কথাবার্তা
পাকিস্তানে বসেছে জাতীয় সংসদ: অনাস্থা ভোট মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত ইমরান?
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৯ এপ্রিল শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
- মতামত-বাংলাদেশের দশাও কি শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে:
- পাকিস্তানে এখন বাবা ছেলের চমকের অপেক্ষা-প্রথম আলো
- ‘আমদানি’ করা সরকার মানি না, জনগণের কাছে ফিরে যাব: ইমরান খান-মানবজমিন
- দেশের অধিকাংশ ওষুধের মান যুগোপযোগী নয়-ইত্তেফাক
- পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন শুরু-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- অনাস্থা ভোট মোকাবিলায় কতটা প্রস্তত ইমরান খানের দল?-যুগান্তর
- ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক এক্সই ভেরিয়েন্ট -কালের কণ্ঠ
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
কংগ্রেস ছাড়াই বিরোধী জোট, তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি কেরল সিপিএমের-সংবাদ প্রতিদিন
যোগীর মুখের জায়গায় বাঁদরের মুখ! শোরগোল নেট দুনিয়ায়-আজকাল- আজকাল
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
পাকিস্তান- কি হতে যাচ্ছে ! নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বইলির অধিবেশন শুরু হয়। গত বৃহষ্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেয় বিচারপতিদের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালাতের রায় অনুযায়ী, আজ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের অধিবেশন আহ্বান করতে বাধ্য হয় জাতীয় পরিষদের স্পিকার।ফলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সুপ্রিম কোটের নির্দেশ মেনে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বাকিটা দেখার অপেক্ষায়। এ সম্পর্কিত খবরে দৈনিক মানবজমিন একটি শিরোনাম করেছে এরকম-

‘গেম চেঞ্জার’। এতে লেখা হয়েছে, ইমরান খানের মতো চরিত্র! খুব বেশি নয়।রাজনীতিতে তার উত্থান নাটকীয় নয়। মাঠে থেকেছেন দীর্ঘদিন। ধীরে ধীরে জমিন তৈরি করেছেন। শেষ পর্যন্ত বসেছেন মসনদে। অনেক আশা দিয়েছিলেন। তার বেশির ভাগই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। কিন্তু সম্ভবত পাকিস্তানে এক ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন তিনি। সে যাই হোক। খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দফায় মেয়াদ আজই শেষ হচ্ছে কিং খানের। জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। যে ভোটে তার জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও ইমরান খান বলেছেন, শেষ বল পর্যন্ত লড়বেন তিনি।
বেশ কিছুদিন থেকেই ছিলেন চাপে। বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব। নিজ দলের ভেতরে বিদ্রোহ বা বিশ্বাসঘাতকতা। জোট সঙ্গীদের ত্যাগ। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। সবমিলিয়ে একেবারে কোণঠাসা। এরইমধ্যে ৩রা এপ্রিল রীতিমতো চমক দেখালেন। বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করে দেন তার অনুগত ডেপুটি স্পিকার। তার পরামর্শে প্রেসিডেন্ট ভেঙে দেন জাতীয় পরিষদ। ইমরানের রিভার্স সুইংয়ে রীতিমতো তাজ্জব বনে যান রাজনীতির ঝানু পণ্ডিতরাও। তখনই অবশ্য প্রশ্ন ওঠে বলটি কি ‘নো’ ছিল? সেদিন সন্ধ্যায়ই মঞ্চে আবির্ভূত হন উমর আতা বান্দিয়াল। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। ইস্যু করেন সুয়োমটো রুল। সাফ জানিয়ে দেন, সংবিধানের ঊর্ধ্বে কেউ নন। পরীক্ষা করা হবে ডেপুটি স্পিকারের রুলিং ও প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত। পাঁচদিন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রাতে রায় ঘোষণা করে তার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ। পুরো খেলাটিই পাল্টে দেয়া হয়েছে। অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে ডেপুটি স্পিকারের রুলিং। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পুনর্বহাল করা হয়েছে জাতীয় পরিষদ। বিবিসি’র উর্দু বিভাগের মতে, এই রায়ের অর্থ হলো বিরোধীদল শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট করে তাকে পরাজিত করবেন এবং তাকে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে। পাকিস্তানের আইনবিদরা এ রায়কে বলছেন ঐতিহাসিক। সংবাদমাধ্যমের ভাষায়, সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষা করা হয়েছে। বিরোধিরা উচ্ছ্বসিত। প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই গেম চেঞ্জার উমর আতা বান্দিয়াল?
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক সংকটকে ঘিরে যে নাটকীয়তা চলছে তার প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছেন প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল। এ মামলার শুনানি চলাকালে বারবারই স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ডেপুটি স্পিকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। বিচারের ক্ষেত্রে বেঞ্চের অন্য চার বিচারপতিও তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। এই ঘটনার মাত্র দু’মাস আগে তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। নিজের বিচক্ষণতা এবং সুষ্ঠু মানসিকতার জন্য বহু আগেই নাম করেছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর তিনি বাড়তি চাপে পড়তে যাচ্ছেন তা আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। কর্মক্ষেত্রে তার সহকর্মীদের ভাষায়, বিচারপতি বান্দিয়াল অত্যন্ত কোমলভাষী। তার সময়ে বেঞ্চ এবং বারের মধ্যে সম্পর্ক হবে আন্তরিক এ আশা ছিল সবার। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবারই সরকারগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সে ধারাবাহিকতাই যেন রক্ষা করলেন বিচারপতি বান্দিয়াল।
‘আমদানি’ করা সরকার মানি না, জনগণের কাছে ফিরে যাব: ইমরান খান-মানবজমিন
আমি ‘আমদানি’ করা সরকার মানি না। এর বিচারের জন্য জনগণের কাছে ফিরে যাবো। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে মর্মাহত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তা সত্ত্বেও জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের সিদ্ধান্তে আমি বিচারবিভাগকে সম্মান করি। তাদের দেয়া রায় আমি মেনে নিয়েছি। ইমরান খানকে এক সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময়কে স্মরণ করে তিনি বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দেশে ন্যায়বিচারের অভিভাবক হলো বিচার বিভাগ। তিনি আরও বলেন, দেশের বিচার বিভাগকে তিনি যখন শ্রদ্ধা করেন তখন সুপ্রিম কোর্টের কমপক্ষে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয় তদন্ত করা উচিত ছিল।
পক্ষান্তরে সুপ্রিম কোর্ট ‘হুমকিমূলক চিঠি’র বিষয়কে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় তিনি হর্স ট্রেডিং বা তার দলের নেতাদের অর্থের বিনিময়ে কিনে নেয়ার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৩(এ)-এর সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করেন। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ হলো আমাদের ভবিষ্যত। তারা যদি দেখে নেতারা তাদের বিবেক বিক্রি করে দিচ্ছেন, তাহলে তাদের সামনে আমরা কি শিক্ষা রেখে যাচ্ছি? এমনকি সংরক্ষিত আসনে যেসব ব্যক্তিকে এমপি বানানো হয়েছিল, তারাও অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই দাঁড়াবে জাতি বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান। বলেন, যদি জাতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং দেশে অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর উন্নত না করে তাহলে কেউই তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না।
হুমকিমূলক চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, এই চিঠি মিডিয়া বা পাবলিকের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কারণ এটা কোড সম্বলিত। এই কোড প্রকাশ হলে পাকিস্তানের অনেক গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়বে। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ আছে। আমি চাই সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে দৃষ্টি দেবে। কারণ, এটা অত্যন্ত গুরুতর এক অভিযোগ। বিদেশি একটি দেশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার দেশের সরকারকে উৎখাত করতে চায়। এ জন্য সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত করবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যে একটি মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে যে- আমি ইমরান খানের রাশিয়া সফর করা উচিত হয়নি। অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই ইমরান খান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করেন। বলেন, যদি ইমরান খান এই অনাস্থা প্রস্তাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন, তাহলে পাকিস্তানের সামনে ভয়াবহ পরিণতি আসবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা আগেই জানতেন যে, তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়া হবে না। তারা আরও জানে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারলে পাকিস্তানে কে ক্ষমতায় আসবে।ভাষণে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফের কড়া অভিযোগ আনেন ইমরান। শাহবাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তিনি তো দৃশ্যত শপথ গ্রহণের জন্য তার শেরওয়ানি পর্যন্ত প্রস্তুত করে ফেলেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বিদেশি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
