গরু, মুরগী, সেমাই ও চিনিসহ দাম বেড়েছে সব নিত্য-পণ্যের
বাংলাদেশে ঈদ-বাজেটে মিলছেনা উৎসব-সামগ্রী! ভোগান্তি ক্রেতাদের!
বাঁকা চাঁদের হাসি-জুড়ে এলো খুশির ঈদ। তাই তো শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী।
ঈদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন নগরীর বিপণি বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের জিনিসপত্র কেনাকাটা শেষের পথে। নিজেদের খাওয়া এবং অতিথি আপ্যায়নে সেমাই, চিনি ও মসলার দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। তবে হতাশ বাড়তি দামে। বলছেন রমজানের সংযমের মাসেও নিত্য-পণ্যের অতি উচ্চমূল্য বিপাকে ফেলেছে তাদের। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে কষ্ট পেতে হচ্ছে বেশি,তবুও হাসিমুখে সব সহ্যের প্রাণান্তকর চেষ্টা তাদের।
ঈদ-উল-ফিতরের চাঁদ উঠার আগেই গোশতের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে গরুর গোশতের দাম এলাকা-ভেদে কেজি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ৫০ থেকে ১শ টাকা। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের। তারপরেও পরিবারের স্বজন ও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও বাজার করতে হচ্ছে তাদের।

ঈদকে কেন্দ্র করে কারসাজির মাধ্যমে গোশতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। বিষয়টি স্বীকার করছে ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছে, ঈদের কারণে গোশতের চাহিদা বেশি। চাহিদা বাড়ায় গোশতের টান পড়েছে। ফলে বেশি দামে গরু ও গোশত দুটোই কিনে আনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা। সব কিছু যাচ্ছে ক্রেতাদের ওপর দিয়ে। ভোক্তারা বলেন, মুরগি, গরু ও খাসিসহ সব গোশতের দাম বাড়ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে। খেতে হলে কিনতে হবে, উপায় নেই।
আজ শুক্রবার রাজধানীতে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। অথচ বুধবারও কেজি প্রতি গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার দিনে দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

এদিকে তুলনামূলকভাবে বেশি দাম বেড়েছে গরিবের গরুর মাংস বলে খ্যাত ব্রয়লার মুরগির। যা আজ রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে। অথচ বুধবার বিক্রি হয়েছে ২১০-২২০ টাকা কেজিতে।
ভিন্ন চিত্র ছিল সবজির বাজারে। ঈদ উপলক্ষে ফাঁকা নগরীতে উত্তাপ কমেছে সবজি, তরি-তরকারির। তবে বেড়েছে পোলাও, চিনি ও শসাসহ কিছু পণ্যের দাম। #
পার্স টুডে/ বাদশাহ রহমান/আমির/২১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।