ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২ ১৭:০৬ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনাবাহিনী: ইউক্রেন-প্রথম আলো
  • রাজধানী কিয়েভের কাছে চলছে তীব্র লড়াই, নিহত বিপুল সংখ্যক মানুষ- মানবজমিন
  • ইউক্রেনে চলছে রুশ হামলা: সর্বশেষ পরিস্থিতি-কালের কণ্ঠ
  • ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি নম্বর, ভিসা ছাড়াই যেতে পারবে পোল্যান্ডে-ইত্তেফাক
  • সিএনএনের প্রতিবেদন তুলে ধরেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এতে বলা হয়েছে রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের: বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে : রাষ্ট্রপতি- কালের কণ্ঠ
  • রাশিয়াকে কাবু করার পাঁচ ‘ব্যবস্থাপত্র’- যুগান্তর

ভারতের শিরোনাম:

  • জিততে মরিয়া রাশিয়া মহাকাশেও ছড়াতে পারে যুদ্ধ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতির জেরেই এক মেরুতে পাকিস্তান-রাশিয়া-চিন! বিস্ফোরক রাহুল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • সিট তদন্তে সহযোগিতায় অবশেষে সম্মতি আনিসের বাবার, ওসি-‌কে ভবানী ভবনে ফের তলব–আজকাল

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ইউক্রেন যুদ্ধ

বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের সব পত্রপত্রিকার প্রধান খবর ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলছে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের ১১টি বিমানঘাঁটিসহ ৭০টিরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে। রাজধানী কিয়েভের কাছে চলছে তীব্র লড়াই, নিহত বিপুল সংখ্যক মানুষ-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, সামরিক আগ্রাসন এখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েছের কাছে পৌঁছে গেছে। সেখানে তীব্র লড়াই চলছে রুশ বাহিনী ও ইউক্রেনের মধ্যে। রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ হামলা প্রতিরোধ করার জন্য জীবনমরণ লড়াই করছেন ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেন দাবি করেছে এই লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীর খুব কাছে তুমুল লড়াই চলছে। লড়াই যেহেতু রাজধানীর কাছাকাছি চলছে, তাই এক্ষেত্রে রাশিয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। রাশিয়া কি আসলেই পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে চায়? অনলাইন বিবিসি বলছে, কিয়েভ শহরের বাইরে একটি বিমানঘাঁটিতে লড়াই চলছে।

যদি রাশিয়ার সেনারা তা দখল করে নিতে পারে তাহলে কিয়েভ দখল করা তাদের জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ভোরে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। প্রথমে পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে আক্রমণ করে। কিন্তু সেই লড়াই এখন বিভিন্ন ফ্রন্টে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কড়া সতর্কতা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, হামলা হলে রাশিয়াকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

রাশিয়ান সেনা কিয়েভে ঢুকে পড়েছে

দৃশ্যত, এখন পর্যন্ত হামলার জবাব হামলার মাধ্যমে দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে না কোনো দেশ। সব দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ যাবতকালের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পথেই হাঁটছে। শুধু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি লড়াই চালিযে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তার এ আহবানে সাড়া দিয়েছে ইউক্রেনের মানুষ।

বিয়ের আসর থেকে যুদ্ধের ময়দানে ফারসিন

যুগান্তরের একটি খবরে লেখা হয়েছে, বিয়ের আসর থেকে যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের নবদম্পতি! যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দের মাঝে বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভের সেন্ট মাইকেল ক্যাথেড্রালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন স্ভিয়াতোস্লেভ ফারসিন (২৪) ও ইয়ারিনা আরিয়েভা (২১)।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, এক সুন্দর রেস্তোরাঁর ছাদ বারান্দায় উদ্যাপন করার কথা ছিল জীবনের অন্যতম এই মুহূর্তটা। তার পাশে বহমান দিনেপার নদী। ২১ বছর বয়সী আরিয়েভার ভাষায়, ‘কেবল আমরা ও নদী। সঙ্গে সুন্দর আলো।’কিন্তু সেই স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিচ্ছেন তারা। এই দম্পতি জানেন না, ভবিষ্যৎ তাদের জন্য কী বয়ে আনছে। যুদ্ধের ভয়ে যখন ইউক্রেনের মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, তখন বিয়ের পর নিরাপত্তার খোঁজে কোথাও যাচ্ছেন না এই দম্পতি। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, দেশেই থাকবেন এবং যুদ্ধ করবেন। দেশকে সাহায্য করতে স্থানীয় টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স সেন্টার বা প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে যোগ দিচ্ছেন এই নবদম্পতি। অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, যুদ্ধে যাচ্ছেন বাবা, কেঁদে বিদায় জানাচ্ছেন মেয়ে। যুদ্ধ মানে অনিবার্য ধ্বংস, রক্তক্ষয়, অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি। পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে- দেখা যাচ্ছে, এক শিশুকন্যা তার বাবাকে বিদায় জানাতে এসেছে। বাবা-মেয়ে দুজনের চোখেই পানি। বাবা-মেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে রয়েছে। চোখে ঝরে পড়ল অশ্রুধারা। বাবা বারবার তার মেয়েকে আদর করছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভিডিওটি খুবই আবেগবিহ্বল। আর সেই ভিডিও মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর এই ভিডিও দেখে অনেকেই চোখের পানি চেপে রাখতে পারছেন না।

