কিছুটা দুর্বল হয়ে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘বুলবুল’
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i75133-কিছুটা_দুর্বল_হয়ে_সুন্দরবন_উপকূলে_আঘাত_হেনেছে_বুলবুল’
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে খুলনা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ১০, ২০১৯ ০১:৪৩ Asia/Dhaka
  • উত্তাল সমুদ্র
    উত্তাল সমুদ্র

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে খুলনা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

শনিবার রাত ১১টার পর আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আয়েশা খানম সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বুলবুল অতি প্রবল ছিল যা কিছুটা দুর্বল হয়েছে। বাতাসের বেগ কিছুটা কমেছে। এটা আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের দিকে আসবে। যত আসবে তত দুর্বল হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে তারপর বাংলাদেশে আসবে। এটি সুন্দরবন দিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে। সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হেনেছে। ওই সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। তখন এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে ছিল।’

আয়েশা খানম আরও জানান, ‘বুলবুলে’র কারণে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি হয়। যার প্রভাবে দেশের অনেক অঞ্চলেও বৃষ্টি হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ার এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে উপকূলীয় এলাকায়।’

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলের ১৪টি জেলায় প্রস্তুত ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় ও ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে বুলবুল মোকাবেলায়। নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ এবং বিমানবাহিনীর সকল এয়ারক্রাফ্ট দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো সেবার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই দেশের অভ্যন্তরীণ সব নৌপথে লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর সব কার্যক্রম। সাগরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরণের উড়োজাহাজ চলাচল।#

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।