‘ইরাকে আর কোনোদিন ফিরে আসবে না দায়েশ’
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i41244-ইরাকে_আর_কোনোদিন_ফিরে_আসবে_না_দায়েশ’
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের পতনের খবর নিশ্চিত করেছে সন্ত্রাস বিরোধী জনপ্রিয় ‘পপুলার ফ্রন্ট’ বাহিনী। হাশদ আশ-শা’বি নামে পরিচিত এই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরাকে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আর কোনোদিন ফিরে আসতে পারবে না।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুলাই ০১, ২০১৭ ০৭:১৮ Asia/Dhaka
  • কিছুদিন পূর্বেও এসব এলাকা দায়েশের নিয়ন্ত্রণে ছিল; এখন  সেখানে উড়ছে ইরাকের জাতীয় পতাকা
    কিছুদিন পূর্বেও এসব এলাকা দায়েশের নিয়ন্ত্রণে ছিল; এখন সেখানে উড়ছে ইরাকের জাতীয় পতাকা

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের পতনের খবর নিশ্চিত করেছে সন্ত্রাস বিরোধী জনপ্রিয় ‘পপুলার ফ্রন্ট’ বাহিনী। হাশদ আশ-শা’বি নামে পরিচিত এই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরাকে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আর কোনোদিন ফিরে আসতে পারবে না।

হাশদ আশ-শা’বি শুক্রবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, এই বাহিনী সারাবিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় যে, তারা দায়েশ বিরোধী যুদ্ধ বিজয়ী হয়েছে। মসুলের পুরনো অংশ দায়েশের কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে কার্যত এই জঙ্গি গোষ্ঠীর ভুয়া খেলাফতের পরিসমাপ্তি ঘটেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

পপ্যুলার ফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকের আশ-শারকাত, আল-হুয়াইযা ও তাল-আফারের মতো ছোট ছোট এলাকা এখনো দায়েশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে দায়েশ পুরোপুরি নির্মূলের মুখে রয়েছে বলে এসব এলাকাও অচিরের মুক্ত হবে বলে এতে আশা প্রকাশ করা হয়।

এর আগে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি বৃহস্পতিবার মসুল শহরকে সম্পূর্ণ দায়েশমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে জানান, এই জঙ্গি গোষ্ঠীর মিথ্যা খেলাফতের অবসান হয়েছে।  পপ্যুলার ফ্রন্টের সমর্থনপুষ্ট ইরাকের সেনাবাহিনী দায়েশের নিয়ন্ত্রণে থাকা আন-নুরি মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকা পুনরুদ্ধারের পর এ ঘোষণা দেন তিনি।

২০১৪ সালের জুন মাসে হঠাৎ করে কয়েকদিনের ব্যবধানে উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখল করে নেয়। এরপর এই গোষ্ঠীর কাছ থেকে দখলীকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারের কাজে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য দেশটির প্রখ্যাত শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ  সিস্তানির ফতোয়া অনুসারে হাশদ আশ-শা’বি বাহিনী গঠন করা হয়েছিল।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/১