হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেমের টেলিভিশন ভাষণ
ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধে ইরান ও ইরাকের পৃষ্ঠপোষকতা ভুলে যাবে না লেবানন
-
শেখ নাঈম কাসেম
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক ভয়াবহ আগ্রাসনের সময় ইরান ও ইরাক তাদের প্রতি যে অবিচল পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তা লেবাননের জনগণ কখনও ভুলে যাবে না।
তিনি গতরাতে (সোমবার রাতে) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ কৃতজ্ঞতা জানান। শেখ নাঈম কাসেম বলেন, গাজায় যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তার মালিক প্রধানত ফিলিস্তিনি জনগণ, এরপর যেসব আঞ্চলিক দেশ তাদেরকে সহযোগিতা করেছে সেসব দেশ এবং তারপর বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষ।
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ধ্বংস করার যে লক্ষ্য ইসরাইল নির্ধারণ করেছিল তা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং এর ফলে তেল আবিবের ভয়াবহ দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। আমেরিকার অকুণ্ঠ সমর্থন ছাড়া এ যুদ্ধে ইসরাইল এক সপ্তাহও টিকে থাকতে পারত না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শেখ কাসেম বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো যেসব লক্ষ্য নিয়ে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু করেছিল সেসব অর্জিত হয়েছে। পক্ষান্তরে ইসরাইল মানব সমাজকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত এক নিষ্ঠুর অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইসরাইল যুদ্ধাপরাধী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং হামাসের সঙ্গে চুক্তি না করে তার পণবন্দিদের মুক্ত করতে পারেনি।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, আমেরিকা ও সুনির্দিষ্ট কিছু পশ্চিমা দেশের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গাজা উপত্যকা ও লেবাননে ভয়াবহ পাশবিকতা চালিয়েছে ইসরাইল। আমেরিকা ও ইসরাইল প্রতিরোধ অক্ষকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল- উল্লেখ করেন শেখ নাঈম বলেন, কিন্তু ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণ অসামান্য দৃঢ়তা নিয়ে ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং তাদের প্রতিরোধ অভূতপূর্ব ফল দেয়।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় সাবেক নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর শাহাদাতের পর তার সংগঠন প্রমাণ করেছে, হিজবুল্লাহ তাদের নেতৃত্বে যেকোনো ধরনের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে আগের শক্তিমত্তায় ফিরে যেতে সক্ষম। #
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৮