বছরের শেষ দিন; সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় ২০২৩
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আনন্দ-বেদনার সাক্ষী হয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে আরও একটি বছর। বিদায় ২০২২। মধ্যরাতে নতুন বছর ২০২৩ কে স্বাগত জানানোর, উৎসবের বাঁশি বেজে উঠবে সবার প্রাণে। নতুন প্রত্যাশায় শুরু হবে নতুন বছর কিন্তু যে বছরটি হারিয়ে গেল জীবন থেকে,ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে,তার সবই কি হারিয়ে যাবে? প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির নিরিখে হারিয়ে যাওয়া বছরের স্মৃতিচারণ তাই ব্যস্ত নাগরিক সভ্যতার মানুষগুলো।
ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে/ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে/আমায় তারা ডাকে সাথে- আয় রে আয়। সজল করুণ নয়ন তোলো,দাও বিদায়...। গানের এই কথাগুলো লিখেছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আজকের সূর্যাস্ত যেন এই গানের সঙ্গেই একাকার। বিদায় ২০২২ । সব বিদায়ের সঙ্গেই লুকিয়ে আছে এমন আনন্দ-বেদনার কাব্য। সেটা বর্ষবিদায়ের বেলায়ও।
বিদায়ের এই ক্ষণে প্রকৃতিও যেন বিষন্ন। আজকের সূর্যাস্তের মধ্যদিয়ে আরেকটি খ্রিস্টীয় বছরের সমাপ্তির ডাক দেবে। আর আগামীকালের ভোরের সূর্য, পৃথিবীর বুকে নিয়ে আসবে, আরেকটি নতুন বছর। বলতে হবে-স্বাগত ২০২৩!
বছরের এই শেষ দিনটিতে এসে ভালো-মন্দ আর আনন্দ-বেদনার স্মৃতিগুলো আরও একবার রোমন্থন করবেন অনেকেই। একইভাবে, জীবনের সব নেতিবাচক দিক দূরে ঠেলে,সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় নতুন করে পথচলার প্রত্যয় ব্যক্ত করতে প্রস্তুত বিশ্বের আটশ কোটি মানুষ।
দৈনন্দিন কাজগুলো মূলত ইংরেজি সালের গণনায় হওয়ায়, খ্রিস্টিয় বছর বেশ গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে। সেদিক বিবেচনায়, বিদায়ী বছরটা কেমন গেলো, তার হিসাবও কষবেন কেউ কেউ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর ভাবনায়, নানাভাবে মূল্যায়িত হবে বিদায়ী এই বছরটি।
ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় জীবনেও বিদায়ী বছরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।নানা ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে,ঘটেছে উত্থান-পতনের ঘটনা। তারপরও এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে,সবার জীবনে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় স্বাগত ২০২৩ । #
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/বাবুল আখতার/৩১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন