আন্দোলন দমনে নিরাপত্তা বাহিনী ও আদালত ব্যবহার করছে বাহরাইন সরকার
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i38726-আন্দোলন_দমনে_নিরাপত্তা_বাহিনী_ও_আদালত_ব্যবহার_করছে_বাহরাইন_সরকার
বাহরাইনের জনগণ যখন তাদের প্রিয় নেতা শেখ ঈসা কাসিমকে কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তখন দেশটির সরকার ১৬ জন সরকার বিরোধী নেতাকর্মীকে দুই বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি আট জনের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে। এর মাধ্যমে আলে-খলিফা সরকার এই বার্তা দিয়েছে যে, জনগণের সঙ্গে সরকারের সহিংস আচরণ অব্যাহত থাকবে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
মে ২৬, ২০১৭ ১৫:১৮ Asia/Dhaka

বাহরাইনের জনগণ যখন তাদের প্রিয় নেতা শেখ ঈসা কাসিমকে কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তখন দেশটির সরকার ১৬ জন সরকার বিরোধী নেতাকর্মীকে দুই বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি আট জনের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে। এর মাধ্যমে আলে-খলিফা সরকার এই বার্তা দিয়েছে যে, জনগণের সঙ্গে সরকারের সহিংস আচরণ অব্যাহত থাকবে।

আলে-খলিফা সরকারের আদালত বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচজনকে তিন বছরের এবং তিনজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া, আটজনের নাগরিকত্ব বাতিল করে। আদালত এসব ব্যক্তিকে ‘নাশকতামূলক’ তৎপরতা এবং ‘অপরাধী’ কার্যক্রমে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এভাবে অন্যায় শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে বাহরাইন সরকার চায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে।  গত রোববার আদালত শেখ ঈসা কাসেমকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়ার পর থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলত তীব্রতর হয়।  বাহরাইন সরকার এই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে পাঁচ ব্যক্তিকে হত্যা এবং শত শত মানুষকে আটক করে।  নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বিক্ষোভ দমনে আদালতকেও ব্যবহার করছে আলে-খলিফা সরকার। দীর্ঘ মেয়াদি কারাদণ্ড ও জনগণের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে বাহরাইন সরকার এ বার্তাই দিতে চায় যে, বিক্ষোভ দমনে একমাত্র সহিংস পথই বেছে নেবে মানামা।

আলে-খলিফা সরকার সহিংস আচরণের মাধ্যমে আরেকটি কথা প্রমাণ করতে চায়। আর তা হলো, বাহরাইনের রাজতান্ত্রিক সরকারের পতনের দাবিতে গণআন্দোলন শুরুর ছয় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর এখনো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শাসকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  

বাহরাইন সরকার এমন সময় এই সহিংস পন্থা বেছে নিয়েছে যখন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য নেয়া হয়েছে বিদেশ থেকে। এসব বিদেশি ভাড়াটে সেনা বাহরাইনের বিক্ষোভকারীদের দমন করতে সর্বোচ্চ রূঢ় আচরণ করতেও কুণ্ঠিত হচ্ছে না। অথচ এসব ভাড়াটে সেনার জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সব সদস্য যদি বাহরাইনের নাগরিক হতো তাহলে তারা বিক্ষোভকারীদের দাবি বোঝার চেষ্টা করত এবং এত বেশি সহিংস আচরণ করতে পারত না।  সেক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার সুযোগ সৃষ্টি হতো।

এদিকে বাহরাইনের আদালতের অন্যায় রায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।  অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি বাহরাইনের আদালতের রায় সম্পর্কে বলেছে, আটক বিক্ষোভকারীদের ওপর চরম নির্যাতন চালিয়ে যে জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে তার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। #

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/২৬