গত আসরে বলার চেষ্টা করেছি, বারবার আমরা যে কাজগুলো করি সেগুলো আমাদের অবচেতন মনে মজুত থাকে; সেগুলোর বাইরে নতুন কিছু করতে গেলেই অবচেতন মন তাতে সায় দিতে চায় না, বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসকে তার সমস্ত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে একটি বাক্য বলার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি বলেছিলেন, নো দাইসেল্ফ বা নিজেকে জানো।
আমরা নিজেকে চেনা ও জানার প্রয়োজনীয়তা ও উপায় নিয়ে খানিকটা আলোচনা করেছি গত আসরে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা নিজেকে চেনা ও জানার বিভিন্ন ধাপ বা স্তর নিয়ে কথা বলব।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) বলেছেন, আমি তোমাদের জন্যে অতি মূল্যবান বা ভারী ও সম্মানিত দুটি জিনিষ রেখে যাচ্ছিঃ একটি হল আল্লাহর কিতাব ও অপরটি হল আমার আহলে বাইত। অতঃপর নিশ্চয়ই এ দুটি জিনিস হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনও পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না।
আমিরুল মুমিনিন হজরত আলী (আ.) বলেছেন, নিজেকে যে চিনতে পারলো সে সবচেয়ে বড় জ্ঞান অর্জন করলো। নিজেকে চেনার বিপরীত দিক হলো নিজের সম্পর্কে অজ্ঞতা।
জিলক্বদ মাসের শেষ দিন ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়স্ক মজলুম ইমাম হযরত জাওয়াদ (আ)'র শাহাদত বার্ষিকী। ২২০ হিজরির এই দিনে তিনি শাহাদাত বরণ করেছিলেন। ইমাম মুহাম্মাদ বিন আলী আল জাওয়াদ-এ'র জন্ম হয়েছিল মদীনায় ১৯৫ হিজরিতে তথা ৮১১ খ্রিস্টাব্দের ১২ এপ্রিল।
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৪ জুন মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
আজ ইরানসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে পালিত হচ্ছে হযরত ফাতিমা মাসুমা (সালামুল্লাহি আলাইহা)'র পবিত্র জন্মবার্ষিকী। ১৭৩ হিজরির ১ জিলকদ মাসে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনবী (সা.)'র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম মুসা কাজিম (আ.)'র কন্যা ও ইমাম রেজা (আ.)'র বোন হযরত মাসুমা (সালা.)।
গত আসরে আমরা নিজেকে ভালোভাবে চেনা এবং নিজের সম্পর্কে ভালোভাবে জানার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি।
ক) ঈদ মানে আনন্দ। তাই ঈদ এলেই আমরা খুশি হই, আনন্দিত হই। যারা রোজা রেখেছেন তাঁরা তিনটি পর্যায় অতিক্রম করেছেন। রহমত পর্ব, মাগফিরাত পর্ব এবং নাজাত বা মুক্তি পর্ব। শেষ পর্বে জাহান্নামের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পাশাপাশি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম ও পুণ্যময় একটি রাত পেয়েছিলেন রোজাদারগণ। ঈদ সেজন্যই আনন্দের, প্রাপ্তির আনন্দ, মুক্তির আনন্দ।