যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হলো আরও ৩০ বাংলাদেশিকে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i151698-যুক্তরাষ্ট্র_থেকে_ফেরত_পাঠানো_হলো_আরও_৩০_বাংলাদেশিকে
বৈধ নথিপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদের বহনকারী একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে।
(last modified 2025-09-05T11:13:06+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৫ ১৭:০৪ Asia/Dhaka
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হলো
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হলো

বৈধ নথিপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদের বহনকারী একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে।

আজ (শুক্রবার) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফেরত আসা অভিবাসীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া অবস্থানরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো বলে এসবি সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়া ব্যক্তিদেরই দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যাঁদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের বিষয়ে আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হচ্ছে।

অভিবাসন আইন কঠোর করেছে গ্রিস, চলতি মাসে কিছু বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা

গ্রিস থেকে চলতি মাসে কিছু বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত

এদিকে, আবেদন বাতিল হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য শাস্তি কঠোর এবং তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুততর করেছে গ্রিস। এ জন্য গত বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে।

চলতি বছর দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই আইন করা হলো। এতে গ্রিসের অভিবাসনবিরোধী আইন আরও কঠোর হয়েছে। চলতি বছর দেশটির দক্ষিণ সীমান্তেই অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন।

সম্প্রতি শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে গ্রিস। চলতি মাসে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশের কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে দেশটি।

২০১৫-১৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে প্রবেশ করেছিলেন। যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ওই সময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছিল।

বুধবার পাস হওয়া আইনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দৃষ্টিতে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত তৃতীয় দেশ থেকে ইউরোপের দক্ষিণতম প্রান্তে প্রবেশ করা নথিপত্রবিহীন অভিবাসীরা যদি আশ্রয়ের অধিকারী না হন, তাহলে তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। অথবা কমপক্ষে ২৪ মাস আটক রাখতে হবে এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

গ্রিসের নতুন আইনের বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) বলেছে, এই আইন আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজন আছে—এমন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শাস্তির ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সংস্থাটির প্রস্তাব, দ্রুতগতির আশ্রয়প্রক্রিয়া চালু করা যেতে পারে, যা শরণার্থী ও অ-শরণার্থীদের দ্রুত শনাক্ত করতে পারবে এবং এর মাধ্যমে তাঁদের যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।

গ্রিস জানিয়েছে, জুলাই মাসে আশ্রয় আবেদন স্থগিত করার পর থেকে শত শত অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মিসরের কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানোর জন্য ফ্লাইটের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এথেন্সের বিরুদ্ধে সমুদ্র ও স্থলসীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জোরপূর্বক ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এ বছর ইইউর সীমান্ত সংস্থা জানিয়েছে, তারা গ্রিসের সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১২টি ঘটনা পর্যালোচনা করছে।#

পার্সটুডে/জিএআর/৫