অপহৃত ৪ কূটনীতিকের ভাগ্য নির্ধারণে ইসরাইলকে চাপ দিন: ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i110182-অপহৃত_৪_কূটনীতিকের_ভাগ্য_নির্ধারণে_ইসরাইলকে_চাপ_দিন_ইরান
লেবানন থেকে অপহৃত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের চার কূটনীতিকে ভাগ্য নির্ধারণ ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ০৬, ২০২২ ১০:৪৫ Asia/Dhaka
  • অপহৃত ৪ কূটনীতিকের ভাগ্য নির্ধারণে ইসরাইলকে চাপ দিন: ইরান

লেবানন থেকে অপহৃত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের চার কূটনীতিকে ভাগ্য নির্ধারণ ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

গতকাল (মঙ্গলবার) চার কূটনীতিক অপহরণের ৪০ বছর পূর্তিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অপহৃত চার কূটনীতিকের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয় আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। মন্ত্রণালয় ‌এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান আশা করে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সঠিক উপায়কে কাজে লাগাবে যাতে চার কূটনীতিকের ভাগ্য নির্ধারণ করা যায় এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা যায়।

৪০ বছর আগে লেবানন থেকে অপহৃত ইরানের চার কূটনীতিবিদ এখনও ইহুদিবাদী ইসরাইলের কারাগারে আটক রয়েছেন। ইরানি এ চার কূটনীতিকের মুক্তির জন্য তেল আবিবের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্ব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে তেহরান। 

অপহৃত কূটনীতিবিদরা হলেন- আহমাদ মোতেওয়াসসেলিয়ান, সাইয়্যেদ মোহসেন মুসাভি, তাকি রাস্তেগার মোকাদ্দাম এবং কাজেম আখাওয়ান। লেবাননের উত্তরাঞ্চলে বারবারা চেকপয়েন্ট থেকে ১৯৮২ সালের ৫ জুলাই এ চার কূটনীতিবিদকে অপহরণ করা হয়েছিল। 

ইহুদিবাদী ইসরাইলের তাবেদার একটি বাহিনী তাদেরকে অপহরণ করেছিলো। সামির জা’জা ও ইলি হাবিকা ছিল ওই তাবেদার খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট বাহিনীর সে সময়কার প্রধান।  ইরান বলে আসছে নানা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটা সন্দেহাতীত যে, অপহরণের পর কূটনীতিবিদদের ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে তুলে দেয়া হয় এবং বর্তমানে তারা ইসরাইলি কারাগারে আটক রয়েছেন।

ইলি হাবিকা বলেছে, ইসরাইলই এটা চেয়েছিল যে অপহৃত ওই চার ইরানি কূটনীতিককে যেন ইসরাইলে পাঠানো হয়। সামির জাজাও ১৯৯৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল ইরানের ওই চার কূটনীতিক ইসরাইলের হাতে বন্দি হয়ে আছেন। অবশ্য ইসরাইল বলছে, ফ্যালাঞ্জিস্ট গেরিলারা ওই চার ইরানিকে অপহরনের পরপরই হত্যা করে এবং তাদের দাফনও করে। লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ মনে করেন ইসরাইল শত্রুতার কারণেই কখনও এ বিষয়ে সত্য কথা বলবে না। তিনি বলেছেন, ইসরাইল অতীতেও তাদের কারাগারে অনেক মুসলিম ও আরব বন্দি থাকার কথা অস্বীকার করেছিল, কিন্তু পরে দেখা গেছে যে তারা ইসরাইলি কারাগারেই বন্দি ছিলেন।  

অপহরণের ওই ঘটনার সময় মার্কিন মদদপুষ্ট ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন দখল করে রেখেছিল। ইরানি চার কূটনীতিবিদের অপহরণের মতো সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তাদের মদদদাতারা আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে দায়ী।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।