সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ
বিজেপি নেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগকে 'সাজানো' দাবি করে বিজেপি প্রার্থী ও বিরোধীদলীয় দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এই পদক্ষেপে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেল রাজ্য বিজেপি।
সন্দেশখালিতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করায় শুভেন্দুসহ আরও কজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে সন্দেশখালির বিজেপি নেতাদের সেই ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৪ মে পশ্চিমবঙ্গে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ৩৩ মিনিটের এই ভিডিওটি একটি গোপন ক্যামেরা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে দুই বিজেপি নেতা-নেত্রী গঙ্গাধর কোয়েল ও শান্তি দুলুইকে দাবি করতে দেখা যায়, সন্দেশখালিতে মহিলাদের করা গণধর্ষণের অভিযোগ সবই মিথ্যা। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়িতেও অস্ত্র রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
এই ভিডিওতে সন্দেশখালির জবা রানী সিংহ নামে এক ভুক্তভোগীকেও দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে ধর্ষণ করা হয়নি। আমাদের একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সবই ইংরেজিতে লেখা ছিল তাই কিছুই বুঝতে পারিনি। আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের ২০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।’
মিতা মাইতি নামে এক মহিলা দাবি করেন, ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্য। তিনি বলেন, 'রেখা শর্মা যেদিন এসেছিলেন, সেদিন কার কার অভিযোগ আছে জানতে চাওয়া হল। একটা সাদা কাগজ দিল, বলল সই করতে হবে। সই করে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। ৪-৫ দিন পর থানা থেকে একটি নোটিশ যায়। তখন জানতে পারি যে আমরা ধর্ষণের কেস করেছি। সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যে, ওইরকম কিছু ঘটেইনি।'
সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চাপে পড়ে যায় বিজেপি। ভিডিওটিতে বার বার শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর নামও। বিজেপিই টাকা দিয়ে সন্দেশখালির ঘটনা সাজিয়েছে বলে অভিযোগ।
গোটা পরিকল্পনার নাটেরগুরু ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী- এই কথা বলেন সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এরপরই সন্দেশখালির মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে এসে বলতে শুরু করেন যে, বিজেপি নেতারাই সাদা কাগজে সই করিয়ে জোর করে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বলেছিল। ধর্ষণ না হলেও অভিযোগ জমা পড়েছিল ধর্ষণের।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।