বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই, সব হারিয়ে কাঁদছে মানুষ!
অরুণাচলের নতুন নাম দিল চীন,নজর রাখছে ভারত
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন ঋণের টাকায় কেনা মাল পুড়ে ছাই, সব হারিয়ে কাঁদছেন-প্রথম আলো
- বঙ্গবাজার আগুনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দোকান পুড়ে গেছে’-ইত্তেফাক
- মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল : ফায়ার সার্ভিসের ডিজি- বাংলাদেশ প্রতিদিন
- বঙ্গবাজারে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন-কালের কণ্ঠ
- ৬৭০ আফ্রিকান নাগরিক নিয়ে বিপাকে পুলিশ-মানবজমিন
- হঠাৎ ইভিএম থেকে সরলেন ইসি, ব্যালটে ৩০০ আসনে ভোট-যুগান্তর
- ৩০০ আসনে কাগজের ব্যালটে ভোট, যা বলছে বিএনপি ও সমমনারা-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- জিএসটি জট রাজ্যের সংকট -সংবাদ প্রতিদিন
- ভারতের অরুণাচলের নতুন নাম দিল চীন!-সংবাদ প্রতিদিন
- ‘বিজেপির মুঙ্গের-বাহিনীর তাণ্ডব হাওড়ায়’, তীব্র আক্রমণে কুণাল ঘোষ, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির- আনন্দবাজার
- হাওড়ার রামনবমীর মিছিলে বন্দুক হাতে থাকা যুবক গ্রেপ্তার বিহার থেকে -গণশক্তি
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ভবনে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে দেখছেন এসব ঘটনা?
২. এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গেনের একটি খবরের দিকে দৃষ্টি দেবো। আমেরিকার সঙ্গে মৈত্রী ভেঙে রাশিয়া থেকে তেল কিনছে জাপান। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই খবর দিয়েছে। কী বলবেন আপনি?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার খবরটি আজকের সব জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনের প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। প্রথম আলোর কয়েকটি শিরোনাম- ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে, দেরির তিন কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস। বঙ্গবাজারে আগুন ‘ঋণের টাকায় কেনা মাল পুড়ে ছাই। বঙ্গবাজারে আগুন সব হারিয়ে কাঁদছেন তিন ভাই।
যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
মানবজমিনের খবর- ক্যাশবাক্সের ১৮ লাখ টাকা আনতে আগুনের মধ্যেই ঝাঁপ দেন আহাদ। সব হারিয়ে ব্যবসায়ীদের কান্না। এতে লেখা হয়েছে, ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই বঙ্গবাজার। আশপাশের মার্কেটগুলোও পুড়ছে। এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর, বরিশাল প্লাজাও দাউ দাউ করে জ্বলছে। বাতাসের কারণে আগুনের ব্যাপকতা বাড়ছে। মহানগর মার্কেটের পাশ ঘেঁষে আগুন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দিকে আসছে। ভেতর থেকে পানি ছিটিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের তীব্রতা এত ভয়াবহ যে, আকাশের মেঘে আগুনের ধোঁয়া মিশে একাকার। রাস্তায় নির্বাক হয়ে আগুনের ভয়াবহতা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এনেক্সকো ও মহানগর মার্কেট থেকে কেউ কেউ সামান্য মালামাল সরাতে পেরেছেন। তবে এখন সেই মার্কেটগুলোও পুড়ছে।
বঙ্গবাজারে ২টা ও এনেক্সকো টাওয়ারে ১টি শাড়ির দোকান ছিলো সাইদুর রহমানের। এখন সব আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। সবশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
৩০০ আসনে কাগজের ব্যালটে ভোট, যা বলছে বিএনপি ও সমমনারা-যুগান্তর
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম না ব্যালট পেপারে হবে, তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর। তাদের মূল লক্ষ্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। নির্বাচন যে পদ্ধতিতেই হোক, এ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোট হবে কাগজের ব্যালট পেপার ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে-নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর সোমবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স থাকবে খুশির কথা; কিন্তু ব্যবহার করা হবে কখন-এই দুশ্চিন্তা আমাদের মাথায় থেকে যায়নি। অর্থাৎ ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই প্রয়োজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দেশের গণতান্ত্রীকামী মানুষ, সংগঠন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে আজ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে।
নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মহাসচিব বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের নাটক ও প্রহসন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে।
মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা আগামী নির্বাচনের উপর গণতন্ত্রই নয়, দেশের অস্তিত্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
৬৭০ আফ্রিকান নাগরিক নিয়ে বিপাকে পুলিশ-মানবজমিন
