জুন ০১, ২০২৩ ১১:২৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১ জুন বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বাজেটে বাড়বে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা-ইত্তেফাক
  • শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন, ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশিদের–ইত্তেফাক
  • জুনেই অন্তবর্তীকালীন সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা-মান্না—মানবজমিন
  • লোডশেডিং আরও বেড়েছে-মানবজমিন
  • বিদ্যুতের ঘাটতি ৩০০০ মেগাওয়াট, সারা দেশে লোডশেডিং-কালের কণ্ঠ
  • মার্কিন ভিসা নীতি শরিকদের গুরুত্ব বাড়বে আওয়ামী লীগের কাছে-প্রথম আলোএবার আর সেই ফাঁদে পা দেব না: মির্জা ফখরুল-যুগান্তর
  • রাজস্বের লক্ষ্য অর্জনই চ্যালেঞ্জ-যুগান্তর
  • কোটি টাকার গাড়িতে এসে বিএনপি অফিসে আগুন-বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • বিরোধী ঐক্য শুধু যথেষ্ট নয়, জরুরি বিকল্প ভাষ্য-গণশক্তি
  • উপাচার্য করতে রাজ্যের দশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশ জন শিক্ষককে ডেকে বৈঠক রাজ্যপালের, ফের বিতর্ক -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আদি-নব‌্য দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার ‘ভোজ’ রাজনীতি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কৌশল বিজেপির-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১) ৭ মাসে সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ; পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাসপাতাল উধাও। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার এ শিরোনাম সম্পর্কে কী বলবেন আপনি?
২) দক্ষিণ আমেরিকায় ডলার বাদ দিয়ে অভিন্ন মুদ্রা চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ব্রাজিল। প্রশ্ন হচ্ছে- মার্কিন ডলার বাদ দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি চালু রাখা সম্ভব কিনা?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

এবার আর সেই ফাঁদে পা দেব না: মির্জা ফখরুল-যুগান্তর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেছেন, এ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। নানা চাপে পড়ে তারা হয়তো সুষ্ঠু ভোটের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু এদের বিশ্বাস করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, অতীতে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা রক্ষা করেনি। এবারও হয়তো নতুন কোনো ফন্দি রয়েছে। কিন্তু আমরা সেই ফাঁদে পা দেব না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে আগামী নির্বাচন। তবেই সেই ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনি ধারা নিশ্চিতে আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এ আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।

আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বত্র আলোচনা চলছে। বিশেষ করে এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করায় তা নতুনমাত্রা পায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু সেরকম একটা নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে তা এখনো সুরাহা হয়নি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ অনেকেই মনে করছেন, বিদেশি চাপ এবং সরকারের আশ্বাসে আওয়ামী লীগের অধীনেই হবে সেই নির্বাচন। শেষপর্যন্ত বিএনপিসহ সব দল তাতে অংশ নেবে।

লোডশেডিং আরও বেড়েছে-মানবজমিন

দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং আরও বেড়েই চলছে। সামনে আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। দেশে এমনিতেই বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে প্রচণ্ড তাপদাহ বয়ে চলছে। এরমধ্যে আবার বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। বর্তমানে শহরের  

চেয়ে গ্রামে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। রাজধানীতেই গতকাল কোথাও কোথাও ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিং হয়েছে। এতে প্রতিবারে প্রায় এক ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ এসেছে। সূত্র মতে, সারা দেশে গতকাল বিকাল ৩টায় ২ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল। ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। 

বাজেট নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনাম করেছে প্রথম আলো। দেখে নেয়া যাক সেসব খবর।

৫২ বছরের বাজেট কখন কে দিলেন, কত টাকার দিলেন-এ শিরোনামের খবরে লেখা হযেছে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট দিয়েছিলেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। একসঙ্গে তিনি দুই অর্থবছরের বাজেট দিয়েছিলেন। এর আগে মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ১৯ জুলাই দৈনন্দিন ও অপরিহার্য ব্যয় নির্বাহে একটি বাজেট পেশ করেছিল। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জন অর্থমন্ত্রী বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বাজেট দিয়েছেন।

প্রথম বাজেট ছিল ছোট আকারের। আর ৫২ বছর পর সেই বাজেটের কলেবর বড় হয়েছে, বেড়েছে প্রবৃদ্ধি। যত বাজেট দেওয়া হয়েছে, তার আকার কত ছিল, কে কবে তা উপস্থাপন করেছিলেন, পেশ করার সময় কী বলেছিলেন, তারই একটি বিবরণ দেওয়া হলো এখানে।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট

সহজ পাঠ

বাজেট কেন দিতেই হয়-  শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বাজেট হচ্ছে একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। সরকারকে দেশ চালাতে হয়, সরকারের হয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বেতন দিতে হয়, আবার নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট বানানোসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়। সুতরাং একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে কোথায় কত ব্যয় হবে, সেই পরিকল্পনার নামই বাজেট।

একজন মানুষকেও কিন্তু আয় ও ব্যয়ের হিসাব করতে হয়। তবে ব্যক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রের বাজেটের একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। ব্যক্তি আগে আয় কত হবে, সেটি ঠিক করেন, তারপর ব্যয়ের খাতগুলো নির্ধারণ করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্র করে ঠিক উল্টোটা। রাষ্ট্র আগে ব্যয়ের খাতগুলো নির্ধারণ করে। এরপর ঠিক করে, কোথা থেকে অর্থ আসবে। অর্থাৎ সরকার আয় করে খরচ বুঝে, আর ব্যক্তি ব্যয় করেন আয় বুঝে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য না হলে রাষ্ট্র দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ ধার করতে পারে। ব্যক্তিও পারেন, তবে এর সীমা সামান্যই। কারণ, ধার করলে পরিশোধ করতে হয়। রাষ্ট্রকেও পরিশোধ করতে হয়, তবে এ জন্য রাষ্ট্র সাধারণত দেউলিয়া হয় না। ধার বছরের পর বছর টেনে নিয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্র এই সুযোগ নিজেই তৈরি করে নেয়। যদিও এর ফলে দায় ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

আচ্ছা বাজেট কেন ব্রিফকেসে- এই শিরোনামে প্রথম আলো লিখেছে,

বাংলাদেশের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট

বিশ্বের সব দেশের বাজেট ঘোষণার দিন সে দেশের অর্থমন্ত্রী যখন সংসদে প্রবেশ করেন, তখন তাঁর হাতে একটি জিনিস থাকবেই। সেটি হলো ব্রিফকেস। কিছুক্ষণ পর সেই ব্রিফকেস খুলে তিনি বাজেট বক্তৃতার লিখিত কপি বের করে পাঠ করেন। ফলে সবার মনেই ব্রিফকেস নিয়ে একধরনের কৌতূহল থাকে।

যুগ যুগ ধরে বিশ্বের সব দেশেই বাজেটের দিন এই দৃশ্যের বারবার পুনরাবৃত্তি হয়। হাতের ব্রিফকেসে লাখ লাখ কোটি টাকা, তবে মুদ্রায় নয়, ছাপানো বক্তৃতায়। সংসদে ঢুকে সেই টাকার অঙ্কেরই বয়ান দেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীদের এই ব্রিফকেসের রীতি কবে থেকে শুরু হয়েছিল, তা জানার কৌতূহল হয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খানের বই ‘বাংলাদেশে বাজেট: অর্থনীতি ও রাজনীতি’-তে ব্রিফকেসের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। বইটি থেকে জানা যায়, শিল্পবিপ্লবের পর ইংল্যান্ডের অর্থনীতি অনেক বড় হয়ে যায়। বাজেটবিষয়ক প্রস্তাবগুলো শুধু একটা মানিব্যাগে সংকুলান করা সম্ভব হচ্ছিল না, সে জন্য মানিব্যাগের জায়গায় আসে ব্রিফকেস।

একনজরে বাজেট ২০২৩-২৪, কী থাকতে পারে এবার-প্রথম আলো

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য দেবেন অর্থমন্ত্রী। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরবেন তিনি।

এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্য থাকছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

আজ বেলা তিনটায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট পেশ করবেন।

এবারের বাজেটের অন্যতম আলোচিত বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ। গত বছর বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করলে এ বছরের শুরুর দিকে তারা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। কিন্তু আইএমএফ সাড়ে তিন বছরের জন্য মোট ৩৮টি শর্ত দিয়েছে, যার অর্ধেকের কম আগামী অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মধ্যে আছে সুদহারের ক্ষেত্রে করিডর পদ্ধতি তৈরি, রিজার্ভের যথাযথ গণনা পদ্ধতি প্রণয়ন, মুদ্রা বিনিময় হারের একক দর রাখাসহ কয়েকটি শর্ত পূরণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর কিছু বাস্তবায়নের ঘোষণা আসবে আগামী জুন মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময়, কিছু আসবে জুলাই মাসে। আইএমএফের চাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ।

বাজেট ২০২৩-২৪

কঠিন সময়ে আশার বাজেট-প্রথম আলো

দেশের অর্থনীতি নানামুখী চাপে। ডলারের সংকট এখনো প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে কোনো কোনো ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। আবার রপ্তানি আয় তুলতে গেলেও সহজে দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর আগে ঘটেনি।

শুধু তা–ই নয়, চাল, ডাল, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনিসহ প্রায় প্রতিটি জিনিসেরই দাম বাড়তি। চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত এপ্রিলে তা ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে সরকারি হিসাবেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের দাম কয়েক মাস আগেই বাড়ানো হয়েছে। কমেছে ডলারের তুলনায় টাকার মান। প্রণোদনা দিয়েও প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ওইভাবে টানতে পারছে না সরকার। রপ্তানি আয়ের প্রবণতাও কমতির দিকে। 

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিলে এসে সরকার দেখল এ ঋণে কুলোবে না। ফলে ব্যাংকঋণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।

আর আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা ধরনের শর্ত পূরণের চাপ। আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার চেয়ে সরকার প্রথম কিস্তি মাত্র পেয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি পেতে সময় লাগবে আগামী ডিসেম্বর। তা–ও শর্ত পূরণ করতে পারলেই পাওয়া যাবে সে কিস্তি। রিজার্ভ সংরক্ষণসহ বড় কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

তবে খরচ করতেই হচ্ছে সরকারকে। এ জন্য ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ করছে বেশি। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিলে এসে সরকার দেখল এ ঋণে কুলোবে না। ফলে ব্যাংকঋণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।hfuct

বাজেটে বাড়বে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা -ইত্তেফাক

রিজার্ভ-ডলারের সংকট, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী চাপসহ অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাব ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য তিনি এ বাজেট উপস্থাপন করবেন। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

এবারের বাজেটে আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ টাকা। বিশাল এই ঘাটতি মেটাতে আগামী বাজেটে সরকার বৈদেশিক ঋণ নেবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার বৈদেশিক ঋণ বাড়াচ্ছে ৭ হাজার কোটি টাকা।

মার্কিন ভিসা নীতি শরিকদের গুরুত্ব বাড়বে আওয়ামী লীগের কাছে-প্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো উদ্বেগ দেখাচ্ছে না আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের শরিকেরা। তাদের অনেকে এটিকে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাজনীতি’ হিসেবে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন এই জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের অনেকে মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানের কারণে সরকারের ওপর একধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। আর এই প্রক্ষাপটে আবারও তাঁদের জোটের রাজনীতির গুরুত্ব বাড়বে এবং আওয়ামী লীগের কাছে কদর বাড়বে শরিকদের।

১৪–দলীয় জোটে ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কায়েকটি বামপন্থী দল রয়েছে। ওই বামপন্থী দলগুলো ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়ে মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছে। তবে প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ এখনো জোটের অন্য শরিকদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ভিসা নীতির ব্যাপারে কোনো আলোচনা করেনি। আগামী দু–এক দিনের মধ্যে জোটের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সম্প্রতি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার প্রক্রিয়ায় যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিধিনিষেধের আওতায় আনা হবে। এই নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দেখানো হলেও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকেরা খোলামেলা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

ক্ষমতাসীনেরা এককভাবেই মাঠে থাকবে নাকি জোটগতভাবে থাকবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জোটের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই জোটের একটি বৈঠকে এই বিষয় আলোচনায় আসবে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভোটে কথা রাখেনি শিশির-শুভেন্দু, অভিষেককে কাছে পেয়ে নালিশ খেজুরির বাসিন্দাদের-সংবাদ প্রতিদিন

অভিষেক বন্দোপাধ্যায়

বছরের পর বছর নির্বাচন এলে ব্রিজ, মাছের খটিকে চাতাল করে দেবে বলে বাপ -বেটায় শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে গিয়েছে। খেজুরির মানুষকে শুধুই নিজেদের পদ বাড়াতে ব্যবহার করেছে শিশির-শুভেন্দু। একটাও কথা রাখেনি। বুধবার রসুলপুর নদীর তীরে খেজুরির বোগায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে এভাবেই দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকার মৎস্যজীবিরা।

এদিকে, রাজনীতির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, পুরনো ও বসে যাওয়া নেতাদের মানভঞ্জন করে তাদের কাছে টানতে এবার নয়া কৌশল নিল বিজেপি (BJP)। পুরনো নেতাদের দলে গুরুত্ব বাড়াতে মোদি-শাহরা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন। বাংলায় তো বটেই, সমস্ত রাজ্যেই বিজেপির প্রবীণ ও পুরনো নেতা-কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবেন বর্তমান নেতারা। সম্মেলন করে শুনতে হবে দলের আদিদের পরামর্শ।

বিরোধী ঐক্য শুধু যথেষ্ট নয়, জরুরি বিকল্প ভাষ্য-গণশক্তি

বিরোধীদের আরও নিখুঁতভাবে বেঁধে ফেলতে পারলে বিজেপি-কে হারানো অসম্ভব নয় বলেই জোরের সঙ্গে জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি মনে করেন, শুধু বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলাই যথেষ্ট নয়। বিজেপি’র বিকল্প ভাষ্য, ভাবনা তুলে ধরতে হবে। সেটাই বড় কথা। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সামনে তাঁর চোখে বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে একথা বলেন রাহুল গান্ধী। একজন রাজনৈতিক উদ্যোক্তা হিসাবে তিনি স্পষ্টই বিজেপি’র দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান। এখন বিরোধীরা সঠিকভাবে জোটবদ্ধ হলে বিজেপি-কে টলিয়ে দেওয়া যাবে, জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।

বিজেপি যে অভেদ্য নয় একথা বোঝাতে গিয়ে রাহুল গান্ধী স্বাভাবিকভাবেই কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভোটে অন্য ধরনের পন্থা অবলম্বন করে এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাষ্য গড়ে তুলে কর্নাটকে বিজেপি-কে পরাস্ত করেছে কংগ্রেস। আর ওই লড়াই বা ভিন্ন ভাষ্যের রসদ সংগৃহীত হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য থেকেই বলে তিনি মনে করেন। তবে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি-কে হারানোর ক্ষেত্রে তিনি জোর দেন বিরোধী ঐক্যের ওপরেই। আরও জোটবদ্ধ হওয়ার কথা বললেও এখনও পর্যন্ত বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার কাজ ‘বেশ ভালোভাবেই এগচ্ছে’ বলে জানান তিনি।

উপাচার্য করতে রাজ্যের দশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশ জন শিক্ষককে ডেকে বৈঠক রাজ্যপালের, ফের বিতর্ক-আনন্দবাজার পত্রিকা

বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি নিয়ে গড়া সার্চ বা সন্ধান কমিটি কয়েকটি নামের তালিকা দেবে এবং আচার্যের অনুমোদনক্রমে সেই তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হবে উপাচার্য। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের এই প্রচলিত পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে কি না, রাজ্যপাল-আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের এক পদক্ষেপ ঘিরে সেই প্রশ্ন জোরদার হয়েছে। বুধবার রাজ্যের দশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশ জনকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বোস। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দশ জনের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে তাঁরা প্রস্তুত কি না।

রাজ্যপাল এর আগে দু’-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে এক-এক জনকে অস্থায়ী উপাচার্যের পদে বসানোয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তীব্র হয়ে উঠেছিল। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের কার্যকাল যখন একে একে শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেই সময়ে উপাচার্য নিয়োগে বোসের এই তৎপরতা নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে শিক্ষা ও রাজনৈতিক শিবিরে।

দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হলেও এখনই সরছেন না ব্রিজভূষণ, শাসক শিবিরের যুক্তি, বিষয়টি তদন্তাধীন-আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদ থেকে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ

দেশ জুড়ে দাবি উঠলেও এখনই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদ থেকে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে সরানোর পরিকল্পনা নেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের। শাসক শিবিরের দাবি, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই ব্রিজভূষণের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। অন্য দিকে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়াতে মহাসম্মেলনের ডাক দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। বালিয়ান খাপের নেতা নরেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করতে আগামিকাল উত্তরপ্রদেশে মুজফফ্‌রনগরের সৌরাম এলাকায় ওই সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন

আর সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), ভিনেশ ফোগাটরা (Vinesh Phogat)। এবার সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে চলেছেন কৃষক নেতারা। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, কুস্তিগিরদের সমর্থনে শহরে মিছিলে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

আদি-নব‌্য দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার ‘ভোজ’ রাজনীতি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কৌশল বিজেপির-সংবাদ প্রতিদিন

পুরনো ও বসে যাওয়া নেতাদের মানভঞ্জন করে তাদের কাছে টানতে এবার নয়া কৌশল নিল বিজেপি (BJP)। পুরনো নেতাদের দলে গুরুত্ব বাড়াতে মোদি-শাহরা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন। বাংলায় তো বটেই, সমস্ত রাজ্যেই বিজেপির প্রবীণ ও পুরনো নেতা-কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবেন বর্তমান নেতারা। সম্মেলন করে শুনতে হবে দলের আদিদের পরামর্শ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১