জানুয়ারি ০৯, ২০২৩ ২১:১৪ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আপনাদেরই চিঠিপত্রের আসর 'প্রিয়জন'। আজকের আসর উপস্থাপনার রয়েছি আমি গাজী আব্দুর রশীদ এবং আমি আকতার জাহান।

আকতার জাহান: প্রিয়জনের প্রযোজক আশরাফুর রহমান ভাই ছুটিতে থাকায় আজকের অনুষ্ঠানে হাদিস শোনানোর দায়িত্বটা আমিই পালন করছি। আমিরুল মুমেনীন হযরত আলী (আ.) বলেছেন: "তার সাথে বন্ধুত্ব রেখো না; যে তোমার দোষ-ত্রুটি মনে রাখে কিন্তু গুণগুলো ভুলে যায়!"

গাজী আব্দুর রশীদ: বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে চমৎকার দিকনির্দেশনা জানলাম এই বাণী থেকে। আমরা সবাই তা মেনে চলার চেষ্টা করব- এ আহ্বান রেখে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংড়া গ্রাম থেকে আলমিন সেখ হিরামন পাঠিয়েছেন বেশ কয়েকটি ইমেইল। একটিতে তিনি লিখেছেন, "গত ২২ ডিসেম্বর প্রচারিত রংধনু আসরটি ছিল ভাষা শেখার গুরুত্ব সম্পর্কে। ভাষা না জানার কারণে আঙুর ফল নিয়ে চার ভিক্ষুকের মতবিরোধ সম্পর্কে প্রচারিত গল্পটি খুবই আকর্ষণীয়, মজার ও শিক্ষণীয় ছিল। এ রকম একটি অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রেডিও তেহরান বাংলাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।" 

আকতার জাহান: ভাই আলমিন সেখ হিরামন, মাওলানা রুমির মসনবী থেকে নেওয়া 'মতবিরোধ' গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমাদেরও ভালো লাগছে। আশা করি আমাদের অন্য অনুষ্ঠানগুলো সম্পর্কেও লিখবেন।

বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার দক্ষিণ বন্দর কর্মকার পট্টি থেকে কৃষ্ণ কর্মকার (কৌশিক) পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।   

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান বাংলার প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা  শ্রুতিমধুর লাগে। গত ২০ ডিসেম্বর প্রচারিত দৃষ্টিপাত অনুষ্ঠানটি খুব ভালো লেগেছে। একইদিনের দর্পন, কথাবার্তা এবং গল্প ও প্রবাদের গল্প অনুষ্ঠানটিও ছিল তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয়।"  

গাজী আব্দুর রশীদ:  আমাদের কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে চিঠি লিখায় ভাই কৃষ্ণ কর্মকার (কৌশিক) আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থেকে দেবাশীষ গোপ পাঠিয়েছেন বেশকিছু ইমেইল। একটি মেইলে রেডিও তেহরানের কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, "জীবনের জটিল অঙ্কের সহজ সরল সমাধান রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান। জীবনের নানাবিধ ঘটনার সাক্ষী রেডিও তেহরান। জীবনকে সুস্থ, সুন্দর করে গড়ে তোলে রেডিও তেহরান। এ বেতারের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান 'নারী: মানব ফুল' নারীদের আদর্শ ভূমিকার কথা বলে। রংধনু ছোটদের উপযোগী খুবই সুন্দর একটি অনুষ্ঠান। আর কুরআনের আলো জীবনের চলার পথে আলো দেখায়।"

আকতার জাহান: আমাদের কয়েকটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানানোয় ভাই দেবাশীষ গোপ আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটিও এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে। আর পাঠিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বারুইপাড়ার শ্রোতা এস এম নাজিমউদ্দিন।

রেডিও তেহরানের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতা আবদুর রহমান খানের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানের জন্যে ঢাকা থেকে পাঠানো তাঁর বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন আমাদের মন কেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর গলার স্বর শুনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ওনার ভরাট গলার স্বর এখনও মনের জানালায় উঁকি দিচ্ছে। আমরা রেডিও তেহরানের একজন শুভাকাঙ্ক্ষীকে হারালাম। মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন এই কামনা করি।"

গাজী আব্দুর রশীদ: সহকর্মী আবদুর রহমান খানের মৃত্যুতে বাংলাদেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও শোক প্রকাশ করেছে। শোকাহত হয়েছেন রেডিও তেহরানের অগণিত শ্রোতা। সবাই তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেছেন। আমরাও তার মাগফিরাত কামনা করছি এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

আকতার জাহান: বাংলাদেশের ঢাকা সেনানিবাস থেকে মোঃ সোহেল রানা হৃদয় পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

হযরত ঈসা (আ.)-এর পবিত্র জন্মদিন উপলক্ষে প্রচারিত বিশেষ আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, আল্লাহর বরকত পূর্ণ এক সৃষ্টির নাম ঈসা (আ.)৷ পিতার ঐরশ ছাড়া ঈসা (আ.)-এর জন্ম তৎকালীন সমাজে কুমারী মা মারিয়মকে নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাবের জন্ম দেয়। আল্লাহর বিশেষ কুদরতে যে শিশুর জন্ম তিনিই পরবর্তীতে আল্লাহর বিশেষ বাণী প্রাপ্ত হন। তাঁর জীবন সংহারের জন্য ইহুদীরা সকল ধরনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আল্লাহর বিশেষ কুদরতে তাঁকে জীবিত উঠিয়ে নেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনে পর আবার ইসলাম প্রচারের কাজ করবেন এবং ঈমাম মেহেদী (আ.)-এর ইমামতিতে নামাজ পড়বেন।"

গাজী আব্দুর রশীদ: হযরত ঈসা (আ.)-এর জীবন সম্পর্কে বর্ণনাভিত্তিক লেখাটির জন্য ভাই সোহেল রানা হৃদয় আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ঢাকা কলোনী থেকে বিধান চন্দ্র সান্যাল পাঠিয়েছেন বেশকিছু ইমেইল। একটি মেইলে তিনি একটি স্বরচিত কবিতা পাঠিয়েছেন।  "আমার নিবেদন" শিরোনামের কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন বিধান দা নিজেই। তাহলে আর দেরি না করে কবিতাটি শোনা যাক। 

আমি প্রিয়জন পরিবারের অবুঝ পাগলা শিশু !

ভূমিষ্ঠ শিশুর শুনছেন বুঝি আপনারা ক্রন্দন ধ্বনি !

এই ছোট্ট শিশুকে আপন করে নেবেন সবাই একটুখানি।

আমার আশা, প্রত্যাশা, প্রিয়জন পরিবারে নিবেদন করি।

প্রিয়জন পরিবারে আছেন বহু জ্ঞানী গুণী লেখক সাহিত্যিক কবি,

আছেন আবৃত্তিকার,আরো কতো গুণী শিল্পী।

আমি প্রতিদিন  শুনি  নানা শ্রুতিমধুর কথা,

 সুন্দর অনুষ্ঠান  শুনে  প্রাণের স্পন্দন জাগে ! 

আমি হই আত্মহারা !

আমি যে ভোরের পাখি, সাত সকালে উঠি,

রাত জেগে কত  কথা বলি, আমি একা একা !

অন্তর কথায় কবিতা লিখি।

আমি মিলনের কবিতা পড়ি, অমৃত গীতসঙ্গীত শুনি,

 শুনি মহানবীর বাণী।

 মন প্রাণ ভরে উঠে ! হয় আত্মশুদ্ধি !

ভাবি প্রতি ক্ষণে, ক্ষণে,

এই বিশ্বে আছেন, কত মহান ব্যক্তি, কতো জ্ঞানীগুণী,  মহাপুরুষ।

 আমি খুবই গৌরবান্বিত! প্রিয়জন পরিবারের আমি যে অবুঝ সদস্য, সদ্য  ভূমিষ্ঠ পাগলা শিশু।

প্রিয়জনের সকলের কাছে আমার প্রার্থনা,

প্রেমময় ভালোবাসায় সকলের হৃদয়ে যেন নিতে পারি ঠাঁই,

প্রিয়জনের সকলের মঙ্গল কামনার  মিনতি করি, শত সহস্রবার,

২০২২ এর মতো প্রিয়জনের সাথে থাকতে পারি বারবার।

গাজী আব্দুর রশীদ: প্রিয়জন অনুষ্ঠানের সাথে শ্রোতারা সবসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখুন আমাদের প্রত্যাশাও তাই। তো চমৎকার কথামালায় সাজানো কবিতাটির জন্য বিধান চন্দ্র সান্যাল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটিও ভারতের। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ইসলামপুর থেকে এটি পাঠিয়েছেন তরুণ মৈত্র।

