ভারত হল গণতন্ত্রের জননী : নরেন্দ্র মোদী
(last modified Tue, 15 Aug 2023 10:44:28 GMT )
আগস্ট ১৫, ২০২৩ ১৬:৪৪ Asia/Dhaka
  • ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে গণতন্ত্রের জননী বলে উল্লেখ করাসহ বৈচিত্রের মডেল বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি আজ (মঙ্গলবার) দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে এ সংক্রান্ত মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ভারতকে গণতন্ত্রের জননী এবং বৈচিত্রের মডেলও। দেশে বহ ভাষাভাষী মানুষ আছেন, তাদের কথাবার্তা, পরিধান বহু প্রকার এবং নানা বৈচিত্র রয়েছে। এ সব কিছুর ভিত্তিতে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

আজ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়ে দেন, ‘আগামী বছর আবার স্বাধীনতা দিবসে এখানেই (লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন) আপনাদের সামনে আসব। আর এক বছর ধরে আমরা কী কী কাজ করলাম, তার খতিয়ান দেবো।’

এ ভাবে প্রধানমন্ত্রী কার্যত বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এর আগে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে ‘এ বছরই লালকেল্লায় মোদীর শেষ বক্তব্য’ বলে মন্তব্য করা হয়েছিল। গতকালই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী বছর ১৫ আগস্ট টিম ‘ইন্ডিয়া’র (বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট) নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।

আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি  মল্লিকার্জুন খাড়গে আজ সাফ জানিয়ে দেন, উনি তো আগামী বছরও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। কিন্তু সেটা করবেন নিজের বাসভবনে। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী আর লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন না এমনটাই দাবি করছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। একই সুরে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল এমপি বলেছেন, ২০২৪ সালে কে ক্ষমতায় ফিরবেন সেটা মানুষই ঠিক করবেন। ততদিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।

প্রধানমন্ত্রী আজ লালকেল্লায় দেওয়া বক্তব্যে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত রাজ্যগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশের অনেক রাজ্যে ‘অকল্পনীয় সঙ্কট’ ডেকে এনেছে। যাঁরা এই সঙ্কটে নিজের পরিবার, প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিলেমিশে কাজ করে আমরা এই সঙ্কট থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসব। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ প্রধানমন্ত্রী আজ এসব ছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ হয়েছে। গত (রোববার) থেকে শুরু হওয়া তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ। রাজ্যটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ইত্যাদি নানা কারণে এ পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তরাখণ্ডেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তিন জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।#   

পার্সটুডে/এমএএইচ/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