ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
এ কে আবদুল মোমেন
তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩৯ জন নিখোঁজ ব্যক্তির নাম–পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
আজ (বুধবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট মানব পাচারে যুক্ত নোয়াখালীর তিন ভাইয়ের একটি চক্র ও মাদারীপুরের দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর সিলেট থেকে যাঁরা গেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বেশ কিছু দালালকে চিহ্নিত করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ১৪ যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। যে চারজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, তাঁদের একজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়ার গৌতম দাসের ছেলে উত্তম কুমার দাস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত বৃহস্পতিবার দুটি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর হয়ে প্রায় ১৩০ জন ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে ১০০ জন ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক। একটি নৌকা নিরাপদে পৌঁছে গেলেও দ্বিতীয় নৌকাটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
তিউনিসিয়া থেকে পাঠানো বার্তার উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি ১৪ জনের মধ্যে চারজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই চারজনের মধ্য দুজনের শরীরের বড় অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। কারণ, এঁরা তেলে ড্রাম ধরে ভূমধ্যসাগরে সাত থেকে আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন। অন্য দু’জন আঘাতের কারণে আহত হয়েছেন। অন্য ১০ জন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের আশ্রয়শিবিরে আছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এসব নাগরিক চার থেকে মাস আগে লিবিয়া গেছেন। লিবিয়া যাওয়ার আগে দুবাই, শারজা, আলেকজান্দ্রিয়া হয়ে ত্রিপোলিতে পৌঁছান তাঁরা। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে পৌঁছার পর মানব পাচারকারীরা তাঁদের আটকে রেখেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের মারধর করে বাংলাদেশের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে এসব মানব পাচারকারীরা।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৫