দিয়া-রাজীবের মৃত্যু : তিনজনের যাবজ্জীবন
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১ ডিসেম্বর রোববার কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- যে আশায় পার্বত্য চুক্তি, তা সুদূর পরাহত: সন্তু লারমা-দৈনিক প্রথম আলো
- দিয়া-রাজীবের মৃত্যু : তিনজনের যাবজ্জীবন- কালেরকণ্ঠ
- দুমাসের শিশু থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ কেউ নিরাপদে নেই: মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্তর
- ধুলা নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত: সাঈদ খোকন-দৈনিক ইত্তেফাক
-
দেশে এইডস আক্রান্ত রোগী ১৩০০০-দৈনিক নয়াদিগন্ত
- রাজধানী থেকে সব বাস টার্মিনাল সরানো হবে'-দৈনিক নয়াদিগন্ত
ভারতের শিরোনাম:
- প্রার্থী দিয়েও পিছু হঠল বিজেপি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহারাষ্ট্রের স্পিকার হলেন নানা পাটোল-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি: চিদম্বরম-দৈনিক আজকাল
- ক্রিসমাসে আতঙ্কের ছায়া, ভারতকে রক্তাক্ত করতে ছক কষছে ইসলামিক স্টেট-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। প্রথমেই বাংলাদেশের পত্রিকার খবর।
যে আশায় পার্বত্য চুক্তি, তা সুদূর পরাহত: সন্তু লারমা-দৈনিক প্রথম আলো
‘শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনের আশায় পার্বত্যবাসী চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ২২ বছর অপেক্ষা করেও পার্বত্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো না। সেটি আজ সুদূর পরাহত।’পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে এমন হতাশার কথাই বললেন এ চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তির বার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেএসএস। সেখানেই এসব কথা বলেন সন্তু লারমা।
দুই দশকের বেশি সময়ের সশস্ত্র লড়াইয়ের পর জেএসএস বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। চুক্তিতে ৭২টি ধারা ছিল। এ চুক্তির মাধ্যমেই পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য তিন জেলায় তিনটি জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সন্তু লারমা এখন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান।
সন্তু লারমা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকার ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে অব্যাহতভাবে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো চুক্তির মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবাস্তবায়িত অবস্থায় রেখে দিয়েছে।’ সন্তু লারমা বলেন, ‘এক নাগাড়ে ১১ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।’
সরকারে বিরুদ্ধে নানারকম অবিচার ও জুলুমের অভিযোগ তোলেন জেএসএস সভাপতি। জেএসএসের নেতা-কর্মীদের ওপর একের পর মিথ্যা মামলা দেওয়ারও অভিযোগ করেন সন্তু লারমা। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে। এসব জুলুম সম্পর্কে গণতান্ত্রিক সমাজকে কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।
জেএসএস সভাপতি আরও বলেন, ‘জনসংহতি সমিতির তথা জুম্ম জনগণের পিঠ সম্পূর্ণভাবে দেওয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের আর পেছনে যাওয়ার পথ নেই। পাহাড়িরা ২২ বছর ধরে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করেছে। তারা সরকার তথা শাসকগোষ্ঠীকে অনেক সময় দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘জুম্ম জনগণ সকল ক্ষেত্রে দুর্বলতর ও পশ্চাৎপদ। তাই বলে তারা অবহেলা ও উপেক্ষার পাত্র হতে পারে না। জুম্ম জনগণ অধিকারকামী। এটাই তাদের একমাত্র সম্বল।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ২২ বছর ধরে চুক্তির পর তা বাস্তবায়ন না করে রাষ্ট্র অনুদার চরিত্র প্রকাশ করছে। রাষ্ট্রকে উদার হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, রাজনৈতিকভাবে পার্বত্য সমস্যার সমাধান করতে হবে। এর সঠিক বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার পরিচয় দেওয়া উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। সঞ্চালনায় ছিলেন, জেএসএসের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক উ উইন মং।
দিয়া-রাজীবের মৃত্যু : তিনজনের যাবজ্জীবন- কালেরকণ্ঠ
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের চালকসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদেরর মধ্যে দুইজন চালক ও একজন চালকের সহকারী। মামলার অপর আসামি বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারী এনায়েতকে খালাস প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের এবং চালকের সহকারী কাজী আসাদ। আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে বাসচাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। ঘটনার দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
দুমাসের শিশু থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ কেউ নিরাপদে নেই: মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্ত
