ইসরাইলের পরমাণু বোমা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই ইউরোপ-আমেরিকার
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i128798-ইসরাইলের_পরমাণু_বোমা_নিয়ে_কোনো_উচ্চবাচ্য_নেই_ইউরোপ_আমেরিকার
দখলদার ইসরাইলকে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি এনপিটিতে সই করানোর ন্যায্য দাবি আবারও উত্থাপন করেছে কাতার। একইসঙ্গে তারা ইসরাইলের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র সুরক্ষা বলয়ের ভেতরে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ০১, ২০২৩ ১২:৪০ Asia/Dhaka

দখলদার ইসরাইলকে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি এনপিটিতে সই করানোর ন্যায্য দাবি আবারও উত্থাপন করেছে কাতার। একইসঙ্গে তারা ইসরাইলের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র সুরক্ষা বলয়ের ভেতরে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ভিয়েনায় আইএইএ'র বার্ষিক সাধারণ অধিবেশন চলার সময় দেশটির পরমাণু নিষিদ্ধকরণ সংস্থার প্রধান আব্দুল আজিজ সালমিন আল-জাবরি এই আহ্বান জানান। কাতারের এ কর্মকর্তা তার আহ্বান প্রসঙ্গে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বৈধ দাবি যা অর্ধ শতাব্দী আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাসহ বিভিন্ন সময় পাস হওয়া কয়েকটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। কাতারি কর্মকর্তা বলেন, পরমাণু অস্ত্র মুক্ত মধ্যপ্রাচ্য গঠনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আনা এবং তার পরমাণু কর্মসূচিকে জাতিসংঘের নজরদারিতে রাখা।

১৯৭০ সালে এনপিটি'র বাস্তবায়ন শুরু হলেও এখন পর্যন্ত দখলদার ইসরাইল তাতে সই করেনি। তারা এই চুক্তি লঙ্ঘন করে পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও মজুদ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন সূত্র মতে, ইসরাইলের কাছে প্রায় দুইশ' পরমাণু বোমা রয়েছে এবং আরও একশ' পরমাণু বোমা তৈরির মতো ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম তাদের কাছে মজুদ রয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় একমাত্র দখলদার ইসরাইলের কাছেই পরমাণু বোমা রয়েছে।

ইসরাইল কোনো আন্তর্জাতিক আইন মানে না, মানুষ হত্যা তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে। এই বিপজ্জনক অবৈধ রাষ্ট্র যন্ত্রের কাছে গণবিধ্বংসী পরমাণু অস্ত্র থাকলেও কোনো পশ্চিমা দেশের এই বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। সেখানে আইএইএ'র নজরদারি বা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করার কোনো উদ্যোগ নেই।  

কিন্তু এই পশ্চিমা দেশগুলোই ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে প্রতিনিয়ত হৈচৈ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা বা আইএইএ'র নিয়মিত নজরদারি ও পরিদর্শন সত্ত্বেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে নানা সন্দেহ ও গুজব রটাচ্ছে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরাইল।

যে দখলদার ইসরাইল আইএইএ-কে তাদের ওখানে ঢুকতেই দেয় না সেই ইসরাইলই প্রতিনিয়ত ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আইএইএ-কে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই আজ বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে।#  

পার্সটুডে/এসএ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন