যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে চালু হল ‘ঢাকা নগর পরিবহন’
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পথের ভোগান্তি কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো নগর পরিবহন সার্ভিস। রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের (বিআরআর) অংশ হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ সেবা চালু হয়েছে।
আজ (রোববার) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যাত্রীসেবা উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় সড়ক-সেতু মন্ত্রী গণপরিবহনে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবং নিরাপত্তা নিশিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন ।
অনুষ্ঠানে ঢাকার দুই মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর টিকিট কেটে ফুলে ফুলে সাজানো দ্বিতল বাসে যাত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ধানমন্ডির শংকর পর্যন্ত আসেন দুই মেয়র।
‘ঢাকা নগর পরিবহন’ সেবার আওতায় গ্রিন ক্লাস্টার নামে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার রুটে রোববার সকালে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০টি সবুজ রঙের বাস চালু করা হয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ রুটে বাসের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা হবে। এ রুটে প্রতি কিলোমিটারে দুই টাকা ২৮ পয়সা ভাড়া দিতে হবে।
ঢাকা নগর পরিবহনে প্রথম দিন থেকেই ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। বাস-বে, যাত্রী ছাউনিগুলো প্রস্তুত হয়েছে। এছাড়া এ রুটে প্রতিটি বাসের চালক-স্টাফদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে। সেই সঙ্গে তাদের গলায় ঝোলানো থাকবে আইডি কার্ড ।
উল্লেখ্য, বাসের রুট পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনার আওতায় একটি রুটের সব বাস একই রঙে একই কোম্পানির অধীনে চলবে। ফলে বাসে বাসে প্রতিযোগিতা বা এক বাস আরেক বাসকে ওভারটেক করতে পারবে না। ইতোমধ্যে, ট্রান্সসিলভা কোম্পানির ২০টি এবং সরকারি পরিবহর সংস্থা বিআরটিসির ৩০টি দ্বিতল বাস নিয়ে চালু হয়েছে বিআরআর।
বিআরআর পদ্ধতিতে একটি রুটে একটি মাত্র কোম্পানির বাস চলবে। তবে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে আগে থেকে চলমান বাসগুলোও নগর পরিবহন বাসের সঙ্গে চলছে।
ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির পর গ্রিন ক্লাস্টারে নগর পরিবহনের বাস ছাড়া অন্য কোনো বাস চলবে না। ২০২৩ সালের মধ্যে পুরো ঢাকায় নগর পরিবহনের বাস চলবে। তখন আর অন্য বাস থাকবে না।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।