আধিপত্যকামী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মধ্যেই শান্তি নিহিত রয়েছে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i97570-আধিপত্যকামী_শক্তির_বিরুদ্ধে_রুখে_দাঁড়ানোর_মধ্যেই_শান্তি_নিহিত_রয়েছে_প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলে যে কোনো উত্তেজনা ও সামরিক পন্থার বিরোধী। তবে একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং শত্রুর যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ ১৭:৫৭ Asia/Dhaka
  • মোহাম্মদ রেজা অশতিয়ান
    মোহাম্মদ রেজা অশতিয়ান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলে যে কোনো উত্তেজনা ও সামরিক পন্থার বিরোধী। তবে একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং শত্রুর যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক।

এতে কোনো সন্দেহ নেই সব মানুষই শান্তি ও নিরাপত্তা চায় এবং এ চাওয়ার বিষয়টি নির্দিষ্ট কোনো সময়, স্থান ও সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গণমানুষের এ চাওয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাব  অনুযায়ী প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে এই শান্তির অর্থ কেবল যুদ্ধ সংঘাত থেকে দূরে থাকা নয় একইসঙ্গে ন্যায়বিচার, সাম্য ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠাও এর অন্তর্ভুক্ত। জেনেভা কনভেনশনেও মানবাধিকার রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা অশতিয়ান তার দেশের শান্তি ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রকৃত শান্তির বিষয়ে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি  তুলে ধরেছেন। জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তেহরানে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। যদি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে শান্তিও বজায় থাকবে উল্লেখ করে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমাদের এটা মনে রাখা উচিত শুধুমাত্র যুদ্ধ শেষ হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা  যায় না। ন্যায়বিচার না থাকলে তখন ভিন্ন চেহারায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। 

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রকৃত শান্তির বিষয়ে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্য থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, কেবলমাত্র আধিপত্যকামী ও স্বেচ্ছাচারী বা বলদর্পী  শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মধ্যেই শান্তি নিহিত রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি ন্যায়বিচার ও শান্তিকে একে  অপরের পরিপূরক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

প্রকৃতপক্ষে, শান্তি, ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা একটি অপরটি থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। যদি ন্যায়বিচার না থাকে তাহলে কেউ যেন শান্তির প্রত্যাশা না করে। উদাহরণ স্বরূপ ফিলিস্তিনের কথা উল্লেখ করা যায়। ইসরাইল শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলে ফিলিস্তিনসহ এ অঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের  চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইসরাইল চরম বর্ণবাদী এবং স্বৈরাচারী। ইসরাইলের দখলদারিত্বের কারণেই ওই অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে আছে।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৯