প্রতারণার লাগাম টানা যাচ্ছে না দেশে অবস্থানরত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অবৈধ নাগরিকদের। ট্যুরিস্ট, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়, ছাত্রসহ নানারকম ভিসা নিয়ে আফ্রিকার পুরুষ ও নারীরা বাংলাদেশে আসছেন। তাদের কেউ কেউ নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও দেশে ফিরে যাচ্ছেন না। এমন অবৈধ নাগরিকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও তারা জামিনে বের হয়ে এসে আবার অপরাধে জড়াচ্ছেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখার (সিআইডি) পক্ষ থেকে ৬৭০ জন আফ্রিকান বিভিন্ন দেশের নাগরিকের তালিকা করা হয়েছে যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তারা একাধিকবার জেলেও গেছেন। তারা এখনো বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এই প্রতারক চক্র অবৈধভাবে অনলাইনে প্রতারণা, বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা লুট, এটিএম কার্ড জালিয়াতি, জাল মুদ্রা, হুন্ডি, মাদক কারবার, মুদ্রা পাচার, ফেসবুকে উপহার পাঠানোর নামে প্রতারণা, লটারি পাওয়ার লোভ দেখানো, হেরোইন, কোকেন ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, জাল ডলার কারবার, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, সোনা চোরাচালান, অনলাইনে ক্যাসিনো ও মানব পাচারে জড়িয়ে যাচ্ছে। এই চক্রের সদস্যরা কেউ কেউ বিয়ে করেছে বাংলাদেশে। কেউ করছে চাকরিও।
এ বিষয়ে সিআইডি’র সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের এসপি (মানব পাচার) মো. নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, আফ্রিকান নাগরিকেরা ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতারণার কাজে জড়িত। এ সংক্রান্ত মামলা সিআইডি’র কাছে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে নাইজেরিয়ার ২ হাজার ৬৮ জন, সোমালিয়ার ১ হাজার ১০ জন, কেনিয়ার ৭৯ জন, ক্যামেরুনের ৮২ জন, মালির ১০ জন, ঘানার ২০ জন, সেনেগালের ১১২ জন, লাইবেরিয়ার ১১২ জন ও চাদের ১৮ জন নাগরিক অবস্থান করছেন। এই সব নাগরিক অধিকাংশই অনেক আগেই অবৈধ হয়ে গেছেন। কারণ তাদের অনেক আগেই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ২৭শে আগস্ট রাজধানীর কাওলা থেকে সিসম, মরো মোহাম্মদ, মরিসন, অ্যান্থনি নামে নাইজেরিয়া ও ঘানার চার নাগরিককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের কাছে কোনো পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি। তারা ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
সূত্র জানায়, আফ্রিকার একাধিক দেশের বাংলাদেশে দূতাবাস নেই। অনেক প্রতারক ভারতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে দেশে এসেছে। এতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে ফেরত পাঠাতে বা তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়েন। এইসব প্রতারক চক্র বছরের পর বছর দেশে কাটিয়ে দিচ্ছে। চক্রটির সদস্যরা রাজধানীর উত্তরা, নিকুঞ্জ, গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানম-ি ও বনশ্রীতে বসবাস করে থাকে।
পুলিশ জানায়, মালির দামালা নামের এক নাগরিককে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা একটি টিম গ্রেপ্তার করে। তার কাছে কোনো পাসপোর্ট ছিল না। সে এর আগেও তিনবার জেলে গেছে। পরে দালালদের মাধ্যমে মুক্ত হয়েছে। এমনকি আদালতকেও সে বলেছে, সে দেশে ফেরত যাবে। দেশে ফেরত যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হলফনামাও জমা দিয়েছে। কিন্তু, আর দেশে ফেরত যাননি। ওই নাগরিক এখনো দেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এই অবৈধ নাগরিকদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায় না। কারণ, তাদের অপরাধ তদন্ত করতে গিয়েও নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। কারণ তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেও তারা কোনো মুখ খুলে না। এ কারণে গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয়া যায় না। কয়েক বছর আগে ঢাকায় ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে পান্থপথের একটি হোটেল থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ৬ ইউক্রেনীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা নিজ দেশে পালিয়ে যায়।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
জিএসটি জট রাজ্যের সংকট-সংবাদ প্রতিদিন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেটে খাদ্য ভরতুকি, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, সারের ভরতুকি, মিড ডে মিল ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় ছাঁটাই করেছেন। তার কোপ পড়ছে বাংলার জন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে। এর পিছনে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, তা কি অজানা বিষয়? বিক্রয়কর সংগ্রহের সাংবিধানিক অধিকার ছেড়ে দেওয়া যে রাজ্যগুলির একটি বড় ভুল ছিল, সেটা সম্প্রতি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর রাজ্যগুলির আয়ে এক চূড়ান্ত সংকট তৈরি হয়েছে। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় খরচের প্রধান দায় রাজ্য সরকারগুলির। কিন্তু আয়ের হাতিয়ারগুলো সব কেন্দ্রের হাতে। প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা বরাবর পুরোটাই কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত।