A Ukrainian father says goodbye to his family, while he stays behind to fight the Russians?#Ukraine #StopWar pic.twitter.com/g3DuFKM5Op

— Lil (@lil_whind) February 24, 2022

বাবা যাচ্ছেন যুদ্ধে-ছোট্ট মেয়ে কাঁদছে

উল্লেখ্য, ভিডিওটি বৃহস্পতিবার রাতে টুইটারে শেয়ার করা হয়েছিল। প্রচুর রিটুইটও হয়েছে। কমেন্টে প্রচুর মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধে যোগদানকারী বাবার সুরক্ষার প্রার্থনাও করেছেন অনেকে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন অনেক মানুষ।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামাতে ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। 

যুগান্তরের খবর- রাশিয়াকে কাবু করার পাঁচ ‘ব্যবস্থাপত্র’ দিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। তিনি বলেছেন,

রাশিয়ার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে * রাশিয়াকে একঘরে করতে হবে * ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ, অর্থ ও মানবিক সহায়তা

সিএনএনের প্রতিবেদন তুলে ধরেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এতে লেখা হয়েছে, রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের। পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। তিন দিক থেকে তারা রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।  

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি শুক্রবার বলেছেন, তাদের সেনাবাহিনী রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনারা রাজধানীর উত্তরে চেরনেহেভ এলাকায় রুশ বাহিনীর বড় জয় ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। চেরনেহেভ থেকে সেদনিভে এবং হোরোডনিয়া থেকে সেমেনিভকা অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক যান পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। তবে রাজধানী কিয়েভের উত্তরে অবস্থিত হোস্তোমেল বিমানঘাঁটি দখলের পর রুশ বাহিনী সেখানে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনা মেলিয়ার শুক্রবার এক টুইট বার্তায় বলেন, ভোরজেল এবং আশপাশের এলাকায় রুশ বাহিনী আক্রমণ করতে পারে। রাজধানী কিয়েভ থেকে এ্টা ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

ইউক্রেনের এই মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের দুটি সামরিক যান দখল করেছে। ইউক্রেন সেনাদের ইউনিফর্ম পরে তারা কিয়েভে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন,  ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, সারা বিশ্বে অস্থিরতার নতুন যুগের সূচনা।

ইউক্রেন যুদ্ধ

ইউক্রেন যুদ্ধ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, বিশ্ববাজারে নেতিবাচক বাণিজ্যের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা। তারা বলেছেন, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন ইস্যু। এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে। তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাবে বাংলাদেশ।

সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে চাপ পড়বে। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানির ওপরে চাপ সৃষ্টি হবে। এতে দ্রব্যমূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। যদি এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে সমস্যাটা আরও প্রকট হতে পারে এবং সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, প্রথমত; এটা বড় কোনো যুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করি না। সে কারণে প্রভাবটাও তেমন হবে না। যুক্তরাষ্ট্রও চাইবে না এটা হোক, এমনকি তারাও চায় না। কারণ যুদ্ধ হলে উভয়েরই বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ছে এটার অন্য কারণ আছে। তেল উত্তোলন কম হচ্ছে। মোট কথা, এর ফলে আমাদের অর্থনীতি এবং দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতেও খুব বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করি।

