ইসরাইলি বোমা হামলায় ২০০ শিশু নিহত: ইউনিসেফ
লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৩ সেনা নিহত, ৪ শান্তিরক্ষী আহত
-
নিহত লেনাননি সেনার কফিন বহন করছেন সহকর্মীরা
দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল-এর একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলায় চারজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
ইউনিফিল জানিয়েছে, গতকাল (মঙ্গলবার) দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম রামিয়ার পূর্বে তাদের ঘাঁটিতে একটি রকেট আঘাত হানলে কর্তব্যরত চার ঘানার শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। শান্তিরক্ষীদের মধ্যে তিনজনকে চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউনিফিল বলেছে, শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়মিত হামলার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যেকোনও আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন এবং রেজোল্যুশন ১৭০১ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননের সারাফান্দ শহরে একটি সেনা ঘাঁটিতে ইসরাইলি বিমান হামলায় গতকাল তিন সেনা নিহত ও ১৭ জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। লেবাননের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। দক্ষিণ লেবাননে সর্বশেষ হামলায় তিনজন সৈন্য নিহত হওয়ার পর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহত লেবানিজ সৈন্যের সংখ্যা ৪১-এ পৌঁছল।

লেবাননে মাস দুয়েক আগে থেকে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে ইসরাইলি বোমার আঘাতে দুই শ'র বেশি শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানায়, লেবাননজুড়ে একের পর এক জোরালো বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। দেশটিতে ইসরাইলি বোমা হামলায় প্রতিদিন গড়ে তিনটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার সাংবাদিকদের বলেন, লেবাননে দুই মাসের কম সময়ে দুই শতাধিক শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা একটি বিরক্তিকর বিষয় সামনে এনেছে। সেটা হলো—সহিংসতা বন্ধ করতে যারা সক্ষম ছিলেন, সেইসব ব্যক্তিরাই নিষ্ক্রিয়।
জেমস এলডার আরও বলেন, লেবাননের শিশুদের জন্য এটা ভয়াবহতার একটি নীরব স্বাভাবিকীকরণে পরিণত হয়েছে।
লেবাননজুড়ে গত ১০ দিনে অন্তত ৬টি হামলার কথা উল্লেখ করেন জেমস এলডার। এসব হামলায় শিশুরা নিহত হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিহত শিশুরা হামলার সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতেই ছিল।#
পার্সটুডে/এমএআর/২০