বাংলাদেশ সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এদেশে দুই মাসের শিশু থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ কেউ নিরাপদে নেই।
রোববার দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে যারা দুর্বল—শারীরিকভাবে একটু নাজুক, তারা সবচেয়ে বেশি অনিরাপদে আছেন। এখানে দুমাসের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধা অথবা তরুণ যুবক, ভাই-বাবা— কেউ নিরাপদে নেই। কারণ, বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাসের জনপদ।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, জাহানারা আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী।
ধুলা নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত: সাঈদ খোকন
ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রবিবার নগর ভবনের সামনে ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পানি ছিটানোর কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমরা বিশেষ প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছি। যার আওতায় প্রাইমারি সড়কগুলোতে সকাল-বিকালে দুই বেলা পানি ছেটানো হবে। কর্মসূচির আওতায় যেসব স্থানে কন্সট্রাকশন চলছে, সেখানে যদি সঠিকভাবে কাজ না হয় বা এলোমেলোভাবে মাটি কিংবা অন্যকিছু পড়ে থাকে, তাহলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।
তিনি জানান, বর্তমানে ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা সীমিত। আর ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে মূল দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। কিন্তু নাগরিক দায়িত্বকে সম্মান জানিয়ে ডিএসসিসি এ কাজগুলো করছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো শেষ হলে বায়ুদূষণ কমে আসবে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, শহরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এর সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের কাজ। এসব উন্নয়ন কাজগুলো দূষণের জন্য অনেকটা দায়ী। এ কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে নাগরিকদের যে দুর্ভোগ হচ্ছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।
দেশে এইডস আক্রান্ত রোগী ১৩০০০-দৈনিক নয়াদিগন্ত
দেশে বর্তমানে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত সনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৬ হাজার ৬০৬ জন। এখনও সনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইডস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম ঝুকিপূর্ণ দেশ। এখনও পর্যন্ত সাধারণ জনগণের মধ্যে সংক্রমণের হার শুন্য দশমিক ১ ভাগের নিচে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গ) মধ্যে সংক্রমণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি-লেপ্রোসি ও এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে, গত এক বছর নতুনভাবে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে সর্বোচ্চ ৯০০ জনের মতো। তবে মৃতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমে এসেছে।তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা এনজিও থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর হওয়ায় রোগীরা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে।এদিকে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ১লা ডিসেম্বর বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হচ্ছে।দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’।প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের নেতৃত্বে দিবসটির তাৎপর্য ব্যাখা পূর্বক আলোচনা সভা ও র্যালি করা হবে। এদিকে, ঢাকায় বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনসস্টিটিউশন মিলনায়তনে।
রাজধানী থেকে সব বাস টার্মিনাল সরানো হবে'-দৈনিক নয়াদিগন্ত
বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে রাজধানী থেকে সব আন্তঃবাস টার্মিনাল সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এজন্য স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবহনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ রবিবার রাজধানীর নগরভবনে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষর (ডিটিসিএ) বোর্ড সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানী ঢাকার সড়কে ৬৪টি স্থানে বাস স্টপেজ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। রাজউক থেকে ভবনের অনুমোদনের সময় ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারেন্স লাগবে। ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদ করে সিটি ফরেস্ট নির্মাণ করবে সিটি করপোরেশন। আর ধুলাদূষণের জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতর কাজ করছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ডিটেইল প্ল্যানেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এই কাজ রাতারাতি সম্ভব নয়। এজন্য আবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কাজ সিটি করপোরেশন ও ডিসিএর সহযোগিতায় পুলিশ পালন করবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন
প্রার্থী দিয়েও পিছু হঠল বিজেপি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহারাষ্ট্রের স্পিকার হলেন নানা পাটোল-
স্পিকার পদের প্রার্থী দিয়েও শেষ মুহূর্তে নাম তুলে নিলেন দেবেন্দ্র ফডণবীসরা। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন কংগ্রেস বিধায়ক নানা পাটোল।
ঘটনাচক্রে বরাবরই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্পিকার নির্বাচিত হয়ে এসেছে মহারাষ্ট্রে। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস থেকে নানা পাটোলকে স্পিকার পদের জন্য মনোনীত করা হয়। তাঁকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতেই কিসান কাঠোরকে পাল্টা প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়। প্রোটেম স্পিকার দিলীপ ওয়ালসে পাটিল ঘোষণা করেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কাঠোরের নাম তুলে নিচ্ছে বিজেপি।
কেন নাম তুলে নেওয়া হল? এ প্রসঙ্গে দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেন, “প্রতিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন স্পিকার। এটা বিধানসভার একটা ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের কথা ভেবে এবং অন্য দলের বিধায়কদের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পাটোলের প্রশংসা করেন দেবেন্দ্র ফডণবীস ও মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধব বলেন, “আমি খুব খুশি যে, এক জন কৃষকের ছেলে এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।” বিদর্ভ অঞ্চলের কুনাবি সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন নানা পাটোল। ২০১৪-তে বিজেপিতে যোগ দেন। সে বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভান্ডারা-গোন্ডিয়া ক্ষেত্র থেকে এনসিপি নেতা প্রফুল পটেলকে হারান। কিন্তু পরে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নাগপুর থেকে প্রার্থী হন নিতিন গডকড়ীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এ বার হেরে যান। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে সাকোলি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন পাটোল। দেবেন্দ্র ফডণবীসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পরিণয় ফুকেকে হারিয়ে দেন তিনি।
ক্রিসমাসে আতঙ্কের ছায়া, ভারতকে রক্তাক্ত করতে ছক কষছে ইসলামিক স্টেট-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
ইরাক, সিরিয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘খিলাফত’। তবে সাম্রাজ্য শেষ হলেও, অস্তিত্ব রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের। এবং তা প্রবলভাবেই। দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে ক্রিসমাসে ভারতে নাশকতার ছক কষেছে জেহাদি সংগঠনটি।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ওই রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে ক্রমে ইসলামিক স্টেটের প্রভাব বাড়ছে। ভারতীয় উপমহাদেশে উপস্থিতি জানান দিতে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার ডে হামলার মতোই এ দেশে ক্রিসমাসে নাশকতার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনটি। এর জন্য একাধিক ‘স্লিপার সেল’কে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক থাকে না স্লিপার সেলগুলির। অনেক ক্ষেত্রেই এমনটাও দেখা যায় যে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কোনও হামলা চালিয়েছে সেলগুলি। ফলে ধরা পড়লেও ওই তৃণমূল স্তরের জঙ্গিদের থেকে বিশেষ কিছু তথ্য পাওয়া যায় না।

প্রসঙ্গত, গতকাল তামিলনাড়ুর থানজাবুর ও তিরুচিরাপল্লিতে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গির বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সেখান থেকে দু’টি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি সিমকার্ড, পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই রাজ্যে আইএস-এর একাধিক মডিউল কাজ করছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত মাসেই সেনেটে এক মার্কিন আধিকারিক দাবি করেছিলেন যে, ২০১৮ সালে ভারতে ভয়াবহ নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান গ্রুপ (আইএস-কে)। তবে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয় দক্ষিণ এশিয়ায় সক্রিয় এই সংগঠনটির। তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে, বিশ্বজুড়ে আইএস-এর যে সব শাখা ছড়িয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক খোরাসন। আফগানিস্তান-সহ এবার পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন ভারতেও আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই দলটি। বেশ কয়েক বার হামলা চালানোর চেষ্টাও করেছে তারা।
আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি: চিদম্বরম-দৈনিক আজকাল
দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে নেমেছে। এই নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কংগ্রেস অভিযোগ করছে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ক্রমশ নিম্নমুখী হলেও সমস্যা সমাধানের উপায় না খুঁজে নিজেদের ঢাক পেটাতেই ব্যস্ত সরকার। আর্থিক বৃদ্ধির হার নীচে নামায় শনিবার মোদি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও পি চিদম্বরম। এদিকে শনিবার ৬ মাস পূর্ণ হল দ্বিতীয় মোদি সরকারের। সেদিনই কেন্দ্র দাবি করল, এই ৬ মাসে নানা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেছে।

কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার, তিন তালাক বিরোধী বিল পাশের মতো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে লিখেছেন, ‘গত ছয় মাসে উন্নয়নমূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামাজিক ক্ষমতায়ন হয়েছে, ভারতীয়দের মধ্যে একতা বেড়েছে। আগামীতে সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল নতুন ভারত তৈরি হবে।’ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর দাবি করেন, ‘বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সামান্য প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এই অর্থনৈতিক সমস্যার মোকাবিলায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্পোরেট করে ছাড় দিয়েছে।’ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিজেপি–কে আক্রমণ করে টুইটে লিখেছেন, ‘প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি... বছরে ২ কোটি চাকরি, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা, অচ্ছে দিন, মেক ইন ইন্ডিয়া, অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে দেওয়া... আজ আর কোনও প্রতিশ্রুতি কি গণ্য হবে? বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়ে, বোঝাই যাচ্ছে সব প্রতিশ্রুতিই ভুয়ো।’ জেলে বন্দি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার আরও কমবে। চিদম্বরমের হয়ে তাঁর পরিবারের পোস্ট করা টুইটে বলা হয়েছে, ‘অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, জিডিপি–র হার কমবে। বাস্তবে দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশ।

তারপরেও সরকার বলে যাচ্ছে, অল ইজ ওয়েল। মনে হচ্ছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অবস্থা আরও খারাপ হবে।’কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, ‘দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম ছয় মাসে আর্থিক ব্যর্থতা চরমে। সব ক্ষেত্রেই আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। গ্রামীণ অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, বেকারদের সংখ্যা বেড়েছে। অথচ সরকার বুঝতে পারছে না যে, তাদের ভ্রান্ত নীতির ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।’ওই কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার লোকের অভাব রয়েছে। নোট বাতিলের সময় মনমোহন সিং সতর্ক করে বলেছিলেন আর্থিক বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ কমবে। বাস্তবে সেটাই হল।
গেহলটের বক্তব্য, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ভাণ্ডার খালি করে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ধারণাটাই ভুল। এই পরিস্থিতিতে কে বিশ্বাস করবে, ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ? কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে দাবি করেছিল, আর্থিক বৃদ্ধির হার কমলেও মন্দা দেখা দেয়নি, দেবেও না। ইউপিএ সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, মনমোহন সিং সরকারের তুলনায় অর্থনৈতিক অবস্থা নাকি ভাল! এদিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ক্রমশ নীচে নামার ঘটনাকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ‘গভীর চিন্তার বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরেই মোদি সরকার দাবি করেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে দেশ। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত ছ’বছরে অর্থনীতির অবস্থা এতটা খারাপ পর্যায়ে নামেনি। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাস, এপ্রিল থেকে জুনে বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। পরের তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) তা ৪.৫ শতাংশে নেমে আসায় এই অর্থ বছরে সামগ্রিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের গণ্ডি টপকাতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। ২০১২–১৩ অর্থবর্ষের জানুয়ারি–মার্চে বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশে নেমে এসেছিল। তারপর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে গত ত্রৈমাসিকে।
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।