ইসরাইলি এজেন্টের হামলায় শহীদ পরমাণু বিজ্ঞানীর মেয়ের বক্তব্য
ইরান সম্পর্কে ‘নিরপেক্ষ’ প্রতিবেদন দিন: গ্রোসির প্রতি ইরানি শিশুর আহ্বান
-
ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর কন্যা সন্তান অর্মিতা রেজায়িনেজাদ
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র মহাসচিবকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে ‘নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ’ প্রতিবেদন দাখিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলি এজেন্টের হাতে শহীদ একজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর কন্যা সন্তান।
সম্প্রতি আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির তেহরান সফরের সময় তাকে উদ্দেশ করে এ আহ্বান জানান ১১ বছর আগে শহীদ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী দারিয়ুশ রেজায়িনেজাদের মেয়ে অর্মিতা রেজায়িনেজাদ।
তিনি বলেন, “১১ বছর আগে আমারও একটি স্বাভাবিক জীবন ছিল কিন্তু ছয়টি বুলেট সেই জীবন আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। আমার চোখের সামনে যখন আমার পিতাকে হত্যা করা হয় তখন আমার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে ৪ বছর।”
অর্মিতা বলেন, “আমার পিতা ছিলেন নিছক একজন বিজ্ঞানী সহিংসতার সঙ্গে যার কোনো সম্পর্ক ছিল না।কিন্তু পরমাণু কর্মসূচিতে অবদান রাখার জন্য তাকে হত্যা করা হয়। আর আমি আজ একা নই বরং আমি একটি দীর্ঘ গল্পের একটি অংশ মাত্র।”
এরপর অর্মিতা রেজায়িনেজাদ আমেরিকার নির্দয় নিষেধাজ্ঞা কীভাবে ইরানি জনগণের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সেকথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে বহু রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। বহু মানুষ নিষেধাজ্ঞার চাপে অর্থনৈতিভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন।”
অর্মিতার বক্তব্য শেষ হয় এই বাক্যগুলো দিয়ে: “ইরানি জাতি আশা করে আপনি আমাদেরকে সাহায্য করবেন... আপনি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ প্রতিবেদন দাখিল করে একথা বলুন যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।”
আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ও গত শুক্র ও শনিবার তেহরান সফর করেন। এ সময় ইরানের সঙ্গে তার সংস্থার কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল তার এজেন্টদের ব্যবহার করে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের অন্তত চারজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা কেরে। ওই চার বিজ্ঞানী হলেন মাসুদ আলীমোহাম্মাাদি, মাজিদ শাহরিয়ারি, দারিয়ুশ রেজায়িনেজাদ এবং মোস্তফা আমহাদি রোশান।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।