বাংলাদেশে বাড়ছে ইটভাটা, বাড়ছে পরিবেশ দুষণ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i76063-বাংলাদেশে_বাড়ছে_ইটভাটা_বাড়ছে_পরিবেশ_দুষণ
১৯ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে বাড়ছে পরিবেশ দুষণ। বিশেষ করে বায়ু দুষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। এ বায়ু দুষণের জন্য প্রধানত ইটভাটাকে দায়ী করছেন পরিবেশ কর্মীরা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধ করতে এরই মধ্যে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯ ১৯:৪১ Asia/Dhaka

১৯ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে বাড়ছে পরিবেশ দুষণ। বিশেষ করে বায়ু দুষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। এ বায়ু দুষণের জন্য প্রধানত ইটভাটাকে দায়ী করছেন পরিবেশ কর্মীরা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধ করতে এরই মধ্যে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সারাদেশে গত পাঁচ বছরে ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৩ সালে দেশে ইটভাটা ছিলো ৪ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৯০২টিতে। এরমধ্যে ঢাকা ও এর পাশের গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় মোট ১ হাজার ৩০২টি ইটভাটা আছে। শুধু ঢাকা জেলাতেই ইটভাটা আছে ৪৮৭টি। ঢাকার বায়ুদূষণের ৫৮ শতাংশের উৎস ইটভাটা হিসেবে উল্লেখ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে ঢাকা ও এর পাশের চারটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৬ নভেম্বর দেয়া আদেশে, বায়ু দূষণরোধে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে অভিন্ন নীতিমালাও করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ বলেন, সারাদেশে পরিবেশ দুষণ রোধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে ৩২৭টি ইটভাটা তারা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সময়ে অভিযান হয়েছে ১২০ টি। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রচলিত সব ইটাভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অবৈধ ইটভাটার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে। তবে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশ ঘুরে বসতবাড়ির খুব কাছে ও আবাদি জমিতে অনেক ইটভাটা দেখা গেছে। এসব ইটভাটায় পোড়ানো হয় আমদানি করা নিম্নমানের কয়লা। সেখানে সালফারের পরিমাণ ৭ থেকে ১০ শতাংশ। অথচ এর পরিবেশসম্মত সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে ১ শতাংশ।

যদিও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত) অনুযায়ী, আবাসিক, সংরক্ষিত ও বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর ও কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। ইটভাটা হতে হবে এসব এলাকা থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে। 

২০১৫ সালের পর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নেই, এমন ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসেবে, বর্তমানে সারা দেশে ৮ হাজার ৩৩টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার ৮৩৭টি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করেনি। আর পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই ২ হাজার ৫১৩টির। এই দুটি শর্তই পালন করেনি এমন ইটভাটা রয়েছে তিন হাজারের বেশি। সেই হিসেবে, তিন বছর ধরে এসব ইটভাটা মারাত্মক দূষণ করে চলেছে।#

পার্সটুডে/ শামস মন্ডল /এমবিএ/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।