তিনি বিগত ২০২২ সালে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা ও শ্রোতাবান্ধব কর্মসূচি সম্পর্কে মূল্যায়ন করেছেন এই চিঠিতে।

লিখেছেন, "আমার প্রিয় সাথী রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগ ২০২২ পেরিয়ে নতুন বছরে পা রাখল। অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিগত বছরে। সব কথা বললে অনেক সময় প্রয়োজন। শুধু বলতে চাই- রেডিও তেহরান আমাকে দিয়েছে সম্মান, শিক্ষা ও সত্যের পথে এগিয়ে যাবার প্রেরণা।  এ বেতারের কলাকুশলীদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাদের ভালোবাসার টানেই এ বেতারের বাংলা বিভাগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে গেছি।"

আকতার জাহান: শ্রোতাবন্ধু তরুণ মৈত্র বিগত বছরের শেষের দিকে নিয়মিত চিঠি লিখেছেন। এর সুবাদে নভেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ শ্রোতা পুরস্কারও পেয়েছেন। আশা করি এভাবেই তিনি রেডিও তেহরানের সঙ্গে আজীবন সম্পৃক্ত থাকবেন।

গাজী আব্দুর রশীদ: আসরের এবারের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার তিলনা থেকে। আর পাঠিয়েছেন আলী আহম্মেদ (আরিফ)।

ছোট্ট এ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "গত ৫ ডিসেম্বর তেহরান বেতারের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রিয়জন শুনেছি। এ অনুষ্ঠানটির জন্য আমি মূলত সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করি। ওই দিনের প্রিয়জনে সিনিয়র শ্রোতা রোকনুজ্জামানের সাক্ষাৎকার শুনতে পাই। রেডিও তেহরানের সাথে তার পরিচয় কিভাবে হলো- তা জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।"   

আকতার জাহান: চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জনে রোকনুজ্জামান ভাইয়ের সাক্ষাৎকার ভালো লেগেছে জানিয়ে চিঠি লিখায় আরিফ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এবারের মেইলটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থানার নওপাড়া শিমুলিয়া থেকে আর পাঠিয়েছেন ভিআরএল ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন। 

তিনি লিখেছেন, "আমি বসবাস করি প্রত্যন্ত গ্রামে। গ্রামে বসে খুব সহজে বিশ্বকে জানার একমাত্র নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম রেডিও। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের বেতার অনুষ্ঠান শোনার মধ্য দিয়ে আমার পদচারণা। তারপর বহির্বিশ্বের আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্রেগুলো এক বন্ধুর মাধ্যমে শুনতে শুরু করি। আন্তর্জাতিক বেতারগুলোর মধ্যে রেডিও তেহরান আমার পছন্দের গণমাধ্যম। এ বেতারের অনলাইন সংস্করণ পার্সটুডে'র মাধ্যমে সারাদিন দেশ-বিদেশের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া, প্রতিদিন বিশ্বসংবাদের পর দৃষ্টিপাত, কথাবার্তার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের নানান তথ্য জানা যায়।"

গাজী আব্দুর রশীদ: রেডিও তেহরান আমার পছন্দের গণমাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়ায় ভাই জাকির হোসেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটিও এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থেকে। আর পাঠিয়েছেন আমাদের নিয়মিত শ্রোতা দেবাশীষ গোপ।

তিনি লিখেছেন, "একথা না বললে সত্যের অপলাপ হবে যে, রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান দিগ্বিজয়ী মধ্যাহ্নের সূর্যের মতো প্রখর, প্রভাতের সূর্যের মতো স্নিগ্ধ ও নির্মল। আমার শয়নে, বসনে চিন্তনে, মননে তুমি জাগ্রত, সুমহান আল্লাহর ইচ্ছায় মহিমান্বিত। প্রিয়জনে শ্রোতা সাধারণের নানা বিষয়ে আলোকিত লেখাগুলো যেন শত সহস্র ফুলঝুড়ি।"

আকতার জাহান: বাহঃ চমৎকার উপমায় আমাদের অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেছেন এ শ্রোতাবন্ধু। তো আমাদের অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে তিনি কিছু লিখেন নি?

