ইসরাইল কেন গাজা উপত্যকায় তার অভিযান গোপন করছে?
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i148560-ইসরাইল_কেন_গাজা_উপত্যকায়_তার_অভিযান_গোপন_করছে
ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের অভিযান নিয়ে সেন্সরশিপ আরোপ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে গোপনীয়তার নীতির ফলে কেবল সামরিক বাহিনীই নয় বরং নেতানিয়াহুর সংকট-কবলিত মন্ত্রিসভাও উপকৃত হচ্ছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ১৪, ২০২৫ ১৩:২৭ Asia/Dhaka
  • ইসরাইল কেন গাজা উপত্যকায় তার অভিযান গোপন করছে?

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের অভিযান নিয়ে সেন্সরশিপ আরোপ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে গোপনীয়তার নীতির ফলে কেবল সামরিক বাহিনীই নয় বরং নেতানিয়াহুর সংকট-কবলিত মন্ত্রিসভাও উপকৃত হচ্ছে।

পার্সটুডে অনুসারে,ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংবাদপত্র "ইয়েদিয়ত আহারোনোট" একটি প্রতিবেদনে লিখেছে যে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির এবং সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডিফারিন গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযানের সাথে সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরত রয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলি জনমত এই যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পক্ষে খুব বেশি সমর্থন করে না। সংবাদপত্রের মতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী এই গোপনীয়তার নীতির জন্য দুটি প্রধান কারণ দিয়েছে।

প্রথমত,ইসলাম প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে বর্তমান অভিযানের পথ এবং প্রকৃতি সম্পর্কিত তথ্য পেতে বাধা দেওয়াএবং দ্বিতীয়ত,সেনা কমান্ডারদের জনসমক্ষে ঘোষণা না করেই সামরিক অভিযান পরিচালনা করার প্রবণতা। কেবল কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য পথ তৈরি করা।

এই বিষয়টি ইয়াল জমির অনুসরণ করেন। কারণ তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার উদ্বোধনী ভাষণে স্বীকার করেছেন যে,  'হামাস এখনও পরাজিত হয়নি এবং আমরা বছরের পর বছর ধরে বহুমুখী যুদ্ধের মুখোমুখি হব।'

ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকা স্মরণ করে দিয়েছে যে, গত বছর গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযানের সময় সামরিক প্রতিষ্ঠানটি যুদ্ধের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিদিনের তথ্য প্রকাশ করত এবং সাংবাদিকদের মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন এবং সামরিক বাহিনীর সাথে সাক্ষাৎকার গ্রহণের অনুমতি দিত।

এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল সৈন্য ও অফিসারদের বক্তব্য তাদের পরিবার এবং ইসরাইলি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের চেয়ে কম পদমর্যাদার সৈন্য এবং অফিসারদের মুখ দেখানোও নিষিদ্ধ। যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের জন্য অধিকৃত ফিলিস্তিনের সীমান্তের বাইরে আইনি ও আন্তর্জাতিক বিচারের উদ্বেগের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা ন্যায্য।

প্রতিবেদনটি আরও বলেছে যে নীরবতা এবং সেন্সরশিপের এই নীতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠীর রাজনৈতিক নেতাদের জন্য অত্যন্ত কাম্য এবং উপকারী। বিশেষ করে দখলদার সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তাধীন।

ইহুদিবাদী গণমাধ্যমে বর্তমান স্থল অভিযানকে ভুলভাবে হামাসের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের ধারাবাহিকতা অথবা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পুনরায় শুরু হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।#

পার্সটুডে/এমবিএ/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।