রংধনু আসর: কিবলা পরিবর্তন যেভাবে হলো
রংধনু আসরের কাছের ও দূরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, তোমরা হয়ত জানো যে, হিজরি দ্বিতীয় সনের ১৫ রজব মুসলমানদের প্রথম কিবলা পরিবর্তন হয়ে যায়। ‘কিবলা’ আরবি শব্দ। নামাজ আদায়ের দিকনির্দেশকে 'কিবলা' বলা হয়। মুসলমানরা আগে বায়তুল মোকাদ্দাসে অবস্থিত আল আকসা মসজিদের দিকে মুখ রেখে নামায আদায় করত। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করার দ্বিতীয় বছরের রজব মাসের মাঝামাঝি সময়ে কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে।
রংধনুর এ পর্বে আমরা কিবলা পরিবর্তনের ঐতিহাসিক ঘটনাটি শোনাব। এরপর থাকবে ফিলিস্তিনি শিশুদের কণ্ঠে একটি আরবী গান ও এক নওমুসলিমের কাহিনী। সবশেষে থাকবে ভারতের এক বন্ধুর সাক্ষাৎকার।
কিবলা পরিবর্তন যেভাবে হলো
মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা বা আল আকসা মসজিদটি ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী বায়তুল মোকাদ্দাসে বা জেরুজালেমে অবস্থিত। এই মসজিদের কারণে বায়তুল মোকাদ্দাসকে সংক্ষেপে আল-কুদ্স শরীফও বলা হয়। ঐতিহাসিকভাবে আল-কুদ্সের মর্যাদা অপরিসীম। কারণ এ জায়গাকে কেন্দ্র করে অনেক নবী-রাসূলের আগমন ঘটেছে। বায়তুল মোকাদ্দাস বিখ্যাত নবী হযরত দাউদ (আ.) ও হযরত সোলাইমান (আ.)-এর রাজধানী ছিল। হযরত সোলাইমান (আ.) কর্তৃক নির্মিত গম্বুজবিশিষ্ট সেই বিখ্যাত মসজিদ এখনও মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে আছে।
এই মসজিদটি মুসলমানদের কাছে অন্য একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মিরাজ-এর সময় এই মসজিদে এসে সকল নবী-রাসূলকে নিয়ে নামায পড়েছিলেন এবং এখান থেকেই স্বর্গীয় বাহন বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বলোকে ভ্রমণ শুরু করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় মহানবী সাহাবীদের নিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাসকে কিবলা করে নামায আদায় করতেন। দীর্ঘ তের বছর মুসলমানদের প্রথম কিবলা ছিল জেরুজালেমের বায়তুল মোকাদ্দাস। এর কারণ ছিল তখনও পর্যন্ত মক্কার কাবা কাফেরদের দখলে ছিল। কাবার ভেতরে ৩৬০টি মূর্তি বসানো ছিল। আল্লাহর ঘরকে তারা অনাচারে পরিপূর্ণ করে রেখেছিল।
মদীনায় হিজরত করার পর মুসলমানরা ইহুদিদের সাথে একটি রাষ্ট্রে বাস করতে থাকে। ইহুদিরা মুসলমানদের এই বলে খোটা দিত যে, তোমরা তো আমাদের ধর্মকেই অনুসরণ করছ। কারণ, জেরুজালেমকে কিবলা বানিয়ে নামায পড়ো তোমরা!
