ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালতে ইরানের আপিল গৃহীত: 'তেলঘর' রক্ষায় আইনি লড়াই
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i154790-ব্রিটেনের_সর্বোচ্চ_আদালতে_ইরানের_আপিল_গৃহীত_'তেলঘর'_রক্ষায়_আইনি_লড়াই
পার্সটুডে-যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির আপিল গৃহীত এবং লন্ডনে অয়েল এমপ্লয়িজ পেনশন ফান্ড ভবন বাজেয়াপ্ত করার বিতর্কিত মামলাটিও চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
(last modified 2025-12-06T13:59:11+00:00 )
ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ ১৯:৫৪ Asia/Dhaka
  •  ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে ইরানের আপিল
    ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে ইরানের আপিল

পার্সটুডে-যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির আপিল গৃহীত এবং লন্ডনে অয়েল এমপ্লয়িজ পেনশন ফান্ড ভবন বাজেয়াপ্ত করার বিতর্কিত মামলাটিও চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।

"ক্রিসেন্ট" নামে পরিচিত এই মামলাটি ২০০১ সালে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি এবং এমিরাতি ক্রিসেন্ট কোম্পানির মধ্যে গ্যাস চুক্তির সময়কার। দু'পক্ষের মধ্যকার বিরোধের পর মামলাটি আন্তর্জাতিক সালিশে পাঠানো হয়েছিল। সেই মামলার রায় বর্তমান আর্থিক দাবির ভিত্তি হয়ে ওঠে।

ক্রিসেন্ট কোম্পানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ইংল্যান্ডসহ কিছু বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির সম্পত্তি সনাক্ত এবং জব্দ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। সেইসঙ্গে লন্ডনে অয়েল এমপ্লয়িজ পেনশন ফান্ড ভবন সম্পর্কিত মামলাটিও এই প্রক্রিয়ারই অংশ হিসেবে পরিগণিত।

লন্ডনে ইরানি তেল শিল্প কর্মচারী পেনশন তহবিলের (যা তেল ঘর নামে পরিচিত) মূল্যবান ভবন বাজেয়াপ্ত করার মামলাটি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে ন্যাশনাল ইরানি তেল কোম্পানির আপিলের আনুষ্ঠানিক দাখিলের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। গত দশকের মধ্যে এটি ইরানের সবচেয়ে জটিল আইনি লড়াইয়ে একটি নতুন জানালা খুলে দিয়েছে।

লন্ডনের আপিল আদালত আমিরাতের কোম্পানি ক্রিসেন্টের পক্ষে রায় দেওয়ার পর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথ খুলে গেছে। ক্রিসেন্ট দাবি করছে ভবনটি পেনশন তহবিলে স্থানান্তর করে ন্যাশনাল ইরানি তেল কোম্পানি, আন্তর্জাতিক সালিসি রায় থেকে উদ্ভূত ঋণ পরিশোধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নিম্ন আদালত ওই স্থানান্তরকে "অবৈধ" ঘোষণা করেছে।

এখন, সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশের মধ্য দিয়ে পুরো মামলাটি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। এই কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্যে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বাতিল করার একমাত্র ক্ষমতা রাখে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সাধারণত শুধুমাত্র উচ্চ জনগুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলিই শুনানি করে। ইরানি আইনজীবীরা তাদের আপিলের জন্য "আপিল আদালতের বিচারকদের মধ্যে মতবিরোধকে" কাজে লাগিয়েছিল।

মানবিক দিক থেকে, তেল শিল্পের ২ লাখেরও বেশি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি যাদের স্বার্থ ভবনের উপর নির্ভরশীল, তারা তহবিলের মালিকানা স্বীকৃতির দাবিতে ১৫হাজার স্বাক্ষরসহ একটি আবেদন করেছেন। ২০০১ সালের গ্যাস চুক্তি থেকে উদ্ভূত এই মামলাটি পশ্চিমা বিশ্বে ইরানের আইনি চ্যালেঞ্জের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সকলের দৃষ্টি এখন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের দিকে। তারা দেখতে চায় ইরানের পক্ষে কি আদালত আইনি পথ পরিবর্তন করবে?#

পার্সটুডে/এনএম/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন