দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, ১৭৯ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i145372-দক্ষিণ_কোরিয়ায়_ভয়াবহ_বিমান_দুর্ঘটনা_১৭৯_জনের_প্রাণহানির_আশঙ্কা
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আজ (রোববার) ভোরে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। 
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ ১২:০৯ Asia/Dhaka
  • দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, ১৭৯ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আজ (রোববার) ভোরে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। 

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৫১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, দুই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে দুইজন বাদে সবাই মারা গেছেন। 

মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। জেজু এয়ারের ৭সি-২২১৬ নম্বর ফ্লাইটের এই বিমানটি থাইল্যান্ড থেকে রওয়ানা দিয়ে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত বিমানের বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। 

এর আগে দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল- তারা ৩৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। যদিও সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মুয়ানের এক অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন তারা।

অন্যদিকে, ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ওই বিমানটি কোনো দৃশ্যমান ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিমানটিতে বিস্ফোরণ হয়। এতে বিমানের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। 

বিমানটিতে থাইল্যান্ডের দুই যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ওই দুজন বাদে সবাই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেজু এয়ারের এক মুখপাত্র। অন্তবর্তীকালীন নেতা হিসেবে মনোনীত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।#

পার্সটুডে/এসআইবি/এমএআর/২৯