সিনহা হত্যা মামলা: ওসি প্রদীপসহ ৩ জন রিমান্ডে, ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ
-
টেকনাফ থানার সাবেক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৩ জনের ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পলাতক দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের করা রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রাত ৮টায় এ আদেশ দেয় কক্সবাজারের একটি আদালত। প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল র্যাব।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান। ওই সময় তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা নিতে আসলে ওসি প্রদীপকে হেফাজতে নেয়া হয়। এখন তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তিনি আত্নসমর্পণ করবেন। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার বলা যাবে না।
আসামিদের পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া বাদী পক্ষে এডভোকেট রাখাল চন্দ্র মিত্র জামিন আবেদন শুনানি করেন। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারের একদিন আগে নিজেকে অসুস্থ দাবি করে ছুটি নেন তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী থাকায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে তিনি এখন কক্সবাজারের পথে। সন্ধ্যার দিকে তাকে কক্সবাজার আদালতে তোলা হতে পারে। উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় বুধবার কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ ও মো. লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর এই ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ বিভাগ।
ইতেআমধ্যে সরকার একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/এনএম/এআর/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।