ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত : ঘোষণা করল হিজবুল্লাহ
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, লেবাননের বিরুদ্ধে যদি ইসরাইলে কোনও হঠকারী আগ্রাসন চালায় তবে তা মোকাবেলার জন্য পুরাপুরি প্রস্তুত রয়েছে হিজবুল্লাহ।
লেবাননের আরবি নেটওয়ার্ক আল-মানারের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ১৯ এপ্রিল, ১৯৯৬ সালে গণহত্যা চালানোর মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের জনগণের মধ্যে বিভেদের বীজ বোনার অপচেষ্টা করেছিল ইসরাইল। মিশরের বন্দর নগরী শার্ম আশ-শেইখে কথিত শান্তি স্থাপনকারীদের শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে কয়েকটি দেশও ইসরাইলের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল। এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ।
মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার নামে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কথিত শীর্ষ সম্মেলনের কথাই উল্লেখ করেন তিনি। ইসরাইলের দখলকৃত এলাকা ওপর রকেট হামলা বন্ধের অজুহাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় লেবাননে সামরিক আগ্রাসন চালায় তেল আবিব। এ আগ্রাসন চালানোর পরই শার্ম আশ-শেইখের বৈঠক বসে।
১৬ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসীরা কাফর্ কানার জাতিসংঘ শিবিরে আশ্রয় গ্রহণকারী একদল বেসামরিক মানুষের ওপর গোলা বর্ষণ করে । এতে মর্মান্তিক ভাবে নিহত হন শতাধিক মানুষ। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে তেল আবিব। একই বছর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে ২৭ এপ্রিল লড়াই বন্ধ হয়। চুক্তিতে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর তেল আবিবের হামলা নিষিদ্ধ করা হয় এবং চুক্তির ফলে ইসরাইলের কোন ফয়দা হয় নি।
অবশ্য, দৃঢ়চেতা ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ, লেবাননের জনগণ এবং দেশটির সেনাবাহিনী ইসরাইলকে অবমাননাকর পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য করেছে। পাশাপাশি লেবাননের উপর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ করার অধিকারকে মেনে নিতেও বাধ্য করেছিল বলে জানান শেখ কাসেম।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের এপ্রিলের যুদ্ধ প্রতিরোধ ও ভারসাম্যে রক্ষার নীতি প্রতিষ্ঠা এবং তেল আবিবকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করেছে। লেবাননের ওপর যে কোনও সময়ই হামলার হঠকারী ইসরাইল দেখাক না কেনও তা মোকাবেলা জন্য হিজবুল্লাহ সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে।
পার্সটুডে/মূসা রেজা/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।