প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘আম্পান’: সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সংকেত

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা জুড়ে  অবস্থানরত ‘আম্পান’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে ঝড়ো হাওয়া আকারে এটি সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আজ (রোববার) বিকেল ৩টার দিকে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ অবস্থায় দেশের সবগুলো সমুদ্রবন্দর- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে অল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ওদিকে, ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঝড় আগামী দু'দিনের মধ্যে প্রলয়ঙ্করী রূপ ধারণ করতে পারে; তখন ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৭০ কিংবা ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানতে পারে।

রোববার ভারতের আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়, আম্পান ১৮ মে সকালের মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) পরিণত হতে পারে। অতি প্রবল হয়ে উঠলে এই ঝড়ের গতিবেগ আঘাত হানার সময় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭০ কিলোমিটার বা তারও বেশি হতে পারে।

এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে শুক্রবার (১৫ মে) একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে শনিবার (১৬ মে) এটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। আজ সেটি প্রবল আকার ধারণ করেছে।

উল্লেখ্য, এপ্রিলের শেষে ও মে মাসের শুরুতে বঙ্গোপ সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অধিদফতর। থাইল্যান্ড-এর প্রস্তাবিত 'আম্পান' নামেই এ ঝড়টিকে চিহ্নিত করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে গত নভেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাতকারী ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'র গতিপথ অনুসরণ করেই এগোচ্ছে 'আম্পান'। #

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।