দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বন্ধে সিন্ডিকেটে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে: ক্যাব

বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের দাম বছর জুড়েই আলোচনায়। তবে অনেক সমালোচনার ঝড় সামলে গেল রমজানে খানিকটা স্থিতিশীলতার দেখা দিলেও আবারো দৌঁড় শুরু করেছে দাম বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া। ঈদের পরপর রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ার অভিযোগে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। গরুর মাংসের বাজারে ঈদের আগে দাম বাড়াটা ধরে রাখলেও ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডি হাজারীবাগ হাতিরপুল আর শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ঈদের ৭ দিন পরেও ক্রেতা সংখ্যা কম থাকায় বাজারের অনেক দোকান এখনো বন্ধ। ক্রেতাশূন্য বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে চড়া দাম নিচ্ছেন দোকানীরা, অভিযোগ ক্রেতাদের। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজধানীর বেশিরভাগ পাইকারী মোকাম বন্ধ থাকায় যে পণ্য আসছে, তার দাম অনেক। শুধু তাই নয়, গাড়ি ভাড়াও দ্বিগুণ।

আজ শসা ১৬০ টাকা, পেঁপে ৭০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০, গাজর ১২০, ঝিঙা ৮০, করলা ৮০, লতি ৮০ ও বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে এসব সবজি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে। 

বাজারগুলো পুরোদমে চালু না হওয়ায় রাজধানীবাসীকে বেশি দাম দিয়ে সবজিসহ নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের কষ্ট বাড়ছে। তবে বেশি দাম দিয়েও ভালো মানের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। 

চলতি সপ্তাহেও দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গরু ও খাসির মাংস আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গরু ৮০০ ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায় আর দেশি মুরগি ৭০০ টাকা কেজি। 

এসব বাজারে ঈদ পরবর্তী মাছের দাম বেড়েছে। সব ধরনের মাছ ২০ থেকে ৫০ টাকা কেজি প্রতি বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে।

ঈদের পরপর রাজধানীর বাজারগুলোতে আগের দামে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটা বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির বাজার অস্থির। টাকা দিয়েও মিলছে না পণ্য। হতাশ ক্রেতারা। চিনি বিক্রেতাদের নানা বাহানায় ক্ষুদ্ধ নগরীর ভোক্তারা।

এ বিষয়ে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, নিয়ন্ত্রহীন পণ্যমূল্য বৃদ্ধিচক্রের সাথে জড়িত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যাদের কারণে বারবার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। বাজার সিন্ডিকেটের অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টামূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ইদুর দৌঁড় বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাব নেতা নাজের হোসাইন।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।