এবার ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানে-মানবজমিন/
জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বার বার আইন, পার্লামেন্টারি রীতি, গণতান্ত্রিক আদর্শ ও রীতি ভঙ্গ করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী দল। দলের পক্ষে জাতীয় পরিষদের সেক্রেটারিয়েটে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন জাতীয পরিষদের সদস্য মুরতাজা জাভেদ আব্বাসি। এর আগের সপ্তাহে জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কাইসারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দল। এ খবর দিয়ে অনলাইন জিও টিভি বলছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে যখন অনাস্থা ভোট হতে যাচ্ছে শনিবার, প্রায় সেইক্ষণেই ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একই প্রস্তাব আনা হলো শুক্রবার। দৃশ্যত, তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা প্রস্তাব থেকে বাঁচাতে এই প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তার রায়কে খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।পুনর্বহাল করা হয়েছে জাতীয় পরিষদ।
দেশের অধিকাংশ ওষুধের মান যুগোপযোগী নয়-ইত্তেফাক
দেশের অধিকাংশ ওষুধের মান যুগোপযোগী নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রতিবছর হালনাগাদ হচ্ছে ওষুধের মান। কিন্তু বাংলাদেশে একই মানের ওষুধ চলছে যুগের পর যুগ। এছাড়া ওষুধের কোল্ড চেইন মানা হচ্ছে না। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধগুলো রাখতে হয়। অর্থাৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ওষুধ রাখা জরুরি। কিন্তু দেশের ৯৯ ভাগ ফার্মেসীতে নেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এতে ওষুধের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। আর রোগীর রোগ সারাতে বারবার ওষুধ পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয় ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাচ্ছে অনেকে।
তবে ২৪৮টি ওষুধ কোম্পানির মধ্যে ২০টি কোম্পানির ওষুধ মান আন্তর্জাতিক মানের। এই ২০টি কোম্পানির ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। তারা বিশ্বের শতাধিক দেশে ওষুধ রপ্তানি করে। তবে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করার জন্য ৭২টি ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে ওষুধ কোম্পানির জিএমপি সক্ষমতা যাচাই বিষয়ক পরির্দশন কমিটি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ২/১টি ছাড়া অন্য কারো বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
১২ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে লোকসান সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা-টিসিবির লোকসান বেড়েছে পাঁচ গুণেরও বেশি-ইত্তেফাক
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের লোকসান কমছে না। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের লোকসান কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। লোকসান বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকির চাপও বেড়ে গেছে। একইভাবে সরকারি বহু প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের দায়দেনা যেমন রয়েছে, তেমনি পরিষেবা বিল বাবদও বড় অঙ্কের টাকা বকেয়া থাকছে প্রতি বছরই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লোকসান করলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন করা হয় এবং বছরের পর বছর লোকসানি সংস্হাগুলোকে ভর্তুকি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা না করা, ব্যবস্হাপনায় অযোগ্যদের স্হান পাওয়াসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত লোকসান দিয়েই আসছে। হাল আমলে এসব লোকসানের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরে সরকারি ১২টি প্রতিষ্ঠানের নিট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা।
