নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ জন আটক: ১৪৪ ধারা বহাল
আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ২৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে । বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
আজ বুধবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মঙ্গলবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন আলাউদ্দিন (২২) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এ দু'পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মুহুর্মুহু গুলিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো বসুরহাট বাজার।
এসময় সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দু'পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মোজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এদিকে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় টহল দিচ্ছে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। থানা-পুলিশের পাশাপাশি জেলা থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা।#
পার্সটুডে/আব্দুুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।