ফিলিস্তিনের সমর্থনে এগিয়ে আসা সব মুসলমানের কর্তব্য: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i129394-ফিলিস্তিনের_সমর্থনে_এগিয়ে_আসা_সব_মুসলমানের_কর্তব্য_ইরানের_সর্বোচ্চ_নেতা
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গতকাল (শনিবার) নাইজেরিয়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা শেখ ইব্রাহিম জাকজাকি এবং তার স্ত্রীর সাথে এক বৈঠকে অধিকৃত ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজার অবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'আজকে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তা ইসলামি শক্তির অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত।'
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ১৫:৫৩ Asia/Dhaka
  • ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সাথে জাকজাকির সাক্ষাত
    ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সাথে জাকজাকির সাক্ষাত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গতকাল (শনিবার) নাইজেরিয়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা শেখ ইব্রাহিম জাকজাকি এবং তার স্ত্রীর সাথে এক বৈঠকে অধিকৃত ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজার অবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'আজকে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তা ইসলামি শক্তির অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত।'

গাজায় ইসরাইলের  নির্বিচার বোমা হামলা এবং নারী, শিশু ও পুরুষ হত্যার ঘটনা মানব হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেছেন, 'ফিলিস্তিনি জনগণকে সাহায্য করা মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেকেই কর্তব্য'। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ফিলিস্তিন ইস্যুতে এমন সময় এসব কথা বলেছেন যখন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সফল সামরিক অভিযানের পর দখলদার ইসরাইলের বড় ধরনের গোয়েন্দা ও সামরিক ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে। এ ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এখন গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে যা কাপুরুষতার লক্ষণ। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থনে এগিয়ে আসা সব মুসলমানের জন্য অতীতের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিঃসন্দেহে, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.), আহলে বাইতের মাসুম ইমামগণ এবং বিশ্ববরেণ্য ধর্মীয় নেতারা মুসলিম ঐক্যের বিষয়টিকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। কারণ ইসলামের শত্রুরা সবসময়ই বিভেদ সৃষ্টির কৌশল, নানা ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলমানদের দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাই ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ও বাস্তুচ্যুত জনগণের সমর্থনে সবার এগিয়ে আসা উচিত এবং সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখণ্ড থেকে হানাদার ইহুদিবাদীদের বিতাড়িত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া সকল মুসলমানের দায়িত্ব।

ইসরাইল এবং আমেরিকাসহ তাদের পৃষ্ঠপোষকরা দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে পদদলিত করে আসছে এবং ইসরাইল নির্বিঘ্নে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন ও অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে। এখন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সামরিক অভিযানের অজুহাতে তারা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এ কারণে আজ ফিলিস্তিনি জনগণকে ইহুদিবাদী দখলদারদের হাত থেকে তাদের ভূমি মুক্ত করার জন্য মুসলিম জাতির সমর্থন প্রয়োজন। তাই, মুসলিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে যে কোনো ধরনের উদাসীনতা বা অবহেলা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না, বিশেষ করে যেহেতু ফিলিস্তিনিরা ইসলামের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে প্রমাণ করেছে যে, ইসরাইলের সব ধরনের চাপ সত্ত্বেও আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মুসলিম মুজাহিদদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার কারণে আজ বিশ্বের মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা ইসলামের অবিশ্বাস্য শক্তি প্রদর্শন করেছে এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহে ফিলিস্তিনে শুরু হওয়া এই আন্দোলন আরো এগিয়ে যাবে এবং ফিলিস্তিনিরা পূর্ণ বিজয় অর্জন করবে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।