আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কেন ইসরাইলের জন্য অস্বস্তির কারণ?
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i133798-আন্তর্জাতিক_আদালতের_রায়_কেন_ইসরাইলের_জন্য_অস্বস্তির_কারণ
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে গাজায় চলমান গণহত্যার বিষয়ে প্রাথমিক রায় ঘোষণা করেছে। গাজায় ইসরাইলের চলমান বর্বরোচিত গণহত্যার চার মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে, এই সময়ে সেখানে ইসরাইলি হামলায় ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ২৭, ২০২৪ ১৩:৫৭ Asia/Dhaka

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে গাজায় চলমান গণহত্যার বিষয়ে প্রাথমিক রায় ঘোষণা করেছে। গাজায় ইসরাইলের চলমান বর্বরোচিত গণহত্যার চার মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে, এই সময়ে সেখানে ইসরাইলি হামলায় ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।

এই গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা মামলা করেছে। মামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালত যে প্রাথমিক রায় দিয়েছে তাতে দখলদার ইসরাইল আইনি দিক থেকে আরও বেশি কোণঠাসা হয়েছে। ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিষয়টি আদালতেও প্রমাণিত হলো। ইসরাইল প্রথমে চেষ্টা করেছিল আন্তর্জাতিক আদালত যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা গ্রহণ না করে। কিন্তু আদালত বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগ যৌক্তিক এবং তা নিয়ে শুনানি হতে হবে।

এছাড়া হেগের এই আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে, ইসরাইলের মাধ্যমে চলমান গণহত্যার মামলা নিয়ে কাজ করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে। এই আদালতের ১৭ জন বিচারকের ১৬ জনই মনে করেন, ইসরাইলকে গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ ঠেকাতে হবে। একইসঙ্গে গাজাবাসীর মানবিক চাহিদাগুলো মেটানোর জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই এটা করতে হবে। এই রায়ের মাধ্যমে ইসরাইলকে এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে যে, অপরাধ বন্ধ না হলে ইসরাইলের জন্য আইনি পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। ইসরাইল এ পর্যন্ত বহুবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, কিন্তু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো কেউ মানতে বাধ্য নয়।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ অবস্থায় ইসরাইলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই আদালতের নির্দেশ তারা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে। আগামী এক মাসের মধ্যে ইসরাইলকে তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অবশ্য বাস্তবতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এই রায় বাস্তবায়নে বাধ্য করার জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের দাপটে ইসরাইল এই রায় বাস্তবায়ন করবে না।

এর আগে দখলদার ইসরাইল আমেরিকার সাবেক সরকারের সমর্থনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৩৩৪ নম্বর ইশতেহার বাস্তবায়ন করেনি। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় উপেক্ষা করলে আন্তর্জাতিক আইনি ও বিচার প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। এর ফলে ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।#

পার্সটুডে/এসএ/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।