মার্কিন পরিকল্পনায় লেবানন অস্তিত্ব হারাবে, আমরা মাথানত করব না: হিজবুল্লাহ মহাসচিব
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i155088-মার্কিন_পরিকল্পনায়_লেবানন_অস্তিত্ব_হারাবে_আমরা_মাথানত_করব_না_হিজবুল্লাহ_মহাসচিব
পার্সটুডে- লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, যদি কোনো যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে শত্রুর লক্ষ্য কখনোই বাস্তবায়িত হবে না—এ বিষয়টি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ স্পষ্ট।
(last modified 2025-12-14T13:35:42+00:00 )
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ ১৯:০৬ Asia/Dhaka
  • শেখ নায়িম কাসেম
    শেখ নায়িম কাসেম

পার্সটুডে- লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, যদি কোনো যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে শত্রুর লক্ষ্য কখনোই বাস্তবায়িত হবে না—এ বিষয়টি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ স্পষ্ট।

তিনি শনিবার রাতে বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রতিরোধ আন্দোলনকে নিরস্ত্র করার মতো কোনো বিষয় কখনোই বাস্তবায়িত হবে না—এমনকি যদি সারা বিশ্ব লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও নেমে আসে।

 পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা সুসংহত করার দায়িত্ব সরকারের এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন ও সরকারকে সহায়তার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ আন্দোলন তার সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা সেটিকে আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। এই আগ্রাসন শুধু আমাদের জন্য নয়, পুরো লেবাননের জন্যই বিপজ্জনক। আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সরকার ও সেনাবাহিনীর দায়িত্ব, আর প্রতিরোধ আন্দোলরেনর দায়িত্ব হলো সমর্থন ও সহযোগিতা করা।

হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, লেবানন ও প্রতিরোধের শক্তি ও সামর্থ্য ব্যবহারের জন্য একটি প্রতিরক্ষা কৌশলের সঙ্গে প্রতিরোধ একমত, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণের কোনো কাঠামো তারা মেনে নেবে না। অস্ত্রসমর্পণ মানে লেবাননের শক্তি ও সক্ষমতা ধ্বংস; আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আর কোনো লেবানন অবশিষ্ট থাকবে না। সিরিয়ার পরিস্থিতি আমাদের চোখের সামনে—সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আত্মসমর্পণ লেবাননের ধ্বংস ডেকে আনবে।

শেখ নাঈম কাসেম আরও বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলন চারটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে: ইহুদিবাদীদের দখলকৃত ভূখণ্ড মুক্ত করেছে, চ্যালেঞ্জের মুখে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক অবস্থান গড়ে তুলেছে এবং প্রতিরোধ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মাধ্যমে লেবাননের ওপর আগ্রাসন থামিয়ে দিয়েছে।

হিজবুল্লাহর মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের উপস্থিতিতে লেবাননে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের জন্য কোনো স্থান থাকবে না। লেবাননবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি বারাক লেবাননকে সিরিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছেন; এর ফলে সংখ্যালঘুরা সিরিয়ার বিস্তীর্ণ পরিবেশে হয় ধ্বংস হয়ে যাবে, নয়তো দেশত্যাগে বাধ্য হবে। সতর্ক থাকুন—এটি একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিকল্পনা, যার ফলে লেবানন নামের কোনো দেশই আর অবশিষ্ট নাও থাকতে পারে।#

পার্সটুডে/এসএ/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।