আলোচনায় বাংলাদেশিরাও-যে কারণে বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি বন্ধ করছে কানাডা-মানবজমিন
গত কয়েক বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে কানাডার হাউজিং মার্কেট। গত দু’বছরে বাড়ির দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। এর পেছনে দায়ী করা হচ্ছে বাইরে থেকে দেশটিতে পাচার হওয়া অবৈধ অর্থকে। কালো টাকাকে সাদা করতে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিবাজদের অন্যতম পছন্দ কানাডায় বাড়ি কেনা। এবার তা থামাতে আগামী দুই বছর বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি বন্ধে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। আশা করা হচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে কমে আসবে কানাডার বাড়ির মূল্য। এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে আসায় আলোচনায় এসেছেন এক শ্রেণির বাংলাদেশিরাও। বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কানাডার হাউজিং খাতের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে এক শ্রেণির বাংলাদেশির অবদান রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রবাসীদের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নগদ অর্থ দিয়ে বাড়ি কিনেছেন বলে এর আগে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এসব সম্পত্তির অনেকগুলোই কেনা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া দুর্নীতির অর্থ দিয়ে।
‘আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও’ছো্ট্ট শিশু আল মেহেদির আকুতি-মানবজমিনের মর্মান্তিক এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাবা কোথায়? বাবাকে ফিরিয়ে দাও। আমরা কষ্ট পাচ্ছি। আমরা ছোট বাচ্চা। আমাদের কষ্ট দিও না। চার বছর বয়সী জালসান বিনতে হাসান। বাবাকে দীর্ঘ পাঁচ মাস না দেখার যন্ত্রণায় কাতর। এরই বহিঃপ্রকাশ তার এ আকুতি। তার ছোট ভাই আফরাহিম আল মেহেদী।অনেক কিছুই বুঝতে পারে না এখনো। মুখ ভার করে থাকে প্রায়ই।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মাহমুদের বড় সন্তান ইমাম মাহাদী ডলার। গত ৬ই নভেম্বর ফুলবাড়িয়ার ছনকান্দা বটতলা এলাকায় নিজের ফিশারি প্রজেক্ট থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরিবারের দাবি, সাদা পোশাকে ৪-৫ জন লোক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে আরও ২টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন ছিল।
নিখোঁজ ডলারের মেয়ে জালসান বিনতে হাসান বলেছে, আমার বাবা হারিয়ে গেছে। আল্লাহ আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও। আমারা দুই ভাইবোন ছোট। আম্মুও কষ্ট পাচ্ছে। আমাদেরকে আর কষ্ট দিও না। আমরা সবসময় বাবার অপেক্ষায় থাকি। আম্মুকে সবসময় বলি আম্মু আমার বাবা কোথায়? আমি ঘুমিয়েও বলি আমার বাবা কোথায়? বাবাকে না দেখলে বুকের মধ্যে অনেক কষ্ট হয়। সবাই আমার বাবাকে খুঁজে দেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোনতাহেনা পিংকি বলেন, আমার স্বামী যদি কোনো অন্যায় করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুক। তাকে শাস্তি দিক। এভাবে গুম করে রাখা হয়েছে কেন? আমার বাচ্চাগুলোকে কারা এমন কষ্ট দিচ্ছে। সরকারের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যেন সুস্থ শরীরে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। আমার বাচ্চারা যেন বাবা হারা না হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য
ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক এক্সই ভেরিয়েন্ট-কালের কণ্ঠ
ওমিক্রনের চেয়ে বেশি সংক্রামক করোনাভাইরাসের এক্সই ভেরিয়েন্ট বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ডা. মিলন হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৭১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট এক্সই নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, সম্প্রতি ভারতে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট এক্সই। মুম্বাইয়ের একজনের শরীরে কভিড-১৯-এর নতুন এই ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই ‘এক্সই’ রূপ ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।তিনি আরো বলেন, চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লকডাউন দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। হংকং তাইওয়ানের অবস্থা তেমন ভালো নয়।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
কংগ্রেস ছাড়াই বিরোধী জোট, তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি কেরল সিপিএমের-সংবাদ প্রতিদিন

বিজেপির (BJP) কাছে বারবার হারছে কংগ্রেস। অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। পাশে দাঁড়াল কেরল সিপিএম (CPM)। বিজেপি বিরোধিতায় ইউপিএ-র (UPA) পুনরাবৃত্তি নয়। কারণ কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধিতা প্রশ্নের মুখে। আন্তরিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে জোট হোক। সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে দাবি তুলল কেরল সিপিএমের হেভিওয়েট প্রতিনিধিরা। যদিও বাম, গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোটের লাইনে চূড়ান্ত সিলমোহর দিলেন প্রতিনিধিরা। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলোকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাতে সাড়াও মিলছে। কেরল সিপিএমের হেভিওয়েট নেতাদের এমন দাবি কংগ্রেস সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে মান্যতা দেয় বলেই মনে করছেন পার্টি কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।
হিন্দি চাপিয়ে দিলে মানব না, অমিত শাহের বার্তা একসুরে খারিজ বিরোধীদের-সংবাদ প্রতিদিন
সরকারি কাজে ইংরেজি নয়, আরও বেশি করে ব্যবহার করা হোক হিন্দি। দেশের সংহতি আরও মজবুত করতে ইংরেজিকে সরিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হোক হিন্দিকে। সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির ৩৭তম বৈঠক শেষে এমনই বার্তা দিয়েছেন কমিটি প্রধান তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর এহেন বার্তাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, নিন্দা, প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযোগ, শাহের বক্তব্যে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, বিদেশি ভাষার পরিবর্তে দেশীয় ভাষার আরও প্রসার করতে চাইছে কেন্দ্র, কিন্তু নেপথ্যে বিজেপির ‘এক দেশ, এক ভাষা’ চাপিয়ে দেওয়ার এজেন্ডা রয়েছে। অনেকের মতে, বিজেপির অন্যতম গোপন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলা, তামিল, তেলুগু, উর্দুর উপর হিন্দির দাদাগিরি কায়েম করা। জাত্ম্যাভিমানে সুড়সুড়ি দিয়ে হিন্দিকে ইংরেজির বিকল্প হিসাবে সামনে এনে আদতে হিন্দির আগ্রাসন চালাতে চাইছে বিজেপি সরকার।
শাহের বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, ডিএমকে। বাংলা থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি দিল্লিতে বলছেন, “হিন্দি দিয়ে পেট ভরবে তো? মুদ্রাস্ফীতি, বেকারি-সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এখন হিন্দি নিয়ে পড়েছে ওরা।” কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মত, “হিন্দি কখনই আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা ছিল না। তা হতে দেবও না।”
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “হিন্দি ভাষাকে আমরা শ্রদ্ধা করি৷ হিন্দিভাষীদেরও শ্রদ্ধা করি৷ হিন্দি ভাষাভাষী শিল্পী, সাহিত্যিক, সাধারণ মানুষ সকলকে ভালবাসি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে আগ্রাসনের একটা ভয়ংকর ইঙ্গিত দিয়েছেন, আমরা তা সমর্থন করি না। বিরোধিতা করি। ইংরেজি ব্যবহারের বদলে উনি হিন্দি ভাষার কথা বলেছেন। আর একটি ভাষা ব্যবহার করেছেন, ল্যাঙ্গুয়েজ অফ ইন্ডিয়া। আমি সবিনয়ে মনে করিয়ে দিতে চাই হিন্দি কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র ভাষা নয়। আমাদের কোনও রাষ্ট্র ভাষা নেই। এখানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাষা রয়েছে। আমাদের ভাষা বাংলা।
যোগীর মুখের জায়গায় বাঁদরের মুখ! শোরগোল নেট দুনিয়ায়-আজকাল
যতই সতর্কতা থাকুক, হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য রোখা যাচ্ছে না। এবার হ্যাক হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) টুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট। শুক্রবার গভীর রাতে হ্যাক হয়ে যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট। আচমকাই একের পর এক অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট হতে থাকে। দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদলে সেখানে বসানো হয়েছে একটি বাঁদরের কার্টুন চরিত্র। শেষ পর্যন্ত ঘণ্টা চারেক পরে ফের অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে ততক্ষণে প্রায় শ’খানেক টুইট করা হয়ে গিয়েছে ওই অ্য়াকাউন্ট থেকে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৯