ইরানের সাবেক স্বৈরশাসক শাহের উৎখাত এবং মরহুম ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছিল বর্ণবাদী ও সম্প্রসারণকামী ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত। বলা যায় তখন থেকেই তাদের বিলুপ্তির কাউন্টডাউন শুরু হয়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনী দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অঙ্গ সংগঠন। সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব "দেশের স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা"।
ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনি (র) (১৯০২-১৯৮৯) ও দেশটির ইসলামী বিপ্লবের রূপকার বা মহান নেতা দেখিয়ে গেছেন যে ইসলামী আইন ও ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন সমাজ-পরিচালনায় সক্ষম এবং এ জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা দিতেও সক্ষম। অন্য কথায় যে ইসলামী আইন ও ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন কেবল কোনো নির্দিষ্ট স্থান ও সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়।
১২ ফারভারদিন বা পয়লা এপ্রিল ইরানের ইসলামী রিপাবলিক বা ইসলামী জন-শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের দিবস। এ দিবস মহান ইরানি জাতির জাতীয় গৌরব ও ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলনের দিন। বিপ্লবী ইরানি জাতি ৪৫ বছর আগে এ দিনে তাঁদের দেশের ভাগ্য নিজের হাতেই নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছিলেন।
ইসলামী ইরানের কোটি কোটি মানুষ আজ দেশটির ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের শোভাযাত্রায় দেখা গেছে নানা ধরণের চিত্র। তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আকাশে হঠাৎ দেখা গেল প্যারাসুটের সাহায্যে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে উড়ছে এক ইরানি।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে লাখো-কোটি মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরানি জনগণ যে ইসলামি বিপ্লবকে আগের মতোই ভালোবাসে বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল থেকে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বিপ্লবের শোভাযাত্রায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে প্রতিবারই হতাশ হয়ে পড়ে শত্রুরা।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি দখলদার ইসরাইলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আজ রাজধানী তেহরানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সমাবেশে এ দাবি জানান।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, তার দেশের শত্রুরা ইরানকে অপমান ও অপদস্থ করার সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানি জনগণ মহান আল্লাহর ওপর নির্ভর করে সেসব প্রচেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছে।
ইরানে আজ (রোববার) ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র নেতৃত্বে মার্কিন তাবেদার স্বৈরশাসক রেজা শাহ পাহলাভি সরকারের পতন ঘটিয়ে ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হয়েছিল।