ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের কোন কোন সামরিক ঘাঁটির ক্ষতি হয়েছে?
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i142272-ইরানের_ক্ষেপণাস্ত্র_হামলায়_ইসরাইলের_কোন_কোন_সামরিক_ঘাঁটির_ক্ষতি_হয়েছে
পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক ও নিরাপত্তা স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় (অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২ অভিযান) ইসরাইলের তিনটি বিমান ঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ০৩, ২০২৪ ০৯:৪২ Asia/Dhaka
  • ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত
    ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত

পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক ও নিরাপত্তা স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় (অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২ অভিযান) ইসরাইলের তিনটি বিমান ঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি বলেছেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ঘাঁটিগুলো হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের মূল আখড়া মোসাদের বিমান ঘাঁটি, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংরক্ষণের মূল ঘাঁটি নেভাতিম এবং নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত হাতজেরিম বিমান ঘাঁটি। পার্সটুডে ফার্সি জানিয়েছে, জেনারেল বাকেরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে আরো বলেন: বিমান ঘাঁটিগুলোর পাশাপাশি এই অভিযানে ইসরাইলের কৌশলগত রাডার স্থাপনা এবং গাজা উপত্যকার কাছে মোতায়েন ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের সমাবেশ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি জানিয়েছে, এসব সামরিক স্থাপনায় ইহুদিবাদী ইসরাইল ব্যাপক ভিত্তিতে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করে রাখা সত্ত্বেও ইরানের শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হেনেছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধেয়ে আসার সময় সামরিক ঘাঁটিগুলোর পাশাপাশি উত্তর ইরসাইলের বেশ কয়েকটি শহরে সাইরেন বেজে ওঠে। 

এদিকে ইসরাইলের ১৩ নম্বর চ্যানেলের সামরিক রিপোর্টার খবর দিয়েছে, ইরান ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল এবং এসব ক্ষেপণাস্ত্র কোনো বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানেনি।

চ্যানেলটি মঙ্গলবার রাতে খবর দেয় যে, ইসরাইলি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে কয়েক ঘণ্টা জেরুজালেম শহরের একটি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেন।

এছাড়া, ওই হামলার সময় তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে চালানো এই অভিযান সম্পর্কে আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে: অভিযানে ইসরাইলের কয়েকটি বিমান ও রাডার ঘাঁটি এবং প্রতিরোধ নেতাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পরিকল্পনাকারী কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে হামাস নেতা শহীদ ড. ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হুজ্জাতুল ইসলাম শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যা পরিকল্পনাকারী স্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলি স্থাপনাগুলো রক্ষা করার জন্য সর্বাধুনিক ও বিপুল পরিমাণ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হেনেছে। ইহুদিবাদী কর্মকর্তারা ইরানের গোয়েন্দা সক্ষমতা ও ইসরাইলে হামলা চালানোর ক্ষমতা দেখে হতচকিত হয়ে পড়েছে।

আইআরজিসির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইরানের আত্মরক্ষা করার অধিকারের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।  ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি এ ব্যাপারে কোনো কাপুরুষোচিত প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তাহলে ইরানের পরবর্তী আঘাত হবে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক এবং অনুশোচনা সৃষ্টিকারী।#

পার্সটুডে/এমএমআই/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।