থেকে চার দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সোমবার পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় ‘আসানি’র অশনি সঙ্কেত
মে মাসের ৬-৭ তারিখে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। আর ১২ মে’র মধ্যে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কান আবহাওয়া অধিদফতর থেকে দেওয়া নাম অনুযায়ী আসন্ন ঝড়ের নাম হবে ‘আসানি’। সিংহলি ভাষা ‘আসানি’র অর্থ অত্যন্ত রাগান্বিত বা ক্ষুদ্ধ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ৬ থেকে ৭ মে’র মধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এটি সুনির্দিষ্ট লঘুচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর সম্ভাব্য গতি হবে ৩৪ নটিক্যাল মাইল এবং স্থলভাগে আঘাত হানার আগে গতি হবে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষা ও বাংলাদেশের উপকূলে চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।##
পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/এমবিএ/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।