তবে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, কেমন প্রভাব ফেলবে সেটা নির্ভর করছে এটি কতদিন দীর্ঘায়িত হবে। তবে ইতিমধ্যেই তো তেলের দামে প্রভাব পড়েছে। তেলের দামে প্রভাব পড়লে অন্যান্য পণ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। যদি এটা দীর্ঘ সময় থাকে তবে সমস্যাটাও সুদূরপ্রসারী হতে পারে। রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিচ্ছে। সেগুলোর সঙ্গে আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পর্ক আছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে শুরু করে রাশিয়ার বাণিজ্য ইত্যাদি। সেগুলোর ওপরেও এর একটা অভিঘাত পড়তে পারে। তিনি বলেন, এই সমস্ত সংকট সমগ্র বিশ্বকে একটা বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এটা খুবই বিপজ্জনক। সারা বিশ্বের অর্থনীতির ক্ষেত্রে, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, জিনিসপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যার বিস্তৃতি ঘটাতে পারে। এটার স্বল্পমেয়াদি প্রভাব তো আছেই, এর সঙ্গে যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদেশি সাহায্য- এগুলোর ওপরেও প্রভাব পড়তে পারে। তবে আপাতত তেলের দাম, গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। এটার ফলে অন্য জিনিসপত্রের দামও বেড়ে যাবে।

ইত্তেফাকে এ সম্পর্কিত কয়েকটি খবর তুলে ধরছি। ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জরুরি যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, যারা রোমানিয়ার দিক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করতে চান এবং মলদোভা সীমান্ত অতিক্রম করতে চান তাদের জন্য যোগাযোগ নম্বর +৪০ (৭৪২) ৫৫৩ ৮০৯। এর আগে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন,  পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ছাড়া উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্র বৈধ পাসপোর্টধারীরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে পাসপোর্ট প্রদর্শন করে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন। প্রথম আলো লিখেছে, ইউক্রেনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন পোল্যান্ড সীমান্তে ছুটছে।

পিলখানা ট্রাজেডি

পিলখানা ট্রাজেডি সম্পর্কে বাংলাদেশের সব পত্রিকায় ভিন্ন ভিন্ন খবর পরিবেশিত হয়েছে। লেখা হয়েছে, ফুলেল শ্রদ্ধায় পিলখানা ট্রাজেডির শহীদদের স্মরণ করা হলো। এ সম্পর্কে মানবজমিনের দুটো খবর তুলে ধরছি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল সেজন্য তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। শুক্রবার বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্রাজেডিতে শহীদ সেনাকর্ম কর্তাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি গোটা জাতির জন্যে একটা অত্যন্ত শোকাবহ দিন। একই সঙ্গে একটা আতঙ্কেরও দিন এজন্য যে এই দিনে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর ৫৬জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এটা শুধুমাত্র একটা বিদ্রোহ ছিল না, এর পেছনে সুদূরপ্রসারী একটা ষড়যন্ত্র ছিল। তার মূল কারণটা ছিল সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেয়া। তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আজকে এত বছর পরেও তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এর পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তার বের হয়নি।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, রায়ও কার্যকর হবে’।এজন্য ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। বলেন, আপনারা এটাও দেখেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করতে অনেক সময় লেগেছে। তারপরও আজ আমরা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছি। আমাদের থেকে কালো দাগ মুছে গেছে। আমাদের কপালে আর কালো দাগ নেই।আমরা অবশেষে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি।

পিলখানা ট্রাজেডি, এক মায়ের কান্না থামেনি

পিলখানা ট্র্যাজেডি-১৩ বছর পরও কান্না থামেনি এক মায়ের-মানবজমিনের এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ১১২ বছরের জুলেখা বেগম। পুত্র ও পুত্রবধু হারানোর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেরাচ্ছেন তিনি। বয়সের ভারে প্রায় অচল। মনে রাখতে পারেন না তেমন কিছুই। পরিবারের অন্যদের সহায়তায় চলে সব কাজ। স্বামী চলে গেছেন প্রায় দেড় যুগ আগে। জীবন সায়াহ্নে এসে এখনো স্মৃতিতে ডুব দেন আর দেলুর (লেঃ কর্ণেল দেলোয়ার) কথা মনে করে। কাঁদেন প্রতিনিয়ত।

দু’বছর আগেও জানতে চাইতেন পুত্র ও পুত্রবধুর খুনীদের ফাঁসি হয়েছে কিনা? এখন আর এসব মনে করতে পারেন না, শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন আর নির্বাক অশ্রুপাত করেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী বিডিআর’র কিছু বিপথগামী জওয়ানের নৃশংসতায় যে ক’জন সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছিলেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুর বাজারস্থ নিজমেহার পাটোয়ারি বাড়ির লেঃ কর্ণেল (অবঃ) দেলোয়ার হোসেন তাদের একজন।