এ কথা জানতে পেরে মহানবী (সা.) খুব দুঃখ পেলেন। তিনি দুঃখ ভরা মন নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করলেন এবং মহান প্রভুর কাছ থেকে কোনো সান্ত্বনার বাণী শোনার অপেক্ষায় থাকলেন।

দ্বিতীয় হিজরিতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবীর মনের কষ্ট দূর করার সিদ্ধান্ত নিলেন। একদিন মহানবী বনি সালিমের মসজিদে জোহরের নামায পড়ছিলেন। দুই রাকাত পড়ার পর ফেরেশতা হযরত জিবরাইল (আ.) এসে মহানবীর দুই হাত ধরে তাঁকে কা'বা শরীফের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন। তখন থেকেই কাবা মুসলমানদের কিবলায় পরিণত হলো। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ১৪৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন,
"নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তারা অবশ্যই জানে যে, (এ ধর্মগ্রন্থ) তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে প্রেরিত সত্য। তারা যা করে তা আল্লাহর অজানা নেই।"
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, বায়তুল মোকাদ্দাসের দিক থেকে কাবার দিকে মুখ ফেরানোতে আল্লাহরই ইচ্ছা কার্যকর ছিল এবং কোনো বিশেষ দিককে তিনি প্রাধান্য না দিয়ে বলেছেন, সকল দিকই তাঁর দিক। কাজেই বায়তুল মোকাদ্দাসের দিক থেকে কাবার দিকে কিবলা পরিবর্তনের মাঝে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া কাবাকেই আল্লাহ'তাআলা মুসলমানদের জন্য চিরস্থায়ী কিবলা নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। বায়তুল মোকাদ্দাসের ব্যাপারটি ছিল সাময়িক।
বন্ধুরা, মহান আল্লাহর এই সুস্পষ্ট ঘোষণার পর বাহানাবাজ ইহুদিরা এবার নতুন আপত্তি তুলে মুসলমানদেরকে বলল, যদি আগের কেবলা সঠিক হয়, তাহলে কোন কারণে তা বাতিল করা হলো? কেন এতকাল পর্যন্ত বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়া হলো? তার জবাবে মহান আল্লাহ একই সূরার ১৪২ আয়াতে বলেন,
"নির্বোধ লোকেরা বলবে যে, তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিল তা হতে কিসে তাদেরকে ফিরিয়ে দিল? বলো! পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।"
পবিত্র কুরআনের এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কেবলার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ স্থান বা কোন অঞ্চল নিয়ে আছেন বা আল্লাহ পশ্চিম দিকে আছেন বা পূর্ব দিকে আছেন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পূর্ব-পশ্চিম সব দিকেই আছেন এবং সবই তার মালিকানাধীন। আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কোন স্থানেরই বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। আল্লাহর নির্দেশেই আমরা কোন বিশেষ স্থানকে সম্মান করি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আল্লাহর নির্দেশের অনুগত হওয়া। আল্লাহ যেদিকেই মুখ ফেরানোর নির্দেশ দেন, সেদিকেই আমাদের মুখ ফেরানো উচিত-তা কাবাই হোক বা বায়তুল মোকাদ্দাস হোক। তারাই আল্লাহর সহজ ও সঠিক পথে পরিচালিত হবে, যারা আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্য করবে।
কিবলা পরিবর্তন হলেও বায়তুল মোকাদ্দাসের গুরুত্ব মুসলমানদের কাছে এতটুকু কমে যায়নি। মক্কা, মদীনার পরেই আল-কুদ্স মুসলমানদের পবিত্র তীর্থস্থান। পবিত্র এই মসজিদটি ইহুদিবাদি ইসরাইল দখল করে রেখেছে। ১৯৬৯ সালে তারা একবার আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগও করেছিল। শুধু আল-আকসা মসজিদই নয়, মানবতার দুশমন ইসরাইল ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে রেখেছে। এছাড়া, ইসরাইলি সেনারা মাঝেমধ্যেই ফিলিস্তিনে হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলি হামলার কারণে ফিলিস্তিনি শিশুরা প্রতিনিয়ত ভয় ও আতঙ্কের মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠছে।

নওমুসলিমের প্রতি কঠোরতার পরিণতি
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে রয়েছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা।
দুই প্রতিবেশীরএকজন ছিল মুসলমান ও অন্যজন খ্রিস্টান। তারা মাঝে মাঝে ইসলাম ধর্ম নিয়ে পরস্পরে আলাপ-আলোচনা করতো। মুসলমান লোকটি ছিল খুবই দ্বীনদার-ইবাদতকারী। আলাপ-আলোচনার সময় সে ইসলাম ধর্মের এতো প্রশংসা ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতো যে, তার খ্রিস্টান বন্ধুটি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হল। অবশেষে কিছুদিন পর সে খ্রিস্টান লোকটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল।
রাতের বেশীর ভাগ সময় পার হয়ে সেহরীর সময় হয়েছিল। নও মুসলিম সে খ্রিস্টান লোকটি বুঝতে পারল যে, কেউ তার ঘরের দরজায় টোকা দিচ্ছে। সে তাড়াতাড়ি দরজার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল, কে ?
