একইদিনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i111502-একইদিনে_চীনের_পররাষ্ট্রমন্ত্রী_এবং_মার্কিন_সহকারী_পররাষ্ট্রমন্ত্রীর_ঢাকা_সফর
তাইওয়ান  নিয়ে  চীন -মার্কিন উত্তেজনার মাঝে  আগামীকাল (শনিবার) একইদিনে ঢাকায় আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই  এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন । মিশেল জে সিসন বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও কুয়েত সফর করবেন বলে কথা রয়েছে।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
আগস্ট ০৫, ২০২২ ১৫:৫২ Asia/Dhaka
  • মিশেল জে সিসন ও ওয়াং ই
    মিশেল জে সিসন ও ওয়াং ই

তাইওয়ান  নিয়ে  চীন -মার্কিন উত্তেজনার মাঝে  আগামীকাল (শনিবার) একইদিনে ঢাকায় আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই  এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন । মিশেল জে সিসন বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও কুয়েত সফর করবেন বলে কথা রয়েছে।

কূটনৈতিক সুত্র জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ৬ আগস্ট সকালে বাংলাদেশে পৌঁছবেন এবং ৭ তারিখে ফিরে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ৭ আগস্ট সকালে তিনি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

অপরপক্ষে, মিশেল জে সিসনের ঢাকা সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন  সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী  মিশেল জে সিসনের  ঢাকা সফরে ওয়াশিংটনের বহুপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। এছাড়া বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা ইস্যু থাকবে আলোচনার টেবিলে।

ওয়াং ই-এর সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং বিস্তৃত। সে জায়গা থেকে আসন্ন সফরে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে নবায়ন, নতুন সহযোগিতা, বিশেষ করে দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহরিয়ার আলম বলেন,  আমরা সবসময়ই ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা চাই যে, এ ইস্যুতে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়। কেননা বিশ্ব যথেষ্ট সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের আহ্বান হচ্ছে যে, সব পক্ষ যাতে এ ইস্যুতে সংযত আচরণ করে এবং জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে।

এদিকে ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অব্যাহতভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলবে।  চীন বিশ্বাস করে, এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা।

এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ তাইওয়ান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করার পাশাপাশি উত্তেজনা বাড়াতে পারে, এ অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে-এমন কোনো কাজ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/এনএম/৫