‘চাদর কেনার লক্ষ্যে আইজিপি’র জার্মানি সফরের তথ্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর’
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i103950-চাদর_কেনার_লক্ষ্যে_আইজিপি’র_জার্মানি_সফরের_তথ্য_অসত্য_ও_বিভ্রান্তিকর’
জার্মানি থেকে এক লাখ চাদর কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আজ (বুধবার) এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বাহিনীটি বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অপপ্রচারকারী চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়িয়েছে। তারা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ ০১:০৩ Asia/Dhaka
  • আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ
    আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ

জার্মানি থেকে এক লাখ চাদর কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আজ (বুধবার) এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বাহিনীটি বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অপপ্রচারকারী চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়িয়েছে। তারা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামানের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়াতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) পুলিশ বাহিনীর জন্য জার্মানি থেকে চাদর কেনার লক্ষ্যে জার্মানি সফর করছেন মর্মে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে, তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এই যে, পুলিশ বাহিনী জার্মানি থেকে বালিশের কাভারসহ বিছানার চাদর ক্রয় করছে না। তা ছাড়া জার্মানি বিছানার চাদর উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কোনো দেশ নয়, তারা ভারী শিল্পের দেশ।

সদর দপ্তর বলেছে, পুলিশ মহাপরিদর্শকের চাদর ও বালিশের কভার কিনতে জার্মানি যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। তা ছাড়া সরকারি ক্রয় নীতিমালা আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র কেনাকাটার মতো করে সরকারি পণ্য কেনা বা সংগ্রহ করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া আছে।

পুলিশ বলছে, তারা সব সময়ই স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে স্থানীয় প্রস্তুতকারীদের তৈরি বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনে থাকে। এ বছরও একইভাবে কেনা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সরকারি আদেশের অনিচ্ছাকৃত ভাষাগত বিভ্রাটের কারণে এই ‘তথ্যগত বিভ্রান্তি’ দেখা দিয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, এ বিজ্ঞপ্তির পর এ ধরনের সব বিভ্রান্তির নিরসন হবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদারের জারি করা আদেশে বলা হয়, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের (ডাবল) শিপমেন্টের জন্য (জাহাজীকরণ) ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টে অংশ নিতে আইজিপি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দীন খলিফা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে নয়দিনের সফরে জার্মানি যাবেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ তিন কর্মকর্তার বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের মান যাচাইয়ে নয়দিনের সফরে জার্মানি যাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশটিকে (জিও) অসাবধানতাবশত ভুল।  

তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে জিওটি পড়লে বোঝা যাবে, আইজিপি এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনতেই জার্মানি যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি তা নয়। চাদর ও বালিশের কাভার কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। জিওর শব্দগত বিন্যাসের কারণেই এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