গাজী আব্দুর রশীদ: হ্যাঁ, লিখেছেন। আমি বরং তার মেইল থেকেই কিছুটা পড়ে শোনাচ্ছি। দেবাশীষ গোপ লিখেছেন, আপনাদের প্রচারিত সংবাদভিত্তিক পরিবেশনাগুলো বিশ্ব সংবাদ, দৃষ্টিপাত, কথাবার্তা এককথায় অনবদ্য। এছাড়া, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান, ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস, সুখের নীড়, গল্প ও প্রবাদের গল্প, স্বাস্থ্যকথা, কুরআনের আলো রংধনু আসর আমার অন্তরকে দিয়ে চলেছে চির প্রশান্তি।"

আকতার জাহান: এই শ্রোতাবন্ধুর কথাগুলোও আমাদের অন্তরে প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়ে গেল। তো রেডিও তেহরান সম্পর্কে চমৎকার মূল্যায়নের জন্য দেবাশীষ গোপ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার পূর্ব নলছিয়া গ্রাম থেকে আর পাঠিয়েছেন হারুন অর রশীদ।

খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩ সালের শুভেচ্ছা জানাবার পর তিনি লিখেছেন, "টানাপোড়েনের ছকে বাধা যাপিত জীবনে দৈনন্দিন ব্যস্ততার ফাঁকে মনে পড়ে যায় প্রিয় রেডিও তেহরানকে। তাইতো ওয়েবসাইটে ক্লিক করে পড়ে নিলাম ভালো লাগার সব সংবাদ ও অনুষ্ঠানগুলোকে। অডিও ফাইলে শুনলাম প্রিয় রংধনু আসর-এ  মাওলানা রুমি'র মসনবী থেকে চার ভিক্ষুকের আঙ্গুর নিয়ে বিরোধ এবং নববধূর রান্না শীর্ষক মজার ও শিক্ষণীয় গল্পগুলো। গল্পগুলো শুনে হেসেছি এবং বাস্তব জীবনে শিক্ষা লাভ করেছি গল্পের সারাংশ থেকে। মৌলিক ও চমৎকার গল্পগুলো রংধনু আসরকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। আশা রাখি নতুন বছরে রংধনু এমনি সব উন্নত বিনোদনে সমৃদ্ধ করবে আমাদেরকে।"

গাজী আব্দুর রশীদ: রংধনু আসর সম্পর্কে মতামত জানিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে মনীষা রায় পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি। তিনি লিখেছেন, "১৫ ডিসেম্বর রংধনু আসরে 'অলসতা' নিয়ে তিনটি সুন্দর প্রচলিত গল্প পরিবেশিত হয় যা খুব মজার ও শিক্ষণীয় ছিল। তারপর অলসতা দূর করার জন্য কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয় যা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেগেছে। সবশেষে শিশু শিল্পীর কণ্ঠে গানটি 'জানতে কি চাও বিশ্বটাকে' এটিও খুব শিক্ষণীয় লেগেছে।"

আকতার জাহান: রংধনু আসর সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে ইমেইল পাঠানোয় বোন মনীষা রায় ও ভাই হারুন অর রশীদ  আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

গাজী আব্দুর রশীদ: শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে কয়েকজন শ্রোতার চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করছি। সময়ের অভাবে যাদের চিঠির জবাব দেওয়া সম্ভব হলো না।

  • বাংলাদেশের রংপুরের পীরগাছা থেকে এটিএম আতাউর রহমান আরজু
  • ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে নজরুল ইসলাম
  • কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে মোঃ শাহাদত হোসেন।
  • এবং কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি থেকে আবদুল কুদ্দুস মাস্টার।

আকতার জাহান: চিঠি লিখার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তো বন্ধুরা, অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি গান। 'জীবনটা যুদ্ধের নাম' শিরোনামের অনুপ্রেরণামূলক গানটির কথা ও সূর আমিরুল মোমেনীন মানিক। গেয়েছেন আমিরুল মোমেনীন মানিক ও ইমতিয়াজ আহমেদ। 

গাজী আব্দুর রশীদ: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিই প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে।   

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।