এই মুহূর্তে এই সংকটে সবচেয়ে বেশি জর্জরিত বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রায় সব আর্থিক দায়িত্ব নিতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দায়িত্বও তাঁকে বহন করতে হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর হাতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর কোনও রাস্তা নেই।
জিএসটি ব্যবস্থা প্রবর্তনের সময় কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে বলেছিল পরোক্ষ কর বার্ষিক ১৪ শতাংশ করে বাড়বে ধরে নিয়ে সবাইকে পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু, সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা টালবাহানা দেখাচ্ছে কেন্দ্র।
ফের টার্গেট অরুণাচল, ১১টি জায়গায় ‘চিনা’ নামকরণ বেজিংয়ের! নজর রাখছে ভারত-সংবাদ প্রতিদিন
ফের অরুণাচলে চিনা (China) আগ্রাসন। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) বেশ কিছু অঞ্চলের চিনা নাম প্রকাশ করল বেজিং (Bejing)। তৃতীয় দফার এই নামরকণে ১১টি অঞ্চলের নাম চিনা, তিব্বতি এবং পিনইন অক্ষরে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগেও দুই দফায় অরুণাচলের একাধিক জায়গার চিনা নামকরণ করেছিল বেজিং। যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ভারত। এবারও বিদেশমন্ত্রকের টুইটে বলা হয়েছে, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
চিনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘ওই অঞ্চলটি তিব্বতেরই দক্ষিণের ঝানগান প্রদেশের অংশ।’ যে ১১টি অঞ্চলের নামকরণ করেছে চিন তার মধ্যে রয়েছে দু’টি ভূমি অঞ্চল, দু’টি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গ এবং দু’টি নদী। আগেও এই কাজ করায় বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নয়াদিল্লির। ফের একই কাণ্ড প্রকাশ্যে এল।
সোমবার চিনের রাষ্ট্র-চালিত গ্লোবাল টাইমস রিপোর্ট সূত্রে প্রকাশ্যে এসেছে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক এলাকার তৃতীয় দফার নামকরণের কথা। এর আগে প্রথম দফায় ২০১৭ সালে ৬টি জায়গার এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ১৫টি স্থানের নাম ঘোষণা করে চিন। প্রথম থেকেই চিনের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে প্রত্যাখ্যান করা হয় অরুণাচলের চিনা নামকরণ। এবারও চিনা আগ্রাসনের উত্তর দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে টুইট করা হয়েছে, “আমরা গোটা বিষয়ে অবগত। চিন আগেও এই কাজ করেছে। এমন পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করছি। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নামকরণের প্রচেষ্টা বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে পারবে না।” যদিও গ্লোবাল টাইমস দাবি করেছে, বেজিংয়ের এই পদক্ষেপ বৈধ, যা চিনের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
নথি দিচ্ছে না পুলিশ! নিশীথের উপর হামলার তদন্তই শুরু করা যাচ্ছে না-আনন্দবাজার পত্রিকা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, ওই ঘটনায় হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তও শুরু করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চায় সিবিআই।
রবিবারের পর সোমবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির রিষড়ায়। রিষড়া স্টেশনের কাছে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রিষড়ায় অশান্তির ঘটনায় বিজয় মালিক নামে এক বাসিন্দা আহত হয়েছেন। তাঁকে দেখতে মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। এদিকে, রিষড়ার ঘটনায় বহিরাগতরা ছিলেন বলে রাজ্যপারের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাওড়ার রামনবমীর মিছিলে বন্দুক হাতে থাকা যুবক গ্রেপ্তার বিহার থেকে-গণশক্তি
বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেপ্তার শিবপুরের রামনবমীর মিছিলে অংশ নেওয়া ১৯ বছর বয়সী এক যুবক। ধৃত যুবকের নাম সুমিত সাউ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একটি ভিডিওতে সুমিতকে বন্দুক হাতে দেখা গিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাতে বন্দুক নিয়ে মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা ওই যুবক শিকার করেছেন। এদিকে সুমিত সাউয়ের গ্রেফতারির ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি মুঙ্গের-বাহিনী এনে বাংলায় অশান্তি পাকিয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, ধৃত তৃণমূলেরই লোক।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