ইসরাইল যাদেরকে নির্মূল করতে চেয়েছিল তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i146024-ইসরাইল_যাদেরকে_নির্মূল_করতে_চেয়েছিল_তাদের_সঙ্গে_যুদ্ধবিরতি_করতে_বাধ্য_হয়েছে
গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি। তিনি বলেছেন, ১৫ মাস ধরে গাজায় ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালানোর পর আমেরিকা ও ইসরাইল নাকে খত দিয়ে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১৪:০৮ Asia/Dhaka
  • আব্দুল মালিক আল-হুথি
    আব্দুল মালিক আল-হুথি

গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি। তিনি বলেছেন, ১৫ মাস ধরে গাজায় ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালানোর পর আমেরিকা ও ইসরাইল নাকে খত দিয়ে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বৃহস্পতিবার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে প্রচারিত এক ভাষণে এ মন্তব্য করেন। হুথি বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বহু মাস ধরে ভয়ঙ্কর পাশবিকতা চালানোর পর ইসরাইলি শত্রু ও আমেরিকা এ চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।”

আনসারুল্লাহ প্রধান বলেন, “ইহুদিবাদী শত্রুরা আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করতে চেয়েছিল এবং এ লক্ষ্যে তারা গাজায় অন্তত ৪,০৫০টি গণহত্যা চালিয়েছে।” তিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গাজার সকল মানুষকে টার্গেট করেছে এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

হুথি বলেন, দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে ও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া, গাজাবাসী গত ১৫ মাস ধরে যে অবর্ণনীয় বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন।

ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ নেতা বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজার প্রতিরোধ ফ্রন্টকে পরাজিত করে এর সকল যোদ্ধাকে নির্মূল করার লক্ষ্যে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা চরম ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে সেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে যাদেরকে সে নির্মূল করতে চেয়েছিল।#

 পার্সটুডে/এমএমআই/এমএরআর/১৭