দরজার বাইরে থেকে জবাব এল, আমি অমুক অর্থাৎ দরজায় আওয়াজ দেয়া লোকটি নিজের পরিচয় দিল। ওই ব্যক্তি ছিল সেই মুসলমান প্রতিবেশী লোকটি যার হাতে খ্রিস্টান লোকটি কয়েকদিন পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিল। সে নওমুসলিম খ্রিস্টান লোকটি প্রতিবেশী বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করল, এতো রাতে কি দরকারে এসেছো ?
মুসলমান বন্ধুটি বলল, তাড়াতাড়ি অযু করে নাও। তারপর কাপড়-চোপড় পরে বেরিয়ে এসো। ফজরের নামায পড়ার জন্য মসজিদে যেতে হবে। সে নতুন মুসলমানটি জীবনে প্রথমবারের মতো অজু করল। তারপর মুসলমান বন্ধুটির সাথে মসজিদে চলে গেল। এখনও সকাল হতে অনেক দেরি। রাতের নফল নামাযের সময় আছে। দুই বন্ধু বেশ কিছুক্ষণ ধরে নফল নামায আদায় করল। এমন সময় সেহরীর সময় পার হয়ে সাদা আভা দেখা দিল অর্থাৎ ফজরের নামাযের সময় হলো। তারা ফজরের নামায আদায় করল। এরপর দোয়া-দরুদ ইত্যাদিতে লিপ্ত হলো। এভাবে পূর্ণ সকাল হয়ে গেল। তাই নওমুসলমানটি মসজিদ থেকে বাড়ি যাবার জন্য উঠে দাঁড়াল। তার মুসলমান বন্ধুটি জিজ্ঞাসা করল, কোথায় যাচ্ছো ?
জবাবে নও মুসলিমটি বলল, বাড়ি যাচ্ছি। সকালের নামায তো পড়ে নিলাম। এখন আর এখানে কি কাজ ?
মুসলমান বন্ধুটি বলল, আর একটু দেরি করো। নামাযের পরের দোয়া-দরুদও পড়ে নাও। এরই মধ্যে সূর্যও উদয় হয়ে যাবে।
নওমুসলিম বন্ধুটি বলল, বেশ ভালো।
এ কথা বলে সে মসজিদে বসে গেল এবং খোদার যিকির-আযকারে লিপ্ত হলো। সূর্য উঠে গেল। সে আবার বাড়ি যাবার জন্য উঠছিল। এমন সময় তার মুসলমান বন্ধুটি কুরআন মজীদ তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, আপাতত কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করো। এতে করে সূর্যটা ও ভালোভাবে উঠে যাবে। আর আমি তোমাকে উপদেশ দেবো যে, আজ তুমি রোযার নিয়ত করে নাও। তুমি কি জানো না রোযা কত সওয়াব ও ফজিলতের কাজ ?
