আমেরিকা-রাশিয়া আলোচনার পর ইউক্রেনকে দোষারোপ করলেন ট্রাম্প
-
ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কিয়েভকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি 'অপ্রত্যাশিত' বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যে মন্তব্য করেছেন তাতে ‘অসন্তুষ্ট’ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা থেকে কিয়েভকে বঞ্চিত করার অভিযোগ খারিজ করেছেন তিনি বলেন, “আমি শুনেছি তাদের জন্য কোনো আসন না থাকায় তারা হতাশ হয়েছে। ভালো কথা, তিন বছর ধরে এবং তারও অনেক আগে থেকে তাদের জন্য একটি আসন ছিল। এটি খুব সহজেই মিটমাট করে নেওয়া যেতো। আপনাদের এটি শুরু করা উচিত হয়নি। আপনারাই একটি চুক্তি করতে পারতেন।"
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে নিজস্ব মালিকানাধীন মার-এ-লাগো রিসোর্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “আমি ইউক্রেনের জন্য একটি চুক্তি করতে পারতাম। তাতে তাদের প্রায় সব ভূমিই দেওয়া হতো, সবকিছু, প্রায় সব ভূমি আর কোনো মানুষ নিহত হতো না, কোনো শহর ধ্বংস হতো না।”

ট্রাম্প বলেন, রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের নেতৃত্বাধীন আলোচনার পর একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তিনি ‘অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী’।
সৌদি আরবে আলোচনার পর রাশিয়া ও আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রতিনিধি দল নিয়োগে তারা সম্মত হয়েছেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, “রাশিয়া কিছু করতে চায়। তারা এই হিংস্র বর্বরতা বন্ধ করতে চায়। আমার মনে হয়, এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর ক্ষমতা আমার আছে।”
ইউক্রেনে ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “তারা যদি সেটা করতে চায়, সেটি দারুণ হবে, আমি এর পক্ষে থাকবো।”
রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা করার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, “কোনো শান্তি চুক্তির অধীনেই ইউক্রেনে নেটো জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর শান্তিরক্ষা বাহিনী মেনে নেবে না রাশিয়া।”#
পার্সটুডে/এমএআর/১৮