তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইরান সফর সহযোগিতা বিস্তারে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i102298-তালেবান_পররাষ্ট্রমন্ত্রীর_ইরান_সফর_সহযোগিতা_বিস্তারে_নয়া_অধ্যায়ের_সূচনা_করবে
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে সেদেশের একটি প্রতিনিধি দল দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করার জন্য ইরানের রাজধানী তেহরানে পৌঁছেছেন। ইরানের আরবি ভাষার নিউজ চ্যানেল আল-আলম জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একটি শক্তিশালী প্রতিনিধিদল নিয়ে মুত্তাকি তেহরান বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ০৯, ২০২২ ১৯:৪৩ Asia/Dhaka

আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে সেদেশের একটি প্রতিনিধি দল দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করার জন্য ইরানের রাজধানী তেহরানে পৌঁছেছেন। ইরানের আরবি ভাষার নিউজ চ্যানেল আল-আলম জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একটি শক্তিশালী প্রতিনিধিদল নিয়ে মুত্তাকি তেহরান বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফরের কথা জানিয়ে বলেছেন, দুদেশের কর্মকর্তারা আর্থ-রাজনৈতিক, ট্রানজিট ও আফগান শরণার্থী বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। তালেবানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এমন সময় তেহরান সফরে এলেন যখন তেহরান সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, স্বীকৃতি পেতে হলে তালেবানকে সকল দল, গোত্র ও পক্ষের অংশগ্রহণে কাবুলে একটি ব্যাপকভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিব যাদেহ সম্প্রতি বলেছেন, ইরানসহ প্রতিবেশী অন্য সব দেশের দাবি হচ্ছে আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক এমন একটি সরকার গঠন করতে হবে যাতে সব ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও গোত্রের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফর থেকে বোঝা যায় তারা প্রতিবেশী সব দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের জন্য সব দেশের সমর্থন ও স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে। গত ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরান আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া ইরান আফগান জনগণের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে।

প্রকৃতপক্ষে, তালেবান আবারো আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়ার পর বিদেশে থাকা দেশটির সমস্ত অর্থ মার্কিন সরকার আটকে দিয়েছে। এ ছাড়া বাইরে থেকে কোনো সাহায্য আসতে না পারায় আফগানিস্তানের ব্যাংক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও প্রায় ধ্বংসের পথে। এ কারণে দেশটির জনগণ চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় তালেবান সরকার জনগণের সবার খাদ্যের যোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি জাতিসংঘ সেদেশে লাখ লাখ মানুষের ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টির ব্যাপারে হুশিয়ার করে দিয়েছে।

আফগান জনগণের দুর্দশা লাঘবের জন্য সম্প্রতি ইরান প্রায় ১৪ দফা খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রীর চালান পাঠিয়েছে। ইরান আফগান জনগণকে সহযোগিতা করলেও সেদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি তবে সেদেশে সব পক্ষকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম থেকেই জোর দাবি জানিয়ে আসছে। কেননা একমাত্র এ ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল ওই দেশটির সংকটের অবসান ঘটতে পারে বলে তেহরান মনে করে। আফগান সংকট সমাধানের জন্য ইরান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তেহরানে আফগানিস্তানকে সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যাইহোক, তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরান সফরে এসে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/০৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।