ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি
হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের শাহাদাতের কথা নিশ্চিত করল আল-কাসসাম
-
হামাসের প্রধান সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের শাহাদাত
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডারের শাহাদাতের কথা ঘোষণা করেছে আল-কাসসাম ব্রিগেড।
শাহাদাত বরণ করা সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে ডেপুটি সামরিক কমান্ডার মারওয়ান ঈসা, ওয়েপন ও কম্ব্যাট সার্ভিসের কমান্ডার গাজী আবু তাম’আ, জনশক্তি ও সাপ্লাই ইউনিটের কমান্ডার রায়েত সাবেত এবং খান ইউনুস ব্রিগেডের কমান্ডার রাফে সালামা রয়েছেন।
এর পাশাপাশি হামাসের নর্দান ব্রিগেডের কমান্ডার আহমেদ আল-কান্দুর ও সেন্ট্রাল ব্রিগেডের কমান্ডার আইমান নফেল শহীদ হয়েছেন।
গত আগস্ট মাসে ইসরাইল ঘোষণা করেছিল যে, বিমান হামলায় দেইফ শহীদ হয়েছেন। কিন্তু হামাস বিষয়টি গতকালের আগ পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি। গতকাল ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হামাসের সামরিক মুখপাত্র আবু ওবায়দা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দেইফের পুরো নাম মোহাম্মদ আবু খালেদ দেইফ। শহীদ হওয়ার আগে ইহুদিবাদী ইসরাইল তাকে সাত বার হত্যার চেষ্টা চালালেও তিনি বেঁচে যান। ফিলিস্তিনের এই বীর মুজাহিদ হামাস আন্দোলনের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর ইসরাইল-বিরোধী বহু বড় বড় অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইসরাইলি আগ্রাসনে দেইফের শাহাদাতের মধ্যদিয়ে শুধু একজন হামাস কমান্ডারের জীবনের অবসান ঘটেনি বরং ফিলিস্তিনি ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো।
গতকাল কমান্ডার দেইফের শাহাদাতের ঘোষণা সম্পর্কে আবু ওবায়দা বলেন, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এজন্য যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, ইসরাইলি অভিযানের মধ্যে কমান্ডার কান্দুর এবং নফলের শাহাদাতের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
যেসব কমান্ডার শহীদ হয়েছেন তার মধ্যে সালামা ছিলেন মোহাম্মদ দেইফ এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ারের খুবই ঘনিষ্ঠ সহযোগী।#
পার্সটুডে/এসআইবি/জিএআর/ ৩১