এভাবে ধীরে ধীরে যোহরের নামাযের সময় হয়ে এসেছে। সে মুসলমান বন্ধুটি বলল, আর একটু দেরি করো। যোহরের নামাযের সময় প্রায় হয়ে গেছে। যোহরের নামাযও মসজিদে পড়ে নাও। যোহরের নামাযও পড়া হলো। তারপর মুসলমান বন্ধুটি বলল, আর অল্প কিছুক্ষণ দেরি করো। আসরের নামাযের ফজিলতের সময় খুবই নিকটবর্তী। এ নামাযটাও ফজিলতের সময়ে আদায় করে নেয়া যাক। আসরের নামায শেষ হবার পর তার নও মুসলিম বন্ধুটিকে বলল, সূর্যাস্ত খুব নিকটে। আর অল্প পরেই মাগরিব নামাযের সময় হয়ে যাবে।
নওমুসলিম লোকটি মাগরিব নামাযের পর বাড়ি যেতে চাইল। সারা দিন রোযা রাখার পর তার শরীরটা ক্লান্ত। এসময় তার মুসলমান বন্ধুটি বলল, এখন একমাত্র এশার নামাযই বাকি আছে। আর খানিক সময় অপেক্ষা করো। ঘণ্টা খানিকের মধ্যে এশার নামাযের ফজিলতের সময়। এভাবে এশার নামাযও সে নওমুসলিম লোকটি মসজিদে আদায় করল। এরপর বাড়ি ফিরে গেল।
দ্বিতীয় রাতে সেহরীর সময় সে নওমুসলিমের কানে দরজা টোকানোর শব্দ এল। সে জিজ্ঞাসা করল, কে ?
জবাব এল, আমি তোমার প্রতিবেশী অমুক। অজু করে কাপড়-চোপড় পরে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসো। এক সাথে মসজিদে গিয়ে ফজরের নামায আদায় করব।
নওমুসলিম লোকটি আগের দিনের ঘটনায় খুব ক্ষুব্ধ ছিল। সে বলল, "আমি গতকাল মসজিদ থেকে ফিরে এসে তখনই ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছি। তুমি চলে যাও। আমার চেয়ে বেকার কোনো লোক খুঁজে নাও যার কাছে নামায, রোযা ও আল্লাহর ইবাদত ছাড়া দুনিয়ার আর কোন কাজ নেই। সে তার সমস্ত সময় মসজিদে কাটিয়ে দেবে। আমি দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তলোক। তা ছাড়া আমার উপর আমার পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং আমার নামায-রোযা ও খোদার ইবাদত ছাড়া আরো কাজ-কর্ম রয়েছে। আমাকে আমার পরিবারের লোকদের জন্য খাওয়া পরার ব্যবস্থাও করতে হবে।"
বন্ধুরা, এতক্ষণ যে ঘটনাটি শুনলে তা বর্ণনা করেছেন ইমাম জয়নুল আবেদিনের নাতি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)। তিনি তাঁর সঙ্গীদের কাছে এ ঘটনাটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এভাবে এ কঠোর ও চরম ইবাদতকারী পরহেজগার লোকটি একজন অমুসলিমকে মুসলমান বানালেও নিজের কট্টর মনোভাবের কারণে নওমুসলিম বন্ধুটিকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করল। অতএব তোমাদেরকে সর্বদা এ সত্যটি সামনে রাখতে হবে যে, লোকেরা তোমাদের কঠোর মনোভাব ও চরম পন্থা অবলম্বনের কারণে যেন বিরক্ত না হয়ে যায়। তাদের সামর্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রেখে কাজ হবে যাতেকরে তারা দ্বীন ইসলাম ও এর সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজে নিজেই ইসলামের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়। ইসলাম থেকে যেন সরে না পড়ে।"
এরপর তিনি বলেন, "কঠোরতা ও বলপ্রয়োগ ছিল উমাইয়া শাসকদের নীতি। কিন্তু আমাদের নীতি হচ্ছে- মধুর চরিত্র, নম্র আচরণ, ভালোবাসা ও পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা। নির্ভেজাল ইসলামি চরিত্র ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করে নেয়াই আমাদের পন্থা।"#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৩