ভারতের গুরুগ্রামে জুমা নামাজ আদায়ে হিন্দুত্ববাদীদের বাধা
https://parstoday.ir/bn/news/india-i101092-ভারতের_গুরুগ্রামে_জুমা_নামাজ_আদায়ে_হিন্দুত্ববাদীদের_বাধা
ভারতের গুরুগ্রাম শহরে হিন্দুত্ববাদীদের বাধার মুখে খোলা জায়গায় জুমা নামাজ অনুষ্ঠিত হতে পারে নি।   
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
ডিসেম্বর ১০, ২০২১ ১৯:৩৭ Asia/Dhaka
  • গুরুগ্রামে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিরা
    গুরুগ্রামে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিরা

ভারতের গুরুগ্রাম শহরে হিন্দুত্ববাদীদের বাধার মুখে খোলা জায়গায় জুমা নামাজ অনুষ্ঠিত হতে পারে নি।   

হিন্দি গণমাধ্যম ‘অমর উজালা ডট কম’ জানিয়েছে আজ (শুক্রবার) কিছু মুসল্লি গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭-এ পৌঁছলে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন তাদের ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নামাজীরা জিজ্ঞেস করতে থাকে, আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই দেশের জন্য কি কিছু করে নি যে আমাদের নামাজ পড়তেও দেওয়া হচ্ছে না?   

খোলা জায়গায় জুমা নামাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মধ্যে আজ সেক্টর ৩৭-এ নামাজের জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়। আজ দুপুর ১২টার পর থেকে দুই ডজনেরও বেশি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মকর্তা ও কর্মী ৩৭ নম্বর সেক্টরের নামাজের স্থানে বিপুল সংখ্যায় জড়ো হয়। তারা সেখানে ফুল বর্ষণ করাসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।   

ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। পুলিশ আগেই বলেছিল, শান্তি বজায় রাখতে যে-ই আইন লঙ্ঘন  করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় সেখানে পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল এবং কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায় নি।  নামাজের জন্য চিহ্নিত সকল স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এ জন্য আগেই বিভিন্ন থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

গত ছয় মাস ধরে নগরীর সেক্টর  ৩৭, ৪৭, সেক্টর-১৮ পার্ক ও ১২-এ স্থানে জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও স্থানীয়  জনগণের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।  মুসলিমরা বলছেন, তাদের জনসংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মসজিদ নেই। সে জন্য তারা পাবলিক প্লেসে নামাজ পড়তে বাধ্য হচ্ছেন। প্রশাসন যদি জায়গা দেয়, তাহলে তারা খোলা জায়গায় নামাজ পড়বেন না।     

এরআগে জমিয়ত উলেমার গুরুগ্রাম শাখার সভাপতি মুফতি মুহাম্মাদ সেলিম কাশেমী বলেছিলেন, গুরুগ্রামে মাত্র ১৩টি মসজিদ রয়েছে যা শহরের ৫ লাখ মুসলিমের জন্য যথেষ্ট নয়। গুরুগ্রাম নাগরিক একতা মঞ্চের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমেদ বলেন, আমি হরিয়ানা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের কাছে গুরুগ্রামের কিছু এলাকায় জমি বরাদ্দ করার জন্য আবেদন করছি, যাতে আমরা মসজিদ তৈরি করতে পারি।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।