ঈদ বাজার
ছুটি শুরু, জমে উঠেছে শেষ মূহুর্তের ঈদ বাজার
পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসায় রাজধানীতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা। জমে উঠেছে শেষ মূহুর্তের ঈদ বাজার। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে ভীড় বাড়ছে ক্রেতাদের। দিনে প্রচন্ড গরমে শপিংমলগুলোতে রাতে ভিড় করছেন নগরবাসী। ক্রেতা সমাগম বাড়ছে শপিংমলগুলোতে। তীব্র গরমে দিনের ঝামেলা এড়াতে রাতে মার্কেটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। প্রিয়জনদের জন্য ঈদ উপহার কিনতে শপিংমলগুলোতে ভিড় করছেন নগরবাসী। দরদাম মিলে গেলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পণ্য।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে তুলনামূলক কম দামে অনেকটা ভালো মানের পোশাক ক্রেতাদের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিশ্রুতিশীল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই ঈদ পোষাকের প্রস্তুতি সাজানোর কথা জানালেন উদ্যোক্তারা। গ্যালোর নামের একটি শোরুমের উদ্যোক্তা পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই তারা পোষাকের ডিজাইন করেন। যাতে উৎসব পার্বনে দেশীয় পণ্যের প্রসার ঘটে আরো বেশি করে। এদিকে বিভিন্ন শপিং মলের ব্যবসায়ীদের দাবি গত বছরের তুলনায় বেচা বিক্রি এখনো অনেকটাই কম। তবে বাকি দিনগুলোতে ক্রেতা সমাগম আরো বাড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে স্বল্প আয়ের মানুষদের আয়ের বড় অংশই চলে যায় খাবার কিনতে। সংসার চালাতে এই শ্রেণির এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ এখন ধার করে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এবারের ঈদে নিয়ে আয়ের বেশির ভাগ মানুষের নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই অনেকের।
মার্কেট ব্যবধানে এবার সব ধরনের ঈদপোশাকে গড়ে ৩০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছ। বসুন্ধরা শপিং মলের কয়েকজন বিক্রয়কর্মী জানান, ছুটির দিনগুলোতে একটু ভালো হলেও অন্য বছরের হিসাবে এবার বিক্রি কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশের মতো। তারা আশা করছেন ঈদের আগে বেচাকেনা বাড়বে।
তবে ছোট মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, শিপমেন্ট ও ইয়ার ভাড়া বেশি হওয়ায় এবার ঈদের পোশাকের দাম অনেক বেড়েছে। পাইকারিতেই ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেড়ে মেয়েদের একটি টপস বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-২০০০ টাকা, সায়রা থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকা, ন্যারাকাট বিক্রি হচ্ছে ৫-৬ হাজার টাকা ও লেহেঙ্গা ৬-৭ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।সব মিলিয়ে এ বছর কিছুটা বাড়তি দামেই ঈদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। #
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।