উত্তর প্রদেশে মসজিদ বিক্রির জন্য মন্দির ট্রাস্টের সাথে চুক্তি!
https://parstoday.ir/bn/news/india-i129016-উত্তর_প্রদেশে_মসজিদ_বিক্রির_জন্য_মন্দির_ট্রাস্টের_সাথে_চুক্তি!
ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে রাম জন্মভূমি সংলগ্ন একটি মসজিদের মুতাওয়াল্লী অবৈধভাবে মন্দির ট্রাস্টের সাথে মসজিদ বিক্রির জন্য একটি চুক্তি করেছেন! 
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ০৬, ২০২৩ ১৯:৪৩ Asia/Dhaka
  •  উত্তর প্রদেশে মসজিদ বিক্রির জন্য মন্দির ট্রাস্টের সাথে চুক্তি!

ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে রাম জন্মভূমি সংলগ্ন একটি মসজিদের মুতাওয়াল্লী অবৈধভাবে মন্দির ট্রাস্টের সাথে মসজিদ বিক্রির জন্য একটি চুক্তি করেছেন! 

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় মুসলমানরা অভিযুক্ত কথিত মুতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। প্রধান অভিযোগকারী এবং অযোধ্যায় ওয়াকফ সম্পত্তি সংরক্ষণের জন্য গঠিত স্থানীয় কমিটি 'আঞ্জুমান মুহাফিজ মসজিদ ওয়া মাকাবির'-এর সভাপতি আজম কাদরি বলেন, ‘মসজিদ বদরের মুতাওয়াল্লী মুহাম্মদ রইস, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাথে ৩০ লাখ টাকায় একটি বিক্রয় চুক্তি করেছেন এবং অগ্রিম হিসেবে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।’মুহাম্মদ রইস মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভুয়া  মুতাওয়াল্লি সেজে জালিয়াতি করে মসজিদ বিক্রি করেছে, উনি যদি মুতাওয়াল্লি হোনও তাহলেও তার মসজিদ বিক্রি করার কোনো অধিকার নেই বলেও আজম কাদরি মন্তব্য করেন। 

আজম কাদরি বলেন, চুক্তিটি গত ১ সেপ্টেম্বর সই হয়েছে, কিন্তু স্থানীয় মুসলিমরা সম্প্রতি এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তিনি বলেন, 'মসজিদ বদর অযোধ্যার মহল্লা পাঞ্জি টোলায় অবস্থিত, যেখানে স্থানীয় মুসুল্লিরা দৈনিক নামাজ পড়েন। মসজিদটি  উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডে যথাযথভাবে নিবন্ধিত এবং সরকারী গেজেট এবং অন্যান্য নথিতে ‘মসজিদ’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।  

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে, আজম কাদরির নেতৃত্বে অযোধ্যার মুসলমানদের একটি প্রতিনিধি দল অযোধ্যা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দেখা করে মসজিদের মুতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ‘এফআইআর’ নিবন্ধন এবং তার ও মন্দির ট্রাস্টের মধ্যে করা 'বিক্রয় চুক্তি' বাতিলের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।  

অযোধ্যার জেলা প্রশাসক নীতিশ কুমার বলেছেন, ‘আমার অফিস 'মসজিদ বদর' বিক্রি সংক্রান্ত আবেদন পেয়েছে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এনফোর্সমেন্ট) অমিত সিংকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।’ রাম জন্মভূমি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমপি শুক্লা বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। 

উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সিনিয়র অ্যাডভোকেট আফতাব আহমেদ বলেন, 'কেন্দ্রীয় ওয়াকফ আইন এবং বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া বিভিন্ন রায় অনুসারে ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা উপহার দেওয়ার অধিকার কারও নেই।' অযোধ্যার 'মসজিদ বদর' বিক্রি বা বিক্রির চুক্তিতে যারা জড়িত তারা অপরাধ করেছে এবং তাদের পদক্ষেপ আইনের পরিপন্থি’ বলেও মন্তব্য করেছেন উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সিনিয়র অ্যাডভোকেট আফতাব আহমেদ।     #

পার্সটুডে/এমএএইচ/০৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।