এরশাদকে রংপুরেই দাফনের সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় পার্টি
-
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরেই দাফন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তার দল জাতীয় পার্টি। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ সম্মতির কথা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রওশন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই সকাল পৌনে আটটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে আপনারা যে অভাবনীয় শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় দেশবাসী বিশেষত তাঁর প্রাণপ্রিয় রংপুরবাসীর আবেগ ও ভালোবাসার সম্মানার্থে তাঁকে রংপুরের মাটিতে সামধিস্থ করার বিষয়ে আমি ও আমাদের পরিবার সম্মতি প্রকাশ করছি। সেই সাথে বৃহত্তর রংপুরবাসীর অভূতপূর্ব আবেগ ও ভালোবসায় আমি ও আমাদের পরিবার আজীবন কৃতজ্ঞ ও চিরঋণি হয়ে থাকব।'
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দেশবাসীর কাছে এরশাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন।

আজ দুপুরে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে এরশাদের কফিন আর ঢাকায় ফিরিয়ে না এনে নিয়ে যাওয়া হয় এরশাদের বাড়ি পল্লীনিবাসে। সেখানে লিচুবাগানে বাবার কবরের পাশেই শায়িত হবেন সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ।
এর আগে এরশাদের ভাই জি এম কাদের বলেছিলেন, রংপুরে জানাজার পর ঢাকার বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। কিন্তু রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন।
তার যুক্তি, বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে এরশাদের মরদেহ দাফন করা হলে পরে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সে কবরে গিয়ে সহজে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন না। পরে তারা এরশাদের বাড়ি রংপুরের পল্লী নিবাসে কবরও খুঁড়ে রেখেছেন।
এ নিয়ে উত্তেজনা আর নাটকীয়তা শেষে অবশেষে রংপুরেই দাফনের সিদ্ধান্ত এল।
মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দশ দিন ঢাকা সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার সকালে ইন্তেকাল করেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