জমি নিয়ে বিরোধ-রুমায় একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে হত্যা-প্রথম আলোর এ মর্মান্তিক এ খবরে লেখা হয়েছে, বান্দরবানে রুমা উপজেলার গালেংগ্যা ইউনিয়নে কার্বারীসহ (পাড়াপ্রধান) একই পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাড়াপ্রধানের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাড়ার বাসিন্দারা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাড়াবাসী কেন কার্বারী ও তাঁর পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হলেন, তদন্তে জানা যাবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে।

 এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

জিততে মরিয়া রাশিয়া মহাকাশেও ছড়াতে পারে যুদ্ধ

জিততে মরিয়া রাশিয়া মহাকাশেও ছড়াতে পারে যুদ্ধ, ধ্বংস করতে পারে উপগ্রহ, জিপিএস ব্যবস্থা!-এটি আনন্দবাজার পত্রিকার খবর। এতে লেখা হয়েছে, আমেরিকার গোয়েন্দা উপগ্রহগুলি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ন্যাশনাল রিকনাইস্যান্স অফিস। সংস্থার অধিকর্তা ক্রিস্টোফার স্কোলেস এই হুঁশিয়ারি দিলেন। দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, ইউক্রেন সুন্দরীরা নয়া সঙ্কটে, যুদ্ধের মাঝেই রুশ সৈনিকেরা লোভ দিচ্ছে শরীরে

রুশ সৈনিকদের ডেটিং আবদার আসতে শুরু করার পরেই টিন্ডারের মহিলা গ্রাহকরা সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। বদলে ফেলছেন লোকেশন।

আকাশে বারুদের গন্ধ এদিকে অন্য বিপদ তাড়া করছে কিভের রমনীদের

আকাশে বারুদের গন্ধ। পদে পদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়। সব মিলিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ যেন এক সন্ত্রস্ত শহর। রাশিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ রাজধানী ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু অন্য বিপদ তাড়া করছে কিভের রমনীদের। ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে বন্ধুত্বের আবদার। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব চাইছে শত্রুপক্ষ রাশিয়ার সৈনিকরাই। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রুশ সৈনিকদের লোভ থেকে শরীর বাঁচাতে ইউক্রেনের মহিলারা তাই ঠিকানা বদলে দিচ্ছেন তাঁদের টিন্ডার অ্যাপে। কিন্তু তাতেও কতটা রক্ষা পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না। কারণ, চারদিকে শত্রু শিবিরের সামরিক বাহিনী। আর তার মধ্যেই মিশে রয়েছে লোলুপ চোখ। আর আজকালের একটি খবরে লেখা হয়েছে, অসহায় ইউক্রেনের মানুষ, সাহায্যার্থে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ জাতিসংঘের।

সিট তদন্তে সহযোগিতায় অবশেষে সম্মতি আনিসের বাবার, ওসি-‌কে ভবানী ভবনে ফের তলব-আজকাল

অবশেষে সিটের তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানালেন আনিসের বাবা সালাম খান।

হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরই কাটল জট। আদালতের নির্দেশ মেনে সিটকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনিস খানের পরিবার। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ের পর রাতে সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে বাবা সালাম খান ও পরিবারের অন্যরা কথা বলেছেন। দাবি মেনে রাতেই কবরস্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। শুক্রবার টিআই প্যারেড করা হবে। সেখানে যাবেন মৃতের বাবা।এদিকে শুক্রবার ফের আমতা থানার ওসি-‌সহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতির জেরেই এক মেরুতে পাকিস্তান-রাশিয়া-চিন! বিস্ফোরক রাহুল-সংবাদ প্রতিদিন

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধকে (Russia-Ukraine War) হাতিয়ার করে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতিতেই আজ এক মেরুতে চলে এসেছে পাকিস্তান, চিন এবং আমেরিকা। আর এই নয়া ত্রয়ী ভারতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

শুক্রবার এক টুইটে কংগ্রেস নেতা বেশ কয়েকটি খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। যার মূল বক্তব্য হল ভারত সরকারের ভ্রান্ত নীতি পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়াকেও (Russia) এক সারিতে এনে দাঁড় করিয়েছে। এবং রাশিয়া-চিন-পাকিস্তানের এই আঁতাঁত